করোনা ভীতির মধ্যেই শাহরাস্তিতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

  • আপডেট: ০৯:১৬:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০
  • ২৯

শাহরাস্তি লকডাউনের মধ্যেই চলছে ঈদ কেনাকাটা।

শাহরাস্তি প্রতিনিধি:

দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন দিন দিন বেড়েই চলছে করোনা রুগি। ইতোমধ্যে শাহরাস্তি উপজেলায় ৪ জন  করোনা রোগি সনাক্ত হয়েছে। উপজেলার হাসপাতাল ও ঠাকুর বাজার এলাকায় করোনা রুগি সনাক্ত হওয়ায় জন সাধারণ স্বাস্থ্য ঝুঁকির মাধ্যে রয়েছে। তারপরও থেমে নেই মানুষের অবাধ বিচরণ।

করোনা আতংকের মাঝেও শাহরাস্তি উপজেলার প্রধান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ঈদের কেনা কাটা জমে উঠেছে। বিভিন্ন মার্কেট গুলোতে ঘুরে দেখা যায় কোন প্রকার স্বাস্থ্য বিধি না মেনেই চলছে অবাধে বেচা কেনা। মার্কেট গুলোতে পুরুষের তুলনায় নারীর উপস্থিতি অনেক বেশী। মহিলারা কোলে ও হাতে শিশুদের নিয়ে এক দোকান থেকে আরেক দোকানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাদের কেনা কাটা দেখলে বুঝাই যাবেনা যে বিশ্ব জুড়ে এক মহামারী গ্রাস করে নিয়েছে মানব জাতিকে।

আরো পড়ুন: সুর্যোদয়ের পূর্বেই জমে উঠে হাজীগঞ্জের ঈদ বাজার

শাহরাস্তি উপজেলার প্রধান বাজার গুলোর মধ্যে অনেক দোকানই খোলা রয়েছে। এছাড়া প্রধান মার্কেট গুলো গেইট লাগিয়ে ভিতরে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। কোন দোকানেই স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছেনা। সামাজিক দূরত্ব কাকে বলে অনেকেই জানেন না। সবার সাথে তাল মিলিয়ে সব দোকান পাঠ খোলা রাখার প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে। জামা কাপড়ের দোকান ছাড়াও জুতা, হার্ডওয়ার, ওয়ার্র্কসপ, মিস্টি দোকান, প্লাস্টিক সামগ্রীসহ বেশির ভাগ দোকানই খোলা দেখা যায়।

অনেক বাজারের দোকান গুলো অর্ধেক সার্টার খোলা রেখে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেক ব্যবসায়ীকে চোর পুলিশ খেলতে দেখা গেছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দোকান বন্ধ করে ভিতরে বসে থাকতে দেখা গেছে আবার পুলিশ চলে গেলে সার্টার খুলে মনের আয়েশে ব্যবসা করতে দেখা যায়। সরকার কতৃর্ক যান চলাচলের বিধি নিষিধ আরোপের পর থেকে কিছুটা যান চলাচল কম থাকলেও বর্তমানে যান চলাচল অনেক হারে বেড়ে গেছে। সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, ব্যাটারী চালিত রিক্সা, ইট বহনকরা হাইড্রোলিক ট্রাকসহ জনসাধারণের অবাধ যাতায়াত লক্ষ করা গেছে। সরকারী, বেসরকারী ও ব্যাক্তি পর্যায়ে ত্রাণ সহগোগিতা দেয়ার পরও মানুষ কে ঘর মুখি করা যাচ্ছেনা।

শাহরাস্তির বাজার গুলোতে মানুষের সমাগম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিগত কয়েক দিন থেকে ব্যাংক গুলোতে গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে মেহার কালীবাড়িতে অবস্থিত সোনালী ব্যাংকের শাখায় সকাল থেকেই দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। কোন প্রকার সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই জিবনের ঝুঁকি দিয়ে লেনদেন করতে আসেন গ্রাহকরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে উপজেলার সচেতন মহল জন সাধারণের অবাধ বিচরণ বন্ধ করতে কোথাও উল্লেখযোগ্য কোন তদারকি লক্ষ করা যায়নি। এ ব্যপারে পুুলিশের ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ করা গেছে। করোনা মোকাবেলায় শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচর্জ শাহ আলম উপজেলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন।

মেহার কালিবাড়ী বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান পাটওয়ারী জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশ মতো জেলা জুড়ে লকডাউন চলছে এতে বাজারের সকল দোকান পাট বন্ধ থাকার কথা কিন্ত অনেক ব্যবসায়ী নির্দেশ অমান্য করে দোকান খোলা রেখেছে এর দায় দায়ীত্ব তাদের বহন করতে হবে। আমরা বলে দিয়েছি এর দায়ভার আমরা নিবো না।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চাঁদপুরে দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

করোনা ভীতির মধ্যেই শাহরাস্তিতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

আপডেট: ০৯:১৬:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০

শাহরাস্তি প্রতিনিধি:

দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন দিন দিন বেড়েই চলছে করোনা রুগি। ইতোমধ্যে শাহরাস্তি উপজেলায় ৪ জন  করোনা রোগি সনাক্ত হয়েছে। উপজেলার হাসপাতাল ও ঠাকুর বাজার এলাকায় করোনা রুগি সনাক্ত হওয়ায় জন সাধারণ স্বাস্থ্য ঝুঁকির মাধ্যে রয়েছে। তারপরও থেমে নেই মানুষের অবাধ বিচরণ।

করোনা আতংকের মাঝেও শাহরাস্তি উপজেলার প্রধান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ঈদের কেনা কাটা জমে উঠেছে। বিভিন্ন মার্কেট গুলোতে ঘুরে দেখা যায় কোন প্রকার স্বাস্থ্য বিধি না মেনেই চলছে অবাধে বেচা কেনা। মার্কেট গুলোতে পুরুষের তুলনায় নারীর উপস্থিতি অনেক বেশী। মহিলারা কোলে ও হাতে শিশুদের নিয়ে এক দোকান থেকে আরেক দোকানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাদের কেনা কাটা দেখলে বুঝাই যাবেনা যে বিশ্ব জুড়ে এক মহামারী গ্রাস করে নিয়েছে মানব জাতিকে।

আরো পড়ুন: সুর্যোদয়ের পূর্বেই জমে উঠে হাজীগঞ্জের ঈদ বাজার

শাহরাস্তি উপজেলার প্রধান বাজার গুলোর মধ্যে অনেক দোকানই খোলা রয়েছে। এছাড়া প্রধান মার্কেট গুলো গেইট লাগিয়ে ভিতরে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। কোন দোকানেই স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছেনা। সামাজিক দূরত্ব কাকে বলে অনেকেই জানেন না। সবার সাথে তাল মিলিয়ে সব দোকান পাঠ খোলা রাখার প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে। জামা কাপড়ের দোকান ছাড়াও জুতা, হার্ডওয়ার, ওয়ার্র্কসপ, মিস্টি দোকান, প্লাস্টিক সামগ্রীসহ বেশির ভাগ দোকানই খোলা দেখা যায়।

অনেক বাজারের দোকান গুলো অর্ধেক সার্টার খোলা রেখে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেক ব্যবসায়ীকে চোর পুলিশ খেলতে দেখা গেছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দোকান বন্ধ করে ভিতরে বসে থাকতে দেখা গেছে আবার পুলিশ চলে গেলে সার্টার খুলে মনের আয়েশে ব্যবসা করতে দেখা যায়। সরকার কতৃর্ক যান চলাচলের বিধি নিষিধ আরোপের পর থেকে কিছুটা যান চলাচল কম থাকলেও বর্তমানে যান চলাচল অনেক হারে বেড়ে গেছে। সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, ব্যাটারী চালিত রিক্সা, ইট বহনকরা হাইড্রোলিক ট্রাকসহ জনসাধারণের অবাধ যাতায়াত লক্ষ করা গেছে। সরকারী, বেসরকারী ও ব্যাক্তি পর্যায়ে ত্রাণ সহগোগিতা দেয়ার পরও মানুষ কে ঘর মুখি করা যাচ্ছেনা।

শাহরাস্তির বাজার গুলোতে মানুষের সমাগম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিগত কয়েক দিন থেকে ব্যাংক গুলোতে গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে মেহার কালীবাড়িতে অবস্থিত সোনালী ব্যাংকের শাখায় সকাল থেকেই দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। কোন প্রকার সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই জিবনের ঝুঁকি দিয়ে লেনদেন করতে আসেন গ্রাহকরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে উপজেলার সচেতন মহল জন সাধারণের অবাধ বিচরণ বন্ধ করতে কোথাও উল্লেখযোগ্য কোন তদারকি লক্ষ করা যায়নি। এ ব্যপারে পুুলিশের ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ করা গেছে। করোনা মোকাবেলায় শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচর্জ শাহ আলম উপজেলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন।

মেহার কালিবাড়ী বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান পাটওয়ারী জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশ মতো জেলা জুড়ে লকডাউন চলছে এতে বাজারের সকল দোকান পাট বন্ধ থাকার কথা কিন্ত অনেক ব্যবসায়ী নির্দেশ অমান্য করে দোকান খোলা রেখেছে এর দায় দায়ীত্ব তাদের বহন করতে হবে। আমরা বলে দিয়েছি এর দায়ভার আমরা নিবো না।