মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ :
হাজীগঞ্জে পানিবন্ধি অসহায় ও শ্রমজীবি মানুষের মাঝে দুই দিনব্যাপী হাদিয়া (খাদ্য সামগ্রী) বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর নেতৃবৃন্দ। পীর সাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের পক্ষ থেকে ও দলীয় নিদের্শনা মোতাবেক উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর, গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ, বড়কুল পূর্ব, বড়কুল পশ্চিম, পৌরসভাধীন রান্ধুনীমূড়া ও টোরাগড় এলাকায় পানিবন্ধি মানুষের মাঝে হাদিয়া বিতরণ করা হয়।
এর আগে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর চাঁদপুর জেলা সভাপতি শেখ মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গত শনিবার দুপুরে হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তিতে হাদিয়া বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন এবং তিনি শাহরাস্তিতে পানিবন্ধি মানুষের হাতে হাদিয়া তুলে দেন। এর ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সোমবার ও মঙ্গলবার হাজীগঞ্জে প্রায় ৫’শ প্যাকেট (চাল, ডাল ও পেঁয়াজসহ প্রতি প্যাকেটে ১৪ কেজি) হাদিয়া বিতরণ করা হয়।
মঙ্গলবার উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সেক্রেটারী ও শ্রমিক আন্দোলনের ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সভাপতি হাফেজ মো. শাহাদাত হোসেন প্রধানীয়া উপস্থিত থেকে হাদিয়া বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। এসময় দ্বীনি সংগঠনের ছদর আলহাজ¦ মোরশেদ আলম, ইসলামী আন্দোলনের উপজেলা সহ-সভাপতি মো. খোরশেদ আলম, প্রচার সম্পাদক কামাল গাজী, পৌর সহ-সভাপতি সুমন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন আকতার উপস্থিত ছিলেন।
হাদিয়া বিতরণ কাজে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করেন, উপজেলা যুব আন্দোলনের সভাপতি মাও. নূরে আলম সিদ্দিকী, উপজেলা শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি আকতার হোসেন নিপু, উপজেলা ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সভাপতি আক্তার হোসেন আকনসহ মুজাহিদ কমিটি, ইসলামী আন্দোলন, যুব আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলন ও শ্রমিক আন্দোলনের উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়নের নেতাকর্মী ও সমর্থক।
এর আগে হাদিয়া বিতরণ কাজের প্রথম সোমবার হাজীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় পানিবন্ধি অসহায় ও কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ওই সময়ে মাও. মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহরাস্তি ও হাজীগঞ্জ উপজেলায় হাদিয়া বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, দেশের কুমিল্লা, ফেনী, লক্ষ্মিপুর ও নোয়াখালী এলাকা বন্যার পানিতে নিমজ্জিত। বর্ষা আর বান ও টানা বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে শাহরাস্তি ও হাজীগঞ্জ উপজেলা। বন্যা না হলেও দুই উপজেলার লক্ষাধীকেরও বেশি মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছেন। ফলে অসহায় ও কর্মহীন হয়ে পড়েন হাজার হাজার মানুষ। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে প্রশাসন ও ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিত্তবান ব্যাক্তিরা।