মতলব উত্তর প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেইটে দু’ঘন্টা পরে থেকে অবশেষে মৃত্যর কোলে ঢলে পড়ল শাহজাহান (৪০। ৮ জুন (সোমবার) সকালে সে স্ট্রোক করলে স্হানীয় লোকজন নিয়ে যায় মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু করোনা থাকতে পারে এই ভয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে প্রবেশ করতে দেয়নি। এ অভিযোগ মৃত্য ব্যক্তির পরিবারের।
মৃত শাহজাহানের স্ত্রী বলেন, ৮ জুন সোমবার সকালে শাহজাহান চা খাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছে। কিছুক্ষণ পর লোক মারফত জানতে পাই আবুরকান্দি বাজারে চা দোকানের সামনে সে স্ট্রোক করলে লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে।
আমি দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে দেখি আমার স্বামী গেটের সামনে সড়কে পড়ে আছে। কেউ হাসপাতালে প্রবেশ করাতে দিচ্ছে না। হাসপাতালের ডাক্তারদের কে অনেক অনুরোধ করলেও তারা চিকিৎসার জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি।
হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে সড়কে দু’ঘন্টা অপেক্ষার পর অবশেষে আমার স্বামী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই অনেক রোগি এখানে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেনা। তাদের উদাসীনতার কারনে শাহজাহান মারা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল কুদ্দুস ও সোহেল রানা জানান,, শাহাজান চা দোকানে বসে চা খাওয়ার সময় হঠাৎ সে ঘুরে পড়ে যায়। আমরা মনে করলাম সে স্ট্রোক করছে।
উপস্থিত সবাই শাহাজানকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু হাসপাতালের লোকজন তাকে ভিতরে যেতে দিল না। তারা মনে করেছে সে করোনা রোগী। আমরা সবাই বললাম করোনা রোগের কোনো লক্ষন তার মধ্যে নেই। অনেক অনুরোধ করেও হাসপাতালের কোনো ডাক্তার কথা শুনল না। এমনকি হাসপাতালের ভিতরে ডুকতেও দিলোনা। পরে শাহজাহান ওইখানেই মারা গেলো।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান মিথেন বলেন, এ ব্যাপারে আমাকে কেউ অভিযোগ করেনি। যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।