শাহরাস্তিতে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে এলেন লালমনিরহাটের বর

  • আপডেট: ০৯:৫৫:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪
  • ৫২

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে এলেন লালমনিরহাটের বর মো. আল আমিন মামুন।

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে এলেন লালমনিরহাটের বর মো. আল আমিন মামুন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। হঠাৎ এলাকায় হেলিকপ্টার দেখে আবাল-বণিতা-বৃদ্ধা সবাই ছুটে আসে।

সোমবার দুপুরে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বেংকাদা গ্রামের আল আমিন নামের এক বর হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে আসেন শাহরাস্তিতে।

এ সময় বরের সঙ্গে হেলিকপ্টারে তার তিন আত্মীয় ছিলেন। উৎসুক গ্রামবাসী ওই হেলিকপ্টার উঠানামা ও বর দেখতে সেখানে ভিড় করেন। উৎসুক জনতার ভিড় ঠেকাতে পুলিশ ও গ্রামপুলিশ মোতায়েন করা হয়। অন্য বরযাত্রীরা সড়ক পথে আসেন।

লালমনিরহাট পাটগ্রাম থেকে চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে কনের ইচ্ছায় হেলিকপ্টারে করে বিয়ের অনুষ্ঠানে আসেন বর।

জানা গেছে, কিছুদিন আগেই লালমনিরহাটের পাটগ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ব্যবসায়ী মো. আল আমিন মামুনের সঙ্গে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার সূচিপাড়া উত্তর ইউনিয়নের শোরসাক গ্রামের প্রবাসী আবুল খায়ের ও শিরিনা আক্তার শ্যামলীর মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস প্রীতির বিয়ে ঠিক হয়। পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের তারিখ ছিল সোমবার (১৫ জুলাই)।

এদিন হেলিকপ্টারে করে আল আমিন মামুন তিনজন আত্মীয় নিয়ে মেয়ের বাড়ি শোরসাক ইসলামীয়া নূরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসায় মাঠে নামেন। অন্য বরযাত্রীরা মাইক্রোবাসে চড়ে আসেন। এই প্রথম লালমনিরহাট বেংকাদা গ্রামের বর হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে আসায় ওই এলাকার আশপাশের কয়েকটি গ্রামের কয়েকশ লোক বরযাত্রী ও হেলিকপ্টার দেখতে ভিড় করেন। এ সময় জনতার ভিড় সামাল দিতে পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

কনের বাবা আবুল খায়ের বলেন, তার চার সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস প্রীতি এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তিনি এলাকার কয়েকশ গণ্যমান্য ব্যক্তিকে এ বিয়েতে দাওয়াত করেছেন। বিয়ে শেষে হেলিকপ্টারে করে তার মেয়েকে লালমনিরহাট বেংকাদা গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গেছেন বর আল আমিন।

মেয়ের চাচা মজিবুর রহমান জানান, আমার বড় ভাই আবুল খায়েরের মেয়েকে আত্মীয়স্বজন উপস্থিত থেকে ধুমধামের করে বিয়ে দিয়েছি। শাহরাস্তি শোরসাকের মধ্যে এই প্রথম হেলিকপ্টারে করে আমাদের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস প্রীতিকে বরপক্ষ হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়াতে আনন্দ লাগছে।

হেলিকপ্টার নিয়ে বিয়ে করতে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে বর আল আমিন মামুন বলেন, তার জীবনে ইচ্ছা ছিল হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করবেন। অনেকটা শখ এবং কনেকে খুশি করতে হেলিকপ্টার নিয়ে বিয়ে করতে এসেছি। বিয়ের দিনটি স্মরণীয় করে রাখতেই হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে আসা। এখন তার খুব আনন্দ লাগছে।

শাহরাস্তি থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, দুপুরের দিকে হেলিকপ্টারযোগে লালমনিরহাট থেকে শাহরাস্তির শোরসাক নুরানী ইসলামিয়া মাদ্রাসা মাঠে বিয়ে করতে আসেন এক ব্যবসায়ী। আমরা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি; যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চাঁদপুরে খাঁটি গরুর দুধ বিক্রর নামে প্রতারণা

শাহরাস্তিতে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে এলেন লালমনিরহাটের বর

আপডেট: ০৯:৫৫:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে এলেন লালমনিরহাটের বর মো. আল আমিন মামুন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। হঠাৎ এলাকায় হেলিকপ্টার দেখে আবাল-বণিতা-বৃদ্ধা সবাই ছুটে আসে।

সোমবার দুপুরে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বেংকাদা গ্রামের আল আমিন নামের এক বর হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে আসেন শাহরাস্তিতে।

এ সময় বরের সঙ্গে হেলিকপ্টারে তার তিন আত্মীয় ছিলেন। উৎসুক গ্রামবাসী ওই হেলিকপ্টার উঠানামা ও বর দেখতে সেখানে ভিড় করেন। উৎসুক জনতার ভিড় ঠেকাতে পুলিশ ও গ্রামপুলিশ মোতায়েন করা হয়। অন্য বরযাত্রীরা সড়ক পথে আসেন।

লালমনিরহাট পাটগ্রাম থেকে চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে কনের ইচ্ছায় হেলিকপ্টারে করে বিয়ের অনুষ্ঠানে আসেন বর।

জানা গেছে, কিছুদিন আগেই লালমনিরহাটের পাটগ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ব্যবসায়ী মো. আল আমিন মামুনের সঙ্গে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার সূচিপাড়া উত্তর ইউনিয়নের শোরসাক গ্রামের প্রবাসী আবুল খায়ের ও শিরিনা আক্তার শ্যামলীর মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস প্রীতির বিয়ে ঠিক হয়। পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের তারিখ ছিল সোমবার (১৫ জুলাই)।

এদিন হেলিকপ্টারে করে আল আমিন মামুন তিনজন আত্মীয় নিয়ে মেয়ের বাড়ি শোরসাক ইসলামীয়া নূরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসায় মাঠে নামেন। অন্য বরযাত্রীরা মাইক্রোবাসে চড়ে আসেন। এই প্রথম লালমনিরহাট বেংকাদা গ্রামের বর হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে আসায় ওই এলাকার আশপাশের কয়েকটি গ্রামের কয়েকশ লোক বরযাত্রী ও হেলিকপ্টার দেখতে ভিড় করেন। এ সময় জনতার ভিড় সামাল দিতে পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

কনের বাবা আবুল খায়ের বলেন, তার চার সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস প্রীতি এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তিনি এলাকার কয়েকশ গণ্যমান্য ব্যক্তিকে এ বিয়েতে দাওয়াত করেছেন। বিয়ে শেষে হেলিকপ্টারে করে তার মেয়েকে লালমনিরহাট বেংকাদা গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গেছেন বর আল আমিন।

মেয়ের চাচা মজিবুর রহমান জানান, আমার বড় ভাই আবুল খায়েরের মেয়েকে আত্মীয়স্বজন উপস্থিত থেকে ধুমধামের করে বিয়ে দিয়েছি। শাহরাস্তি শোরসাকের মধ্যে এই প্রথম হেলিকপ্টারে করে আমাদের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস প্রীতিকে বরপক্ষ হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়াতে আনন্দ লাগছে।

হেলিকপ্টার নিয়ে বিয়ে করতে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে বর আল আমিন মামুন বলেন, তার জীবনে ইচ্ছা ছিল হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করবেন। অনেকটা শখ এবং কনেকে খুশি করতে হেলিকপ্টার নিয়ে বিয়ে করতে এসেছি। বিয়ের দিনটি স্মরণীয় করে রাখতেই হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে আসা। এখন তার খুব আনন্দ লাগছে।

শাহরাস্তি থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, দুপুরের দিকে হেলিকপ্টারযোগে লালমনিরহাট থেকে শাহরাস্তির শোরসাক নুরানী ইসলামিয়া মাদ্রাসা মাঠে বিয়ে করতে আসেন এক ব্যবসায়ী। আমরা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি; যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।