হোয়াইটওয়াশ হয়ে দেশে ফিরছে বাংলাদেশ

  • আপডেট: ০৪:৪৪:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০১৯
  • ৭৯

 ক্রীড়া ডেস্ক:

তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের সবকটি ম্যাচ হেরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবল বাংলাদেশ। এ নিয়ে লঙ্কানদের বিপক্ষে পঞ্চমবারের মতো হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেল বাংলাদেশ।  এর আগে লঙ্কানদের কাছে চারবার হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেয়েছে টাইগাররা। সবগুলোই ছিল তিন ম্যাচের সিরিজ।

এ সিরিজ থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তি যদি বলতে হয়, সেটা সৌম্য সরকারের বোলিং। প্রথম ম্যাচের পর আজও দলের সেরা বোলার এই ওপেনার। দলের মূল দুই পেসারকে রেখে ইনিংসের শেষ ওভারে তাঁকে আনাটাই সেটা বলছে। সৌম্য আজ শুধু বোলিং নয় মুগ্ধ করেছিলেন উপস্থিত বুদ্ধি দিয়েও। বোলিংয়ের সময় পা দাগ পেরিয়ে যাওয়ার পর আম্পায়ার নো বল ডেকেছিলেন। শুনেই বোলিং থামিয়ে দিয়ে ফ্রি হিট ও অতিরিক্ত রান দেওয়া থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন।

ব্যাটিংয়েও আউট হওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত বুদ্ধির পরিচয় দিচ্ছিলেন। দলের সব ব্যাটসম্যান যখন আউট হয়ার আত্মহত্যার মিছিলে নেমেছেন, সেখানে একমাত্র সৌম্যই সম্মান রক্ষার্থে লড়েছেন। তবে যেভাবে আউট হয়েছেন তাতে দুঃখ পেতে বাধ্য। আকিলা ধনঞ্জয়া অফ স্পিন করবেন ভেবে ড্রাইভ করেছিলেন। কিন্তু লেগ স্পিন বলটি ফাঁকি দিয়ে ভেঙ্গে দিল স্ট্যাম্প।

এতে অবশ্য ম্যাচের গতি প্রকৃতিতে কিছু যায় আসেনি। ৭ উইকেটে ১৪৩ রানের স্কোরটা শুধু ১৪৩/৮ হয়েছে। এর আগেই যে তামিম-মুশফিক-মাহমুদউলাহরা নিশ্চিত করেছেন তৃতীয় ম্যাচ জিতে স্বান্তনা বা গৌরব-কোনোটাই পাওয়ার উপায় থাকছে না।

আগের ছয় ইনিংসে বোল্ড হওয়া তামিম ইকবাল জায়গায় দাঁড়িয়ে রাজিথাকে হাঁকাতে গিয়ে কুশল পেরেরাকে ক্যাচ অনুশীলন করিয়ে এলেন। এনামুল-তামিমের ওপেনিং জুটি টিকল মাত্র ৯ বল। বহুদিন পরে দলে ফেরা এনামুল দায়িত্ব সেরে নিয়েছেন ১৪ করেই।ইনিংসের প্রথম ও দ্বিতীয় চারের দেখা মিলেছে অস্টম ওভারে। টানা দুই চারে পরের বলেই আরেকটি চারের নেশায় বিদায় এনামুলের।

ফর্মে আছেন, আগের ম্যাচে দলের ব্যাটিং নিয়ে অনেক কথাও বলেছেন মুশফিক। সে মুশফিক ফিরলেন দলকে ৪৬ রানে রেখে। শানাকার অত বাইরের বল তাড়া না করলেও যে চলত, সেটা নিশ্চয় মুশফিক সবার চেয়ে ভালো বুঝেন। প্রথম দুই ম্যাচে ২২ রান করা মিঠুন আজ ৪ রানে আউট হয়েছেন শানাকাকে হুক করতে গিয়ে। বাজে শট খেলতে গয়ে, সেটা বলাটা বাহুল্য হয়ে যায়। বাংলাদেশের ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার মধ্যেও শ্রীলঙ্কার মূল পেসার লাহিরু কুমারাকে বল হাতে নিতে হয়নি!

আগের দুই ম্যাচে ৯ রান করা মাহমুদউল্লাহ আজ ৯ রান করেই দায়িত্ব সেরেছেন। কুশল পেরেরা দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেছেন, কিন্তু মাহমুদউল্লাহর শটও আহামরী ছিল না। শুধু সাব্বির রহমানই একটু ভদ্রস্ত আউট হয়েছেন। এক্সট্রা কভারে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা অসাধারণ এক ক্যাচ নিয়েছেন।

ইনিংসের আগে-পরে শুধু সৌম্যের লড়াইয়ের গল্প। কিন্তু ২৯৫ রানের লক্ষ্যে নেমে শুধু একজনের ৬৯ রান বড় অল্প হয়ে যায়, যখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (অন্য ব্যাটসম্যানদের মধ্যে) ১৪। শেষ দিকে তাইজুলের অপরাজিত ৩৯ রান হারের ব্যবধান ৩০ কমিয়ে এনেছে—এই যা!

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ভারতে মসজিদের স্থানে মন্দির দাবি করে জরিপের চেস্টায় উত্তেজনা, পুলিশের গুলিতে ৩ মুসল্লি নিহত (ভিডিওসহ)

হোয়াইটওয়াশ হয়ে দেশে ফিরছে বাংলাদেশ

আপডেট: ০৪:৪৪:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০১৯

 ক্রীড়া ডেস্ক:

তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের সবকটি ম্যাচ হেরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবল বাংলাদেশ। এ নিয়ে লঙ্কানদের বিপক্ষে পঞ্চমবারের মতো হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেল বাংলাদেশ।  এর আগে লঙ্কানদের কাছে চারবার হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেয়েছে টাইগাররা। সবগুলোই ছিল তিন ম্যাচের সিরিজ।

এ সিরিজ থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তি যদি বলতে হয়, সেটা সৌম্য সরকারের বোলিং। প্রথম ম্যাচের পর আজও দলের সেরা বোলার এই ওপেনার। দলের মূল দুই পেসারকে রেখে ইনিংসের শেষ ওভারে তাঁকে আনাটাই সেটা বলছে। সৌম্য আজ শুধু বোলিং নয় মুগ্ধ করেছিলেন উপস্থিত বুদ্ধি দিয়েও। বোলিংয়ের সময় পা দাগ পেরিয়ে যাওয়ার পর আম্পায়ার নো বল ডেকেছিলেন। শুনেই বোলিং থামিয়ে দিয়ে ফ্রি হিট ও অতিরিক্ত রান দেওয়া থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন।

ব্যাটিংয়েও আউট হওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত বুদ্ধির পরিচয় দিচ্ছিলেন। দলের সব ব্যাটসম্যান যখন আউট হয়ার আত্মহত্যার মিছিলে নেমেছেন, সেখানে একমাত্র সৌম্যই সম্মান রক্ষার্থে লড়েছেন। তবে যেভাবে আউট হয়েছেন তাতে দুঃখ পেতে বাধ্য। আকিলা ধনঞ্জয়া অফ স্পিন করবেন ভেবে ড্রাইভ করেছিলেন। কিন্তু লেগ স্পিন বলটি ফাঁকি দিয়ে ভেঙ্গে দিল স্ট্যাম্প।

এতে অবশ্য ম্যাচের গতি প্রকৃতিতে কিছু যায় আসেনি। ৭ উইকেটে ১৪৩ রানের স্কোরটা শুধু ১৪৩/৮ হয়েছে। এর আগেই যে তামিম-মুশফিক-মাহমুদউলাহরা নিশ্চিত করেছেন তৃতীয় ম্যাচ জিতে স্বান্তনা বা গৌরব-কোনোটাই পাওয়ার উপায় থাকছে না।

আগের ছয় ইনিংসে বোল্ড হওয়া তামিম ইকবাল জায়গায় দাঁড়িয়ে রাজিথাকে হাঁকাতে গিয়ে কুশল পেরেরাকে ক্যাচ অনুশীলন করিয়ে এলেন। এনামুল-তামিমের ওপেনিং জুটি টিকল মাত্র ৯ বল। বহুদিন পরে দলে ফেরা এনামুল দায়িত্ব সেরে নিয়েছেন ১৪ করেই।ইনিংসের প্রথম ও দ্বিতীয় চারের দেখা মিলেছে অস্টম ওভারে। টানা দুই চারে পরের বলেই আরেকটি চারের নেশায় বিদায় এনামুলের।

ফর্মে আছেন, আগের ম্যাচে দলের ব্যাটিং নিয়ে অনেক কথাও বলেছেন মুশফিক। সে মুশফিক ফিরলেন দলকে ৪৬ রানে রেখে। শানাকার অত বাইরের বল তাড়া না করলেও যে চলত, সেটা নিশ্চয় মুশফিক সবার চেয়ে ভালো বুঝেন। প্রথম দুই ম্যাচে ২২ রান করা মিঠুন আজ ৪ রানে আউট হয়েছেন শানাকাকে হুক করতে গিয়ে। বাজে শট খেলতে গয়ে, সেটা বলাটা বাহুল্য হয়ে যায়। বাংলাদেশের ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার মধ্যেও শ্রীলঙ্কার মূল পেসার লাহিরু কুমারাকে বল হাতে নিতে হয়নি!

আগের দুই ম্যাচে ৯ রান করা মাহমুদউল্লাহ আজ ৯ রান করেই দায়িত্ব সেরেছেন। কুশল পেরেরা দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেছেন, কিন্তু মাহমুদউল্লাহর শটও আহামরী ছিল না। শুধু সাব্বির রহমানই একটু ভদ্রস্ত আউট হয়েছেন। এক্সট্রা কভারে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা অসাধারণ এক ক্যাচ নিয়েছেন।

ইনিংসের আগে-পরে শুধু সৌম্যের লড়াইয়ের গল্প। কিন্তু ২৯৫ রানের লক্ষ্যে নেমে শুধু একজনের ৬৯ রান বড় অল্প হয়ে যায়, যখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (অন্য ব্যাটসম্যানদের মধ্যে) ১৪। শেষ দিকে তাইজুলের অপরাজিত ৩৯ রান হারের ব্যবধান ৩০ কমিয়ে এনেছে—এই যা!