মোঃ হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া:
জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে পরিকল্পিতভাবে পাখি বেগমকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করেন পরিবারের সদস্যরা।
ঘটনার বিবরণেজানাজায় শাহরাস্তি উপজেলার মেহের দক্ষিন ইউনিয়নের দক্ষিন দেবকরা গ্রামের (পাঁচানী বাড়ী) জুয়েল রানার স্ত্রী এক সন্তানের জননী পাখি বেগম রহস্য জনকভাবে মার যায়। গত ১৫/০৫/২০ ইং সন্ধা আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে। মৌখিকভাবে ভিকটিমর পরিবার এ প্রতিনিধিকে জানান দক্ষিন দেবকরা গ্রামেরপাঁচানী বাড়ির মৃত আবুল হোসেনের মেয়ে পাখি বেগম (২৩) কে একই বাড়ির মোঃ আবদুস ছাত্তারের পুত্র মোঃ জুয়েল রানা ( ২৭) এর নিকট ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী বিবাহ হয় প্রায় দুই বছর পূর্বে । এরই মাঝে তাদের একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। জুয়েল রানার আপন মা নাই, তার বাবা আবদুস সাত্তার প্রথম বিয়ে করেছিলেন ঢাকায় সে ঘরের সন্তান জুয়েল রানা। আবদুস সাত্তার এর সাথেে মিহিরদের পরিচয় হয়েছিল ঢাকায়।
সে সুবাদে ছেলেকে নিয়ে এ গ্রামে এসে মৃত আবদুস সালাম এর মেয়ে শাহানারা কে বিবাহ করে এবং ঘরদরজা করে থেকে যায় । নতুন সংসার বাঁধে। বাবা ছাড়া জুয়েল রানার কোন আত্মীয় স্বজন নাই। কাজ কর্ম করে এ মায়ের সাথে খাওয়া খায়। বিয়ের জন্য পাত্রী ঠিক করে পাখি বেগমকে। পাখি ছোট থাকাবস্তায় কাজ করত পাশের বাড়ির নুরুল ইসলামের ঘরে। তাদের মতামতের ভিত্তিতে জুয়েলের সাথে বিয়ে হলে, নুরুল ইসলাম জামাইকে একটি ঘর করে দিলে তারা স্বামী স্ত্রীসে ঘরে থাকে। খানা পিনা হয়, সৎ মায়ের সাথে। এরই মাঝে বছর খানেক পূর্বে শানু বেগমের বড় মেয়ে সুমি আক্তার কে বিয়ে দেওয়া হয়েছে চাটখিল থানার হীরাপুর গ্রামের আবদুস সাত্তার এর ছেলে শরিফুল ইসলাম এর সাথে। সেও এখানে ঘরজামাই থেকে যায়।
ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানাযায় শরিফুলের নজর পড়ে জুয়েল রানার স্ত্রী পাখি বেগমের উপর। পাখি বেগম পাত্তা দিত না । খানা পিনা সব একত্রেই খায়। মৃত্যুর সাপ্তাহ খানেক আগে শরিফুল মার ধর করেছিল জুয়েল রানাকে। এ ব্যাপারে পাখি বেগমের মামা শ্বশুর এসে সিদ্ধান্তঃ নেয় যে তারা আলাদা হতে হবে, যদি না হয়, তাহলে তিনি ঘরে তালা দিবেন। এ কথা শুনার পর তারা আলেদা হয়ে যায় ।
এ কথাগুলো বলেছেন মৃত আবদুস সালামের ছেলে মোঃ সাঈদুর রহমান মিহির। তিনি আরও জানান আমার বোন আমার খরিদা জাগায় থাকে, সেও ( জুয়েল রানা) আমার জায়গায় থাকে। আমি চিন্তা করেছি তাকে ৩ ডিসিম সম্পত্তি দিবো, আর দেওয়া হল না। এরই মাঝে সে আত্মহত্যা করেছে ।
এলাকাবাসী বলছে ভিন্ন কথা, পাখি বেগম যাদের ঘরে কাজ করত তারা তাকে ঘর করে দিয়েছে। মিহির থেকে ৩ ডিসিম সম্পত্তি কিনে দিবে, আরও ডিসিম সম্পত্তি সে তার বোনকে দিবে, এতে বোন নারাজ সে ৬ ডিসিম সম্পত্তি একাই দাবী করে। এতে মিহির রাজি না হওয়ায় ভাই বোনের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। জামাই শ্বাশুড়ি মিল করে জমি এবং ঘর দখল করার পায়তারা
করে। তারা জানে জুয়েল রানা হাবলা তার স্ত্রী পাখি বেগম চালু তাকে সরাতে পারলে সব কিছু তাদের আয়েত্মে চলে আসবে।
ঘটনার দিন ১৫ মে ইফতারের ঘন্টা খানেক আগে বিস্কুট আনার জন্য দোকানে যায় জুয়েল রানা এরই মাঝে শুরু হয় ঝড় বৃষ্টি, সে বাড়িতে আসতে দেরি হয়। বৃষ্টি থামার পর বাড়িতে এসে দেখতে পায় তার স্ত্রী চটপট করছে তাকে দেখে মুখের ভিতর থেকে কাগজের দলাবের করে জুয়েলের হাতে দিলে সে দৌড়ে মিহিরের ঘরে গিয়ে ঘটনা বললো তারা বলছে হয়ত তোর বউ বিষ খেয়েছে। ফিরে এসে দেখে মৃতপ্রায়, তাকে দ্রুত শাহরাস্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যার কোন আলামত না পেলেও আত্মহত্যার প্ররোচনায় একটি অভিযোগ গ্রহন করেছেন। যার বাদী ভিকটিমের ভাই জহিরুল ইসলাম, সে এ প্রতিনিধি বলেন আমি আসামী করেছি শরিফুল ইসলাম ও তার শ্বাশুড়ি শাহানারা আক্তারকে। আমার বোনের জামাই নির্দোষ, সে হাবাগোবা সিদা, এখন দেখি সে এক নাম্বার আসামী, ১নং আসামী হয়েগেছে ২ নাম্বার আসামী হয়েছ ৩ নাম্বার আসামী। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসতেই ৪নং আসামী আবু সাঈদ মিহির জামিনে চলে আসে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সৈকত দাস গুপ্ত বলেন হত্যা না আত্মহত্যা তা এখন বলা যাবে না। আগে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসুক।
তিনি বলছেন, আমারা ৪ জন আসামীর মধ্যে ৩জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। আটক কৃতরা হচ্ছেন (১) মোঃ জুয়েল রানা (২) শরিফুল ইসলাম, (৪) আবু সাঈদ মিহির। (৩) নং আসামী শাহানারা আক্তার পলাতক।