রাতে নিষিদ্ধ, ভোরে রাজধানীতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল

  • আপডেট: ১০:০০:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
  • ৬১

ভোরে রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল করেছে ছাত্রলীগ

হত্যা-নির্যাতন-ধর্ষণ-যৌন নিপীড়ন এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমে যুক্ত থাকার দায়ে বুধবার রাতে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে গেজেট জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ভোরে রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল করেছে সন্ত্রাসী আইনে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সংগঠনের ভোরে অন্তত ২০ নেতাকর্মী রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় মিছিল করেন।

রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতাল থেকে মিছিলটি শুরু হয়। পরে এটি ধানমন্ডি ৩২ হয়ে শুক্রাবাদ-সোবহানবাগ মোড় ঘুরে ৩২ নম্বরে এসে শেষ হয়।

মিছিলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান জনি, সহ-সভাপতি ওয়ালিউল সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক সজিবুর রহমান সজিব, প্রচার সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তারেক, কৃষি সম্পাদক মোহাম্মদ হুসেন, উপ-শিক্ষা সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম, উপ-ত্রাণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, উপ-গণশিক্ষা সম্পাদক মুস্তাকিম, উপ-সম্পাদক সেলিম রেজা ও সাবেক সহ-সম্পাদক লাভলু অংশ নেন।

ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে গেজেট জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গেজেটে বলা হয়, যেহেতু বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুম কেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং এতৎসম্পর্কিত প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে।

সেখানে আরও বলা হয়, ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করে শতশত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিদের হত্যা করেছে এবং আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে। সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে যে, ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছে।

গেজেটে বলা হয়, সরকার ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো এবং ওই আইনের তফসিল-২ এ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করলো। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।

সর্বাধিক পঠিত

ভারতে মসজিদের স্থানে মন্দির দাবি করে জরিপের চেস্টায় উত্তেজনা, পুলিশের গুলিতে ৩ মুসল্লি নিহত (ভিডিওসহ)

রাতে নিষিদ্ধ, ভোরে রাজধানীতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল

আপডেট: ১০:০০:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

হত্যা-নির্যাতন-ধর্ষণ-যৌন নিপীড়ন এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমে যুক্ত থাকার দায়ে বুধবার রাতে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে গেজেট জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ভোরে রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল করেছে সন্ত্রাসী আইনে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সংগঠনের ভোরে অন্তত ২০ নেতাকর্মী রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় মিছিল করেন।

রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতাল থেকে মিছিলটি শুরু হয়। পরে এটি ধানমন্ডি ৩২ হয়ে শুক্রাবাদ-সোবহানবাগ মোড় ঘুরে ৩২ নম্বরে এসে শেষ হয়।

মিছিলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান জনি, সহ-সভাপতি ওয়ালিউল সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক সজিবুর রহমান সজিব, প্রচার সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তারেক, কৃষি সম্পাদক মোহাম্মদ হুসেন, উপ-শিক্ষা সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম, উপ-ত্রাণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, উপ-গণশিক্ষা সম্পাদক মুস্তাকিম, উপ-সম্পাদক সেলিম রেজা ও সাবেক সহ-সম্পাদক লাভলু অংশ নেন।

ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে গেজেট জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গেজেটে বলা হয়, যেহেতু বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুম কেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং এতৎসম্পর্কিত প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে।

সেখানে আরও বলা হয়, ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করে শতশত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিদের হত্যা করেছে এবং আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে। সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে যে, ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছে।

গেজেটে বলা হয়, সরকার ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো এবং ওই আইনের তফসিল-২ এ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করলো। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।