হাজীগঞ্জে ভাতিজাকে পিটিয়ে মারলো চাচা, চাচী ও তার ছেলে মেয়ে

  • আপডেট: ০৯:০৬:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মে ২০২০
  • ৩৩

নিহত ইদ্রিস। ফাইল ফটো।

হাজীঞ্জ, ১০ মে, রবিবার:

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে আপন ভাতিজাকে পিটিয়ে মেরেছে আপন চাচা, চাচী ও তার ছেলে মেয়ে। রবিবার আছর নামাজের পর উপজেলার ২নং বাকিলা ইউনিয়নের ছয়ছিলা গ্রামের বকাউল বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ইদ্রিস বকাউল একই গ্রারেম একই বাড়ীর প্রবাসী শহীদ উল্যাহর ছেলে। মাগরিবের পর হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইদ্রিসকে তার ভাই কুদ্দুস নিয়ে আসলে কর্ত্যব্যরত ডাক্তার মৃত্যু ঘোষণা করেন।

নিহত নিহত ইদ্রিসের বড় ভাই ভাই আবদুল কুদ্দুস জানান, তাদের বাড়ীর পুকুরের পানি কমে দূর্গন্ধ হয়ে যাওয়ায় গোসল করতে সমস্যা হচ্ছিল। ইদ্রিস চেয়েছিল পুকুরের পানি সেচে পানি ফেলে দিবে। বৃষ্টির নতুন পানি পুকুর ভরলে ভালো পানি পাওয়া যাবে। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে আমার আপন চাচা শাহ্জাহান তাকে মারধর করে। এর সাথে তার স্ত্রী হাজেরা বেগম, ছেলে বাবু, ও মেয়ে কুলসুমা ক্ষিপ্ত হয়ে পিটিয়ে আমার ভাইকে হত্যা করে।

হাসপাতালে পড়ে আছে নিহত ইদ্রিসের নিথর দেহ। ছবি-নতুনেরকথা।

তিনি আরো জানান, আছরের সময় আমরা দুই ভাই বাড়ীর মসজিদে এক সাথে নামাজ আদায় করেছি। আমার ভাই আগে বাড়ীতে গিয়েছি। তার পেছন দিয়ে আমি আসার কথা ছিল। কিছুক্ষণ পর খবর পাই আমার চাচা ও চাচতো ভাই-বোন মিলে আমার ভাইকে মারতেছে। গিয়ে দেখি আমার ভাই মাটিতে পড়ে আছে। পড়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন রনিকে ফোন করলে তিনি জানান, আমরা ঘটনাটি শুনে ইফতারের সময় এখানে এসেছি। এখনো ঘটনাস্থলে আছি।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

১৬ বছর ধরে গায়ের জোরে ক্ষমতায় ছিল আ. লীগ: এহছানুল হক মিলন

হাজীগঞ্জে ভাতিজাকে পিটিয়ে মারলো চাচা, চাচী ও তার ছেলে মেয়ে

আপডেট: ০৯:০৬:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মে ২০২০

হাজীঞ্জ, ১০ মে, রবিবার:

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে আপন ভাতিজাকে পিটিয়ে মেরেছে আপন চাচা, চাচী ও তার ছেলে মেয়ে। রবিবার আছর নামাজের পর উপজেলার ২নং বাকিলা ইউনিয়নের ছয়ছিলা গ্রামের বকাউল বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ইদ্রিস বকাউল একই গ্রারেম একই বাড়ীর প্রবাসী শহীদ উল্যাহর ছেলে। মাগরিবের পর হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইদ্রিসকে তার ভাই কুদ্দুস নিয়ে আসলে কর্ত্যব্যরত ডাক্তার মৃত্যু ঘোষণা করেন।

নিহত নিহত ইদ্রিসের বড় ভাই ভাই আবদুল কুদ্দুস জানান, তাদের বাড়ীর পুকুরের পানি কমে দূর্গন্ধ হয়ে যাওয়ায় গোসল করতে সমস্যা হচ্ছিল। ইদ্রিস চেয়েছিল পুকুরের পানি সেচে পানি ফেলে দিবে। বৃষ্টির নতুন পানি পুকুর ভরলে ভালো পানি পাওয়া যাবে। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে আমার আপন চাচা শাহ্জাহান তাকে মারধর করে। এর সাথে তার স্ত্রী হাজেরা বেগম, ছেলে বাবু, ও মেয়ে কুলসুমা ক্ষিপ্ত হয়ে পিটিয়ে আমার ভাইকে হত্যা করে।

হাসপাতালে পড়ে আছে নিহত ইদ্রিসের নিথর দেহ। ছবি-নতুনেরকথা।

তিনি আরো জানান, আছরের সময় আমরা দুই ভাই বাড়ীর মসজিদে এক সাথে নামাজ আদায় করেছি। আমার ভাই আগে বাড়ীতে গিয়েছি। তার পেছন দিয়ে আমি আসার কথা ছিল। কিছুক্ষণ পর খবর পাই আমার চাচা ও চাচতো ভাই-বোন মিলে আমার ভাইকে মারতেছে। গিয়ে দেখি আমার ভাই মাটিতে পড়ে আছে। পড়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন রনিকে ফোন করলে তিনি জানান, আমরা ঘটনাটি শুনে ইফতারের সময় এখানে এসেছি। এখনো ঘটনাস্থলে আছি।