আজ বৃহস্পতিবার থেকে তিন দিনের মধ্যে এটা বন্ধ করা হবে সিটিং সার্ভিস ও গেটলক সার্ভিস। ঢাকা মহানগর এলাকায় চলাচলকারী কোনো বাস সিটিং সার্ভিস ও গেটলক সার্ভিস থাকবে না। এ ধরনের সার্ভিস অবৈধ বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। নগর পরিবহনের সব বাসই লোকাল বাস হিসেবে চলবে। যাত্রীরা বাসের চার্ট দেখে ভাড়া দেবেন। বাস মালিক, শ্রমিক, বিআরটিএ ও ডিএমপির সমন্বয়ে গঠিত ১১টি ভিজিলেন্স টিম এটা মনিটরিং করবে।
এ ছাড়া আগামী তিন দিনের মধ্যে ডিজেল ও সিএনজিচালিত বাসের মধ্যে স্টিকার লাগানো হবে। এতে যাত্রীরা তাদের ন্যায্য ভাড়া দিতে পারবেন। গতকাল দুপুরে রাজধানীর রমনায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। বাস ভাড়া পুনর্নির্ধারণ ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন যৌথভাবে রমনার ইউনিক হাইটস ভবনের চতুর্থ তলায় নিজস্ব কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘বাস ভাড়া পুনর্র্নির্ধারণের পর বিআরটিএ ও ডিএমপির অভিযানে যেসব বাসকে জরিমানা করা হচ্ছে, তাদের অধিকাংশই ‘সিটিং ও গেলক’ সার্ভিস হিসেবে ঢাকার সড়কে চলছিল। আমাদের অনুসন্ধানে ১২০টি কোম্পানির ৬ হাজার বাসের মধ্যে মাত্র ১৯৬টি সিএনজিচালিত বাস পাওয়া গেছে। দূরপাল্লায় সিএনজিচালিত বাস নেই। বাস মালিক-শ্রমিক সমন্বয়ে ১১টি ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে। তারা আগামীকাল (আজ) থেকে মাঠে নামবে। বেশি ভাড়া নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’