এবার আইএস-কে দমনে বিশেষ সেনা পাঠাচ্ছে তালেবান

  • আপডেট: ০৭:২২:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১
  • ৩১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

আফগানিস্তানের এখন তালেবানের সবচেয়ে বড় আতঙ্ক ‘ইসলামিক স্টেট অব খোরাসান’ (আইএস-কে)। সম্প্রতি তালেবানকে লক্ষ্য করে একাধিক হামলা চালিয়েছে গোষ্ঠীটি।

এবার আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশে উগ্র গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে লড়াই করতে নতুন করে সৈন্য পাঠিয়েছে তালেবান সরকার।

তালেবানের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, আইএস-কের বিরুদ্ধে অভিযানে গতি আনার লক্ষ্যে গত কয়েকদিনে নানগারহার প্রদেশে অন্তত ১ হাজার ৩০০ সৈন্য পাঠিয়েছে তালেবান।

রিপোর্ট অনুযায়ী, নানগারহার প্রদেশের রাজধানী জালালাবাদে প্রতি সপ্তাহে গড়ে সাত থেকে ১০ আইএস-কে সন্ত্রাসী আটক ও ছয়জন করে নিহত হচ্ছে।

নানগারহার প্রদেশের স্থানীয় অধিবাসী ও তালেবান সেনা কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রাত্রিকালীন অভিযান জোরদার করা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত শত শত সন্ত্রাসী নিহত কিংবা গ্রেফতার হয়েছে।

‘আইএস-কে’ কারা?

আফগানিস্তানের কাবুলে হামলা চালানো ‘আইএস-কে’ এর পুরো নাম ‘ইসলামিক স্টেট অব খোরাসান’। জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আঞ্চলিক সহযোগী শাখা হিসাবে কাজ করছে তারা।

প্রাচীনকালে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সমন্বিত অঞ্চলকেই ‘খোরাসান’ বলা হতো। বর্তমানে ‘আইএস-কে’ দুই দেশেই সক্রিয় রয়েছে। কয়েক বছর ধরে সহিংস ঘটনার পেছনে এই গোষ্ঠীটি দায়ী বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

বিশেষ করে তারা স্কুলছাত্রীদের ওপর হামলা এমনকি হাসপাতালে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছিল। এখন তারা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসের নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সেই সঙ্গে এ-ও ধারণা করা হয়, ‘আইএস-কে’ তালেবানের তৃতীয় পক্ষ হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গেও সম্পৃক্ত রয়েছে।

সদস্য কারা : খোরাসানে ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠাই মূলত তাদের লক্ষ্য। আফগানিস্তানে যতগুলো জিহাদি গোষ্ঠী সক্রিয়, তাদের মধ্যে এই আইএস-কে সবচেয়ে বেশি উগ্রপন্থি ও সহিংস।

আইএস যখন ইরাক ও সিরিয়ার বড় একটি অংশ দখল করে নিয়ে খেলাফত কায়েমের ঘোষণা দিয়েছিল, সেই সময় ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে ‘আইএস-কে’র গোড়াপত্তন হয়।

বিবিসি জানিয়েছে, উগ্রপন্থি এ গোষ্ঠী পাকিস্তান ও আফগানিস্তান-এই দুই দেশ থেকেই নিজেদের সদস্য সংগ্রহ করে। তাদের নজর থাকে কট্টর জিহাদিদের দিকে, বিশেষ করে সাবেক তালেবান যোদ্ধাদের দিকে, যারা নিজেদের সংগঠনকে আরও বেশি কট্টর ভূমিকায় দেখতে চাইত।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ভারতে মসজিদের স্থানে মন্দির দাবি করে জরিপের চেস্টায় উত্তেজনা, পুলিশের গুলিতে ৩ মুসল্লি নিহত (ভিডিওসহ)

এবার আইএস-কে দমনে বিশেষ সেনা পাঠাচ্ছে তালেবান

আপডেট: ০৭:২২:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

আফগানিস্তানের এখন তালেবানের সবচেয়ে বড় আতঙ্ক ‘ইসলামিক স্টেট অব খোরাসান’ (আইএস-কে)। সম্প্রতি তালেবানকে লক্ষ্য করে একাধিক হামলা চালিয়েছে গোষ্ঠীটি।

এবার আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশে উগ্র গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে লড়াই করতে নতুন করে সৈন্য পাঠিয়েছে তালেবান সরকার।

তালেবানের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, আইএস-কের বিরুদ্ধে অভিযানে গতি আনার লক্ষ্যে গত কয়েকদিনে নানগারহার প্রদেশে অন্তত ১ হাজার ৩০০ সৈন্য পাঠিয়েছে তালেবান।

রিপোর্ট অনুযায়ী, নানগারহার প্রদেশের রাজধানী জালালাবাদে প্রতি সপ্তাহে গড়ে সাত থেকে ১০ আইএস-কে সন্ত্রাসী আটক ও ছয়জন করে নিহত হচ্ছে।

নানগারহার প্রদেশের স্থানীয় অধিবাসী ও তালেবান সেনা কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রাত্রিকালীন অভিযান জোরদার করা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত শত শত সন্ত্রাসী নিহত কিংবা গ্রেফতার হয়েছে।

‘আইএস-কে’ কারা?

আফগানিস্তানের কাবুলে হামলা চালানো ‘আইএস-কে’ এর পুরো নাম ‘ইসলামিক স্টেট অব খোরাসান’। জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আঞ্চলিক সহযোগী শাখা হিসাবে কাজ করছে তারা।

প্রাচীনকালে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সমন্বিত অঞ্চলকেই ‘খোরাসান’ বলা হতো। বর্তমানে ‘আইএস-কে’ দুই দেশেই সক্রিয় রয়েছে। কয়েক বছর ধরে সহিংস ঘটনার পেছনে এই গোষ্ঠীটি দায়ী বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

বিশেষ করে তারা স্কুলছাত্রীদের ওপর হামলা এমনকি হাসপাতালে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছিল। এখন তারা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসের নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সেই সঙ্গে এ-ও ধারণা করা হয়, ‘আইএস-কে’ তালেবানের তৃতীয় পক্ষ হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গেও সম্পৃক্ত রয়েছে।

সদস্য কারা : খোরাসানে ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠাই মূলত তাদের লক্ষ্য। আফগানিস্তানে যতগুলো জিহাদি গোষ্ঠী সক্রিয়, তাদের মধ্যে এই আইএস-কে সবচেয়ে বেশি উগ্রপন্থি ও সহিংস।

আইএস যখন ইরাক ও সিরিয়ার বড় একটি অংশ দখল করে নিয়ে খেলাফত কায়েমের ঘোষণা দিয়েছিল, সেই সময় ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে ‘আইএস-কে’র গোড়াপত্তন হয়।

বিবিসি জানিয়েছে, উগ্রপন্থি এ গোষ্ঠী পাকিস্তান ও আফগানিস্তান-এই দুই দেশ থেকেই নিজেদের সদস্য সংগ্রহ করে। তাদের নজর থাকে কট্টর জিহাদিদের দিকে, বিশেষ করে সাবেক তালেবান যোদ্ধাদের দিকে, যারা নিজেদের সংগঠনকে আরও বেশি কট্টর ভূমিকায় দেখতে চাইত।