বাংলাদেশ আর পিছিয়ে যাবে না, এগিয়ে যাবে : প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট: ০২:২৮:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৩২

ছবি : ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ আর পিছিয়ে যাবে না, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ ইনশাআল্লাহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা গড়ে তুলব।

আজ বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স-২০২১’ এবং ‘আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০২১’-এর গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনিতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। মিরপুর ক্যান্টনমেন্টের শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগে সদা প্রস্তুত থাকেন। তাঁরা বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সম্মুুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

তিনি বলেন, আমি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের এইটুকু বলব- আমাদের ’৪১-এর যে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন তারই অগ্রসেনা হিসেবে আপনারা কাজ করে যাবেন, আমি এটা আশা করি। আর ২০৭১ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তি হবে, সেটিও আমাদের মাথায় রেখে এগিয়ে যেতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ন্যাশনাল ডিফে›স কলেজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আমাদের সরকারের উদ্দেশ্য ছিল দেশ-বিদেশের উচ্চ পর্যায়ের সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাদের জন্য একটি শীর্ষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা। আজ আমি সন্তুষ্টির সাথে বলতে পারি যে, ন্যাশনাল ডিফে›স কলেজ তার অভীষ্ঠ লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে। দেশ-বিদেশের উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাগণ এ প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত করে তোলার পাশাপাশি বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রগুলোর সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমি জেনে আনন্দিত যে, এ পর্যন্ত ২৪টি বন্ধুপ্রতিম দেশের ৩৮৩ জন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য এনডিসিতে উচ্চ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। সময়ের পরিক্রমায় এনডিসি কোর্সের সদস্য সংখ্যা এবং একাডেমিক কার্যক্রমের কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান সীমিত সম্পদ, অবকাঠামো ও জনবল দিয়েও এনডিসি সফলভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে- এ জন্য আমি এনডিসির কমান্ড্যান্ট এবং তার টিমকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের লক্ষ্য দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া; বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেন আমাদের সেনাবাহিনী চলতে পারে। কারণ জাতিসংঘ কর্তৃক শান্তিরক্ষী বাহিনীতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী অংশগ্রহণ করে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাদের চলতে হয়।

তিনি বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি এবং অস্ত্রশস্ত্র থেকে শুরু করে সব সরঞ্জাম সম্পর্কে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী প্রশিক্ষিত হবে এবং জ্ঞান লাভ করবে; সেটিই আমার চেষ্টা। কারও কাছ থেকে যেন আমরা পিছিয়ে না থাকি।

শেখ হাসিনা বলেন, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের সরকার সেনাবাহিনীতে অত্যাধুনিক সব যুদ্ধাস্ত্র, বিমান ও হেলিকপ্টারসহ মডার্ন ইনভেন্টরি গেজেট, বিভিন্ন আধুনিক ইঞ্জিনিয়ারিং সরঞ্জামাদি ইত্যাদি সংযোজন করেছে। নতুন নতুন নৌ ও সাবমেরিন ঘাঁটি আমরা নির্মাণ করছি। বিমানবাহিনীর জন্য অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান মিগ-২৯ ক্রয় করি ৯৬ সালে। পরবর্তী সময় আরও অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, প্রশিক্ষণ বিমান, র‌্যাডার ইত্যাদি সংযোজন করেছি।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের প্রশিক্ষিত ও যুগোপযোগী সামরিক বাহিনী গড়ার লক্ষ্যে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ণ করেছি। আমরা জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালা ২০১৮ প্রণয়ণ করেছি। আমরা সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি।

১৯৯৬ সালে সরকারে এসে তার সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বসভায় মর্যাদা নিয়ে চলবে, সেই আকাঙ্ক্ষা নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা শুরু করি। সে সময় সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়নে নানা উদ্যোগ নিই।

এবারে এনডিসি-তে ২৭ বিদেশি সামরিক সদস্যসহ মোট ৮৮ জন এবং এএফডব্লিউসিতে মোট ৫৫ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেছেন, উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, আপনাদের অনেকেই কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে দীর্ঘ প্রায় এক বছর কঠোর পরিশ্রম ও অনুশীলন করেছেন। এনডিসিতে সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং জাতীয় নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করেছেন, যা নিঃসন্দেহে আপনাদের কর্মক্ষেত্রে নেতৃত্ব অর্জনে সহায়ক হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি আশা করি, এই কোর্স দুটিতে বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর সামরিক সদস্যগণের সাথে আমাদের সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা সর্বোপরি আমাদের প্রকৃতি ও মানুষের সঙ্গে যে নিবিড় মিথস্ক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে তা ভবিষ্যতে অটুট থাকবে।

তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথাও পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

