রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অভিযোগ করেছেন, আমেরিকা তার দেশকে একটি যুদ্ধে নামাতে চায়। রাশিয়ার উন্নতি ও অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে ইউক্রেনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চায় আমেরিকা। আর এ কারণেই ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার দাবি প্রত্যাখান করছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইউক্রেন সংকট সম্পর্কে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমেরিকা রাশিয়াকে নানা ধরনের হুমকিধমকি দেওয়ার মঙ্গলবার এ ব্যাপারে প্রথম কোনো বক্তব্য দেন তিনি। খবর বিবিসি ও সিএনএন।
তিনি বলেন, পূর্ব ইউরোপে ন্যাটো জোটের বিস্তার নিয়ে রাশিয়ার উদ্বেগ সম্পর্কে আমেরিকা কোনো জবাব দিতে রাজি হচ্ছে না। তিনি সরাসরি সংঘাতের কথা উল্লেখ না করে পরোক্ষভাবে বলেন, ইউক্রেন যদি ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বাসনা পূর্ণ করতে সক্ষম হয়, তা হলে তার পক্ষে এই জোটের অন্য সদস্য দেশগুলোকে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে টেনে আনা সম্ভব হবে।
ইউক্রেন সীমান্তে বর্তমানে সমরাস্ত্রসহ রাশিয়ার প্রায় এক লাখ সৈন্য মোতায়েন রয়েছে। রাশিয়া এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে হামলা চালানোর মার্কিন দাবি প্রত্যাখ্যান করে এসেছে। মস্কো প্রায় আট বছর আগে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপত্যকাকে রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং তখন থেকে পূর্ব ইউক্রেনে রুশপন্থি অস্ত্রধারীদের রক্তক্ষয়ী তৎপরতাকে সমর্থন দিয়ে এসেছে।
পুতিন বলেন, আমার ধারণা— ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিয়ে আমেরিকার কোনো মাথাব্যথা নেই। বরং আমেরিকার মূল লক্ষ্য রাশিয়ার উন্নতি ও অগ্রগতি থামিয়ে দেওয়া। ইউক্রেন কেবল ওয়াশিংটনের এই অশুভ লক্ষ্য চরিতার্থ করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবে।