চাঁদপুর, ৩ জুন, বুধবার:
চাঁদপুর জেলা সদর ও উপজেলাগুলোতে গত দুই মাসে করোনা উপসর্গ নিয়ে ৪৩জন নারী ও পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যুর পরে তাদের নমুনা পরীক্ষা করে ১৮ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। বাকী ১৯ জনের নেগেটিভ এবং ৬ জনের রিপোর্ট অপেক্ষমান আছে।
বুধবার (৩ জুন) চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে গনমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। শুধুমাত্র মঙ্গলবার দিনগত রাত থেকে আজ বুধবার বিকেল পর্যন্ত চাঁদপুর সদরে ৩জন, হাজীগঞ্জ ২জন ও শাহরাস্তিতে ১জন করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মধ্যে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৩জনই উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
এভাবে প্রতিদিনই করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে মানুষ। মৃত্যুর পরই যেহেতু তাদের করোনা পজিটিভ না নেগেটিভ তা নির্নয় করা সম্ভব হচ্ছে না, সেইজন নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার রিপোর্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে ওই পরিবারে লোকদেরকে। যার ফলে ওই পরিবার ও আশাপাশের লোকদের মধ্যে একটি অজানা আতংক কাজ করতে থাকে। সম্প্রতি সময়ে এই বিষয়ে চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মো. সাখাওয়াত উল্লাহর সাথে কথা হলে তিনি জানান, অনেক সময় সচেতনতার অভাবে আক্রান্তরা বিষয়টি গোপনে রাখে। তারা উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরমার্শ ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চললে মৃত্যু ঝুঁকি কম থাকে। দেখাগেছে অনেক সচেতন লোকও শেষ মুহুর্তে এসে যোগাযোগ করে। যার কারণে ইচ্ছা থাকলেও আমরা চিকিৎসা দেয়ার সুযোগ পাই না। এর আগেই আক্রান্ত লোকজন মৃত্যুবরণ করেন।