হাজীগঞ্জে করোনা উপসর্গে নিহত নারীর লাশ দাফনে সহযোগিতা করেন ইউপি চেয়ারম্যান 

  • আপডেট: ০৪:১৫:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মে ২০২০
  • ১৮

হাজীগঞ্জ, ২ মে, শনিবার:

চাঁদপুরে হাজীগঞ্জের রাজারগাঁওয়ের নিহত ফাতেমা বেগমের (৪০) করোনা উপসর্গে নিহত নারীর লাশ দাফনে সহযোগিতা করেছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল হাদি মিয়া।

এ ঘটনায় উল্টো তার বিরুদ্ধে লাশ দাফনে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে ২/১টি অনলাইন পত্রিকা। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এলাকার দাবী সহযোগিতা করে যদি অপরাধী হতে হয়, তাহলে সহযোগিতা করে লাভ কি?

জানাযায়, হাজীগঞ্জের রাজারগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজারগাঁও গ্রামের মেয়ে ফাতেমা বেগম (৪০) করোনা উপসর্গ নিয়ে শুক্রবার (১ মে) রাত সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর হাসপাতালের আইসেলসনে মৃত্যুবরণ করেন। সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে রাত ৮টায় হাসপাতালে ভর্তির একঘন্টার মধ্যে  মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। রাতেই তার মৃতদেহ বাবার বাড়ী রাজারগাঁওয়ে কবর দেয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে। এতে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হাদিকে জানানো হলে তিনি জানান, বাড়ীর লোকজনের কোন আপত্তি না থাকলে আমার কোন আপত্তি নেই।

জানাযায়, মৃত ফাতেমা বেগমের বাসা চাঁদপুর শহরের মাদ্রাসা রোড এলাকায়। স্বামীর নাম জাহাঙ্গীর হোসেন । মৃত ফাতেমার  পিতার বাড়ি হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও গ্রামে। স্বামীর বাড়ি চট্রগ্রামে কর্মক্ষেত্রে চাঁদপুুর শহরে বসাবাস করতো।

মৃত ফাতেমা কে স্বামীর বাড়ি চট্রগ্রামে দাফন না করে, বাপের বাড়ি দাপন করার কারণে বাপের বাড়ীর লোকজন প্রথমত বাঁধা প্রদান করে। এমন পরিস্থিতি পুলিশ প্রশাসন, ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মো: আ: হাদী মিয়াসহ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসমাইল শেখের হস্তক্ষেপে সমাধান করে মৃতদেহ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মো: আ: হাদী মিয়া বলেন, মৃত ব্যক্তির স্বামীর বাড়ী চট্রগ্রামে হওয়ায় বাড়ির মানুষেরা প্রথমত বাঁধা প্রদান করে। বিষয়টি আমাকে ইউপি সদস্য ফোনে জানান। আমিও থানা প্রশসান সহ তৎক্ষনিক বাড়ীর মানুষদেরকে বুঝিয়ে দাফনের ব্যবস্থ করি।

তিনি বলেন, যেখানে আমি হস্তক্ষেপ করে দাফনের ব্যবস্থা করলাম সেখানে আমাকেই বলা হচ্ছে দাফনে বাঁধা দিয়েছি। এসব হলুদ সাংবাদিকতা ছাড়তে হবে। কারো বক্তব্য না নিয়ে সাহায্যকারীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করাটা একটা অন্যায়। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। আশা করি যেকোন সংবাদ প্রকাশ করার পূর্বে সত্য মিথ্যা যাছাই করে সংবাদ প্রকাশ করা উচিত।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন জানান, লাশ দাফনে বাড়ীর লোকজন বাঁধা দেয়। পরে ওই ওয়ার্ডের মেম্বারকে খবর দিয়ে আনা হলে মেম্বার জানান, বাড়ীর লোকজনের আপত্তি না থাকলে আমারও কোন আপত্তি নেই।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো জানান, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হাদীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, লাশ দাফনে কোন আপত্তি নেই। তিনিও লাশ দাফনে সহযোগিতা করেছেন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

১৬ বছর ধরে গায়ের জোরে ক্ষমতায় ছিল আ. লীগ: এহছানুল হক মিলন

হাজীগঞ্জে করোনা উপসর্গে নিহত নারীর লাশ দাফনে সহযোগিতা করেন ইউপি চেয়ারম্যান 

আপডেট: ০৪:১৫:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মে ২০২০

হাজীগঞ্জ, ২ মে, শনিবার:

চাঁদপুরে হাজীগঞ্জের রাজারগাঁওয়ের নিহত ফাতেমা বেগমের (৪০) করোনা উপসর্গে নিহত নারীর লাশ দাফনে সহযোগিতা করেছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল হাদি মিয়া।

এ ঘটনায় উল্টো তার বিরুদ্ধে লাশ দাফনে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে ২/১টি অনলাইন পত্রিকা। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এলাকার দাবী সহযোগিতা করে যদি অপরাধী হতে হয়, তাহলে সহযোগিতা করে লাভ কি?

জানাযায়, হাজীগঞ্জের রাজারগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজারগাঁও গ্রামের মেয়ে ফাতেমা বেগম (৪০) করোনা উপসর্গ নিয়ে শুক্রবার (১ মে) রাত সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর হাসপাতালের আইসেলসনে মৃত্যুবরণ করেন। সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে রাত ৮টায় হাসপাতালে ভর্তির একঘন্টার মধ্যে  মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। রাতেই তার মৃতদেহ বাবার বাড়ী রাজারগাঁওয়ে কবর দেয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে। এতে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হাদিকে জানানো হলে তিনি জানান, বাড়ীর লোকজনের কোন আপত্তি না থাকলে আমার কোন আপত্তি নেই।

জানাযায়, মৃত ফাতেমা বেগমের বাসা চাঁদপুর শহরের মাদ্রাসা রোড এলাকায়। স্বামীর নাম জাহাঙ্গীর হোসেন । মৃত ফাতেমার  পিতার বাড়ি হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও গ্রামে। স্বামীর বাড়ি চট্রগ্রামে কর্মক্ষেত্রে চাঁদপুুর শহরে বসাবাস করতো।

মৃত ফাতেমা কে স্বামীর বাড়ি চট্রগ্রামে দাফন না করে, বাপের বাড়ি দাপন করার কারণে বাপের বাড়ীর লোকজন প্রথমত বাঁধা প্রদান করে। এমন পরিস্থিতি পুলিশ প্রশাসন, ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মো: আ: হাদী মিয়াসহ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসমাইল শেখের হস্তক্ষেপে সমাধান করে মৃতদেহ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মো: আ: হাদী মিয়া বলেন, মৃত ব্যক্তির স্বামীর বাড়ী চট্রগ্রামে হওয়ায় বাড়ির মানুষেরা প্রথমত বাঁধা প্রদান করে। বিষয়টি আমাকে ইউপি সদস্য ফোনে জানান। আমিও থানা প্রশসান সহ তৎক্ষনিক বাড়ীর মানুষদেরকে বুঝিয়ে দাফনের ব্যবস্থ করি।

তিনি বলেন, যেখানে আমি হস্তক্ষেপ করে দাফনের ব্যবস্থা করলাম সেখানে আমাকেই বলা হচ্ছে দাফনে বাঁধা দিয়েছি। এসব হলুদ সাংবাদিকতা ছাড়তে হবে। কারো বক্তব্য না নিয়ে সাহায্যকারীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করাটা একটা অন্যায়। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। আশা করি যেকোন সংবাদ প্রকাশ করার পূর্বে সত্য মিথ্যা যাছাই করে সংবাদ প্রকাশ করা উচিত।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন জানান, লাশ দাফনে বাড়ীর লোকজন বাঁধা দেয়। পরে ওই ওয়ার্ডের মেম্বারকে খবর দিয়ে আনা হলে মেম্বার জানান, বাড়ীর লোকজনের আপত্তি না থাকলে আমারও কোন আপত্তি নেই।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো জানান, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হাদীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, লাশ দাফনে কোন আপত্তি নেই। তিনিও লাশ দাফনে সহযোগিতা করেছেন।