যেভাবে হ ত্যা করা হয় তরুণ আইনজীবী সাইফলকে

বাংলাদেশ আর পিছিয়ে যাবে না, এগিয়ে যাবে : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ০২:২৮:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ আর পিছিয়ে যাবে না, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ ইনশাআল্লাহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা গড়ে তুলব।

আজ বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স-২০২১’ এবং ‘আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০২১’-এর গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনিতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। মিরপুর ক্যান্টনমেন্টের শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগে সদা প্রস্তুত থাকেন। তাঁরা বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সম্মুুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

তিনি বলেন, আমি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের এইটুকু বলব- আমাদের ’৪১-এর যে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন তারই অগ্রসেনা হিসেবে আপনারা কাজ করে যাবেন, আমি এটা আশা করি। আর ২০৭১ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তি হবে, সেটিও আমাদের মাথায় রেখে এগিয়ে যেতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ন্যাশনাল ডিফে›স কলেজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আমাদের সরকারের উদ্দেশ্য ছিল দেশ-বিদেশের উচ্চ পর্যায়ের সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাদের জন্য একটি শীর্ষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা। আজ আমি সন্তুষ্টির সাথে বলতে পারি যে, ন্যাশনাল ডিফে›স কলেজ তার অভীষ্ঠ লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে। দেশ-বিদেশের উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাগণ এ প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত করে তোলার পাশাপাশি বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রগুলোর সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমি জেনে আনন্দিত যে, এ পর্যন্ত ২৪টি বন্ধুপ্রতিম দেশের ৩৮৩ জন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য এনডিসিতে উচ্চ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। সময়ের পরিক্রমায় এনডিসি কোর্সের সদস্য সংখ্যা এবং একাডেমিক কার্যক্রমের কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান সীমিত সম্পদ, অবকাঠামো ও জনবল দিয়েও এনডিসি সফলভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে- এ জন্য আমি এনডিসির কমান্ড্যান্ট এবং তার টিমকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের লক্ষ্য দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া; বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেন আমাদের সেনাবাহিনী চলতে পারে। কারণ জাতিসংঘ কর্তৃক শান্তিরক্ষী বাহিনীতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী অংশগ্রহণ করে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাদের চলতে হয়।

তিনি বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি এবং অস্ত্রশস্ত্র থেকে শুরু করে সব সরঞ্জাম সম্পর্কে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী প্রশিক্ষিত হবে এবং জ্ঞান লাভ করবে; সেটিই আমার চেষ্টা। কারও কাছ থেকে যেন আমরা পিছিয়ে না থাকি।

শেখ হাসিনা বলেন, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের সরকার সেনাবাহিনীতে অত্যাধুনিক সব যুদ্ধাস্ত্র, বিমান ও হেলিকপ্টারসহ মডার্ন ইনভেন্টরি গেজেট, বিভিন্ন আধুনিক ইঞ্জিনিয়ারিং সরঞ্জামাদি ইত্যাদি সংযোজন করেছে। নতুন নতুন নৌ ও সাবমেরিন ঘাঁটি আমরা নির্মাণ করছি। বিমানবাহিনীর জন্য অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান মিগ-২৯ ক্রয় করি ৯৬ সালে। পরবর্তী সময় আরও অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, প্রশিক্ষণ বিমান, র‌্যাডার ইত্যাদি সংযোজন করেছি।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের প্রশিক্ষিত ও যুগোপযোগী সামরিক বাহিনী গড়ার লক্ষ্যে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ণ করেছি। আমরা জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালা ২০১৮ প্রণয়ণ করেছি। আমরা সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি।

১৯৯৬ সালে সরকারে এসে তার সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বসভায় মর্যাদা নিয়ে চলবে, সেই আকাঙ্ক্ষা নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা শুরু করি। সে সময় সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়নে নানা উদ্যোগ নিই।

এবারে এনডিসি-তে ২৭ বিদেশি সামরিক সদস্যসহ মোট ৮৮ জন এবং এএফডব্লিউসিতে মোট ৫৫ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেছেন, উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, আপনাদের অনেকেই কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে দীর্ঘ প্রায় এক বছর কঠোর পরিশ্রম ও অনুশীলন করেছেন। এনডিসিতে সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং জাতীয় নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করেছেন, যা নিঃসন্দেহে আপনাদের কর্মক্ষেত্রে নেতৃত্ব অর্জনে সহায়ক হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি আশা করি, এই কোর্স দুটিতে বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর সামরিক সদস্যগণের সাথে আমাদের সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা সর্বোপরি আমাদের প্রকৃতি ও মানুষের সঙ্গে যে নিবিড় মিথস্ক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে তা ভবিষ্যতে অটুট থাকবে।

তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথাও পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেন।