নতুনেরকথা ডেস্ক:
মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ‘অপ্রমাণিত তথ্য’ প্রচারের অভিযোগ তুলতেই টুইটারকে বন্ধ করে দেবেন বলে হুমকি দিলেন তিনি। নির্বাচনের পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতিতে অনেকরকম কারচুপি হয় বলে দাবি করেন ট্রাম্প। টুইটারে এবিষয়ে দু’টি পোস্টও করেন তিনি। একটি মঙ্গলবার, আরেকটি বুধবার। কিন্তু এই দাবির সপক্ষে কোনও ভিত্তি দিতে পারেননি তিনি। তাই টুইটার কর্তৃপক্ষ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘অপ্রমাণিত তথ্য’ প্রচার করার অভিযোগ তুলল।
দু’টি পোস্টের নীচেই টুইটার কর্তৃপক্ষ পোস্টের ভিত্তি দাবি করে একটি কমেন্ট করে। কিন্তু তিনি তো সর্বশক্তিমান। এই অভিযোগ ওঠার পরেই আমেরিকায় সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করে দেবেন বলে হুমকি দিলেন তিনি। ‘রিপাবলিকানরা মনে করেন যে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি তাঁদের রক্ষণশীল কণ্ঠগুলিকে বুজিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এমন ঘটনা দ্বিতীয়বার যাতে না ঘটে, তার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর কড়া নজরদারি চালাতে হবে অথবা এদের সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতে হবে।’ জানালেন ট্রাম্প। মাধ্যম কিন্তু সেই টুইটারই। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি।
একইসঙ্গে তাঁর দাবি, গত নির্বাচনেও সোশ্যাল মিডিয়া তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছিল। কিন্তু তাও জিততে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে চিৎকার করলেন তিনি টুইটারে। লিখলেন, ‘যে সবথেকে বেশি জালিয়াতি করেছে, সেই জিতবে। ঠিক যেমন সোশ্যাল মিডিয়া, তোমরাও তোমাদের কাজকর্মগুলো বন্ধ করো, এখনই!’
কিন্তু একের পর এক তথ্য তো তাঁর বিরুদ্ধেই কথা বলছে। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, ২০১৬ সালে নির্বাচনে জেতার আগে এই ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইটি সেলই গুজব রটানোয় শিরোপা পেয়েছিল। ‘ব্যারাক ওবামা সেদেশের নাগরিক নন, তাঁর প্রেসিডেন্ট হওয়ার কোনও যোগ্যতা নেই’ এই বিখ্যাত গুজবটিকে দেশের কোণায় কোণায় ছড়িয়েছিল ট্রাম্পের ব্র্যান্ডই। শুধু কি এই? আমেরিকার বিখ্যাত টেলিভিশন হোস্ট চার্লস জোসেফ স্কারবরোর বিরুদ্ধে একজন সরকারি আধিকারিককে খুনের অভিযোগও তুলেছিলেন তিনি। পরে এই গুজব মিথ্যে বলে প্রমাণিত হয়েছিল।