মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি,
মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্র ধরি,
মোরা সারা বিশ্বের শান্তি বাঁচাতে আজকে লড়ি।
মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি –
গানের কথা যিনি লিখেছেন সেদিন তার এই লেখার প্রয়োজন ছিলো, আর যার কন্ঠে বিশ্ব ব্যাপি শুনেছেন এই গান, তার চোখে, মুখে মুক্তিকামী মানুষের মধ্যে সাহস যুগিয়েছে এই গান, পাকবাহিনীর বিক্ষিপ্ত গুলিকেও ভয় করে ফিছু হটেনি বাংগালী জাতি – সেদিন ৫২ থেকে ৭১ – পর্যন্ত যারাই বাংলার আকাশে নতুন সূর্য ছিনিয়ে আনতে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যুদ্ধের ময়দানে ছিলেন এবং ১১ টি সেক্টরের দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের অনেকেই আজ নেই, শহীদ হয়েছেন – অবশেষে পাকিস্তানের হাত থেকে ছিনিয়ে এনেছেন বাংলাদেশ নামক স্বাধীন পতাকা।
১১ সেক্টরের মধ্যে এক নং সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন চাঁদপুর শাহরাস্তি উপজেলাস্থ নাওড়া পাটোয়ারী বাড়ির কৃতি সন্তান -হাজীগঞ্জ – শাহরাস্তি – ৫ আসনের সংসদ সদস্য – গণমানুষের নেতা, মানবতার প্রতিক সাবেক সফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর( অব) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি।
তিনি যুদ্ধের ময়দানে যেমন একজন সফল কমান্ডার ছিলেন, ব্যাক্তিগত জীবনেও তিনি সফল একজন মানুষ ।
যার বহু উদাহরণ রয়েছে যা লিখেও শেষ করা যাবেনা- ১৯৯৬ সাল থেকে আজবদি মেজর রফিক এলাকার উন্নয়নে স্থানীয় প্রশাসন ও জনগনকে সাথে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন, তিনি যখনি সময় পাচ্ছেন তখনি মানুষের পাশে থাকার চেস্টা করছেন। ব্যাক্তি জীবনে তিনি একজন সৎ, আদর্শ ও নিতিবান একজন মানুষ, বাংলাদেশের অনেক মন্ত্রী ও এমপি থেকে শুরু করে অনেকেই অনেক অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অনেক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। একমাত্র মেজর রফিক তাদের চাইতে ভিন্ন মানুষ বলেই বার বার তিনি সরকারি ও বেসরকারি ভাবে সