নুরুল ইসলাম ফরহাদ :
ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধীআন্দোলনে নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এম.এ. হান্নান। সুখে দুঃখে সবসময় তাদের পরিবারের পাশে থাকার আহ্বান করেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ডা.আবুল কালাম আযাদ।
১১ আগস্ট রবিবার দুপুরে নিহত ৩ শহীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের কবর জিয়ারত করেন উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এসময় তারা শহীদ পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান এবং খোঁজ খবর নেন। এম.এ. হান্নানের নিজস্ব তহবিল থেকে প্রতি পরিবারকে ৫০ হাজার করে টাকা প্রদান করেন। এছাড়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ফরিদগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম প্রতি পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে দেন। ভবিষ্যতে বিএনপি রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় গেলে এই পরিবারগুলোকে রাষ্ট্র এবং বিএনপির পক্ষ থেকে সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মজিবুর রহমান দুলাল।
ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ফরিদগঞ্জ উপজেলার যে ৩ জন পুলিশের গুলিতে শহীদ হয় তারা হলেন, ফরিদগঞ্জ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ২নং বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়ন কমিটির সদস্য আব্দুল কাদির মানিক (৪১), পিতা নুর মোহাম্মদ। গ্রামের বাড়ি মানিকরাজ।৫ আগস্ট আজিমপুরে তিনি নিহত হন। একই তারিখে উত্তরার জসিম উদ্দিন রোডে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ৪ নং সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের বড়গাঁও গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে আমির হোসেন (৩২)। একই তারিখ সন্ধ্যায় ফরিদগঞ্জ থানায় প্রবেশের চেষ্টা করার সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হয় মো. সাদ্দাম হোসেন (১৭)। তার মূল বাড়ি লক্ষীপুর জেলার রায়পুর উপজেলায় হলেও সে নানার বাড়ি ২নং বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নে থাকতো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শরীফ মো.ইউনুছ, মো. ফারুক, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আমজাদ হোসেন শিপন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্টু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক মো.আক্তার হোসাইন, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদী হাসান মঞ্জু, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি রেবেকা সুলতানা, সাধারণ সম্পাদক আমে
না বেগম, উপজেলা যুবদলের সহ-সভাপতি নাজমুল কবির খাঁন, ২নং বালিথুবা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. ইব্রাহীম প্রমুখ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে নিহত তিন পরিবারের হাতে এম.এ হান্নানের নিজস্ব তহবিল থেকে প্রতি পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।