চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আযহা

  • আপডেট: ১১:২৮:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ জুলাই ২০২২
  • ৮১

মো. জহির হোসেন॥
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদুল আযহা উদযাপিত হচ্ছে। শনিবার (৯ জুলাই) সাদরা দরবার শরীফে দুইটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। চাঁদপুরে ৪০ গ্রামের প্রায় লাধিক মানুষ ঈদুল আযহা উদযাপন করছেন।

জানা গেছে, আরব দেশসমূহের সঙ্গে মিল রেখে আগাম রোজা রাখাসহ দুই উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালনের নিয়ম চালু করেন। হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা গ্রামে ১৯২৮ সাল থেকে একদিন আগে এ প্রথা চালু করলেও এখন ৪০টি গ্রামের লাধিক মানুষ দেশের নিয়মের বাইরে অর্থাৎ একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।

সকাল ৯ টায় সাদরা দরবার শরীফ মাঠে ঈদের প্রথম জামাতের ঈমামতি করেন দরবারের পীর জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানি। অপরদিকে সাদরা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় সকাল সাড়ে ৯ টায় নামাজের ঈমামতি করেন সাদ্রা দরবার শরীফের পীর মাওলানা আরিফ চৌধুরী।

গ্রামগুলো হলো, হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বরকুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ কচুয়া ও শাহরাস্তির বেশ কয়েকটি গ্রাম।

এছাড়া চাঁদপুরের পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, বরিশাল,পটুয়াখালী, বরগুনা, শরীয়তপুর ও চট্টগ্রাম জেলার কয়েকটি স্থানে মাও. ইছহাক খানের অনুসারীরা একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।

হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা গ্রামের পীর বাড়ির সাদ্রা সিনিয়র মাদরাসার অধ্য মাওলানা মো. আবু বকর ছিদ্দিক বলেন,শনিবার সৌদি আরবে ঈদ উদযাপন হয়েছে। তাই সাদ্রাসহ চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে প্রতি বছরের ন্যয় এবারও ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সাদরা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ঈদগাঁ মাঠের মুসল্লি বেলাল হোসেন ও শাহমুব জুয়েল বলেন, আমাদের জন্মের পর থেকে সাদরা দরবার শরীফে ঈদের নামাজ আদায় করে যাচ্ছি। আমাদের বাব দাদারাও নামাজ পড়েছেন। ইনশাল্লাহ আমরা এবাবেই আদায় করে যাবো।

সাদ্রা দরবার শরীফের পীর মাওলানা আরিফ উল্লাহ বলেন, সৌদিতে শুক্রবার হজ হয়ে গেছে। তাই শনিবার আমরা ঈদ উদযাপন করছি। আমাদের আনন্দঘন পরিবেশে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া আমাদের এখানের অন্যান্য স্থানেও ঈদের জামাত হয়েছে। আমরা আমাদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে আমরা একত্রিত হয়ে ঈদের নামাজ আদায় করবো।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

কচুয়ায় আলোর দিশারী সমাজ সেবা সংগঠনের উদ্যোগে ইফতার সামগ্রী বিতরণ

চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আযহা

আপডেট: ১১:২৮:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ জুলাই ২০২২

মো. জহির হোসেন॥
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদুল আযহা উদযাপিত হচ্ছে। শনিবার (৯ জুলাই) সাদরা দরবার শরীফে দুইটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। চাঁদপুরে ৪০ গ্রামের প্রায় লাধিক মানুষ ঈদুল আযহা উদযাপন করছেন।

জানা গেছে, আরব দেশসমূহের সঙ্গে মিল রেখে আগাম রোজা রাখাসহ দুই উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালনের নিয়ম চালু করেন। হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা গ্রামে ১৯২৮ সাল থেকে একদিন আগে এ প্রথা চালু করলেও এখন ৪০টি গ্রামের লাধিক মানুষ দেশের নিয়মের বাইরে অর্থাৎ একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।

সকাল ৯ টায় সাদরা দরবার শরীফ মাঠে ঈদের প্রথম জামাতের ঈমামতি করেন দরবারের পীর জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানি। অপরদিকে সাদরা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় সকাল সাড়ে ৯ টায় নামাজের ঈমামতি করেন সাদ্রা দরবার শরীফের পীর মাওলানা আরিফ চৌধুরী।

গ্রামগুলো হলো, হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বরকুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ কচুয়া ও শাহরাস্তির বেশ কয়েকটি গ্রাম।

এছাড়া চাঁদপুরের পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, বরিশাল,পটুয়াখালী, বরগুনা, শরীয়তপুর ও চট্টগ্রাম জেলার কয়েকটি স্থানে মাও. ইছহাক খানের অনুসারীরা একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।

হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা গ্রামের পীর বাড়ির সাদ্রা সিনিয়র মাদরাসার অধ্য মাওলানা মো. আবু বকর ছিদ্দিক বলেন,শনিবার সৌদি আরবে ঈদ উদযাপন হয়েছে। তাই সাদ্রাসহ চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে প্রতি বছরের ন্যয় এবারও ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সাদরা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ঈদগাঁ মাঠের মুসল্লি বেলাল হোসেন ও শাহমুব জুয়েল বলেন, আমাদের জন্মের পর থেকে সাদরা দরবার শরীফে ঈদের নামাজ আদায় করে যাচ্ছি। আমাদের বাব দাদারাও নামাজ পড়েছেন। ইনশাল্লাহ আমরা এবাবেই আদায় করে যাবো।

সাদ্রা দরবার শরীফের পীর মাওলানা আরিফ উল্লাহ বলেন, সৌদিতে শুক্রবার হজ হয়ে গেছে। তাই শনিবার আমরা ঈদ উদযাপন করছি। আমাদের আনন্দঘন পরিবেশে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া আমাদের এখানের অন্যান্য স্থানেও ঈদের জামাত হয়েছে। আমরা আমাদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে আমরা একত্রিত হয়ে ঈদের নামাজ আদায় করবো।