শরীফুল ইসলাম:
চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার হরিসভায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া স্থান পরিদর্শন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ ও টিন বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় হরিসভা মন্দির এলাকায় প্রধান অতিথি হিসেবে এই অর্থ ও টিন বিতরণ করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।
তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, এখানে ভাঙন শুরু হওয়ার কয়েক দিন পূর্বেই আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলেছিলাম। কারন মেঘনার ভাঙন একবার শুরু হলে মূহুর্তেই পুরু শহর তলিয়ে যাবে। আর প্রতিবছর এই দিনেতো আমরা এমনিই চিন্তিত থাকি। এমনকি ভাঙনের খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমি পানি সম্পদ মন্ত্রীসহ সকলের সাথে কথা বলেছি। তারা আমার ডাকে সাড়া দিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন। এজন্য আমি তাদেরকে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানাই। চাঁদপুরে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, চাঁদপুর শহরকে রক্ষায় বিশাল আকারের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। দ্রুত তা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। তবে সবার আগে আমরা যারা নদী তীর ভর্তি এলাকায় রয়েছি তাদেরকে সচেতন হতে হবে। শহর রক্ষাবাঁধে কোন রকমের গাফিলতি বরদাস করা হবেনা। যারা দায়িত্বে রয়েছেন তাদেরকে সঠিক ভাবে কাজ করতে হবে।
দীপু মনি বলেন, বর্তমানে সারাবিশ্বে যে কয়টি দেশদ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তারমধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। যে করেই হোক আমাদের এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে হবে। এসময় তিনি তার অসুস্থ স্বামীর জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মঈনুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান, চাঁদপুর মডপল থানার ওসি মো. নাসিম উদ্দিন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ছিদ্দিকুর রহমান ঢালী।
এ সময় সম্পূর্ণ নদীগর্ভে বিলীন হওয়া সম্ভুনাথ মজুমদার, চয়ন সাহা, গুপি নাথ সাহা, দিপক দে, বিমল দে, দ্রুব সাহা, সঞ্জয় চক্রবর্তী, মানিক সাহা, সুসান্ত মজুমদারসহ ৯টি পরিবারকে ২ ভান টিন ও ৬ হাজার টাকা অনুদান চেক তুলে দেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।