লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ অভিবাসীকে গুলি করে হত্যা করে মানব পাচারকারীরা

  • আপডেট: ০৯:০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মে ২০২০
  • ২৯

ছবি-সংগৃহিত্

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

লিবিয়ায় মানব পাচারকারীরা গুলি করে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ জন অভিবাসীকে হত্যা করেছে। অন্য চারজন আফ্রিকার অভিবাসী।

দেশটির এক মানব পাচারকারী মারা যাওয়ার পর প্রতিশোধ নিতে তার পরিবারের সদস্যরা ওই ৩০ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে। খবর ডেইলি সাবাহর।

ওই পাচারকারী আগেই মারা যান। সেই মৃত্যুর দায় ওই অভিবাসীদের ওপর চাপিয়েছেন তার স্বজনরা। তার প্রতিশোধ নিতেই ওই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃত লিবিয়ার সরকার গভার্নমেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকর্ড (জিএনএ) বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।

জিএনএর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই বিবৃতিতে বলেছে, লিবিয়ার মিজদা শহরে ওই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সময় গুলিতে আহত আরও ১১ জনকে জিনতান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইএমও) লিবিয়ার মুখপাত্র সাফা এমসেহলি বলেন, নৃশংস এ ঘটনার খবর আমরা জানতে পেরেছি। বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। এ ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

গাদ্দাফি পরবর্তী গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত লিবিয়ায় কাজের সন্ধানে এশিয়া ও আফ্রিকার অনেক দেশ থেকেই তরুণরা অবৈধ পথে দেশটিতে পাড়ি জমায়।

তাদের বেশিরভাগেরই লক্ষ্য থাকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধ ভাবে ইউরোপের কোনো দেশে যাওয়া। এশিয়া–আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে লিবিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি— পুরো রুটে মানব পাচারকারী বিশাল চক্র সক্রিয় রয়েছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

হাজীগঞ্জে বাজার তদারকি অভিযানে ২ প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা

লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ অভিবাসীকে গুলি করে হত্যা করে মানব পাচারকারীরা

আপডেট: ০৯:০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মে ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

লিবিয়ায় মানব পাচারকারীরা গুলি করে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ জন অভিবাসীকে হত্যা করেছে। অন্য চারজন আফ্রিকার অভিবাসী।

দেশটির এক মানব পাচারকারী মারা যাওয়ার পর প্রতিশোধ নিতে তার পরিবারের সদস্যরা ওই ৩০ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে। খবর ডেইলি সাবাহর।

ওই পাচারকারী আগেই মারা যান। সেই মৃত্যুর দায় ওই অভিবাসীদের ওপর চাপিয়েছেন তার স্বজনরা। তার প্রতিশোধ নিতেই ওই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃত লিবিয়ার সরকার গভার্নমেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকর্ড (জিএনএ) বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।

জিএনএর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই বিবৃতিতে বলেছে, লিবিয়ার মিজদা শহরে ওই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সময় গুলিতে আহত আরও ১১ জনকে জিনতান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইএমও) লিবিয়ার মুখপাত্র সাফা এমসেহলি বলেন, নৃশংস এ ঘটনার খবর আমরা জানতে পেরেছি। বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। এ ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

গাদ্দাফি পরবর্তী গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত লিবিয়ায় কাজের সন্ধানে এশিয়া ও আফ্রিকার অনেক দেশ থেকেই তরুণরা অবৈধ পথে দেশটিতে পাড়ি জমায়।

তাদের বেশিরভাগেরই লক্ষ্য থাকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধ ভাবে ইউরোপের কোনো দেশে যাওয়া। এশিয়া–আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে লিবিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি— পুরো রুটে মানব পাচারকারী বিশাল চক্র সক্রিয় রয়েছে।