নিজস্ব প্রতিনিধি:
চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মোহনায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলাচল করায় ৭টি বাল্কহেডকে ৫ হাজার টাকা করে ৩৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এ ছাড়া, যাত্রীদের জন্য নির্ধারিত ভাড়ার মূল্য তালিকা না থাকায় ঢাকা-চাঁদপুর নৌ-রূটে ঈদ স্পেশাল হিসেবে চলাচলকারী দু’টি যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি মানিক-১ ও এমভি আলওয়ালীদকে ৫হাজার করে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুন্নাহার।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, বর্ষা মৌসুমে মেঘনা মোহনায় বাল্কহেড চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দূর্ঘটনা ঘটেছে। যার কারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে বাল্কহেড চলাচল নিষিদ্ধ করে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলাচল করায় এই অর্থদন্ড করা হয়।
এ ছাড়াও একই ভ্রাম্যমান আদালত নিউ আল বোরাক নামে লঞ্চে ফার্স্টএইড বক্সে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ রাখার কারণে ৩ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন। অপরদিকে, যাত্রীদের জন্য নির্ধারিত ভাড়ার মূল্য তালিকা না থাকায় ঢাকা-চাঁদপুর নৌ-রূটে ঈদ স্পেশাল হিসেবে চলাচলকারী দু’টি যাত্রীবাহী লঞ্চকে ৫হাজার করে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
শনিবার দুপুর ২টায় চাঁদপুর লঞ্চঘাটে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন চাঁদপুর সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমরান হোসেন। অর্থদন্ডপ্রাপ্ত লঞ্চ দু’টি হচ্ছে-এমভি মানিক-১ ও এমভি আলওয়ালীদ। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান ও বিআইডাব্লিউটিএর পরিদর্শক মো. সুমন ও মাহতাব উদ্দিন।
চাঁদপুর লঞ্চঘাটের মালিক প্রতিনিধি বিপ্লব সরকার জানান, যে দু’টি লঞ্চকে অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে, এগুলো ঈদ স্পেশাল হিসেবে আনা হয়েছে। নিয়মিত এই দু’টি লঞ্চ এইরূটে চলাচল করে না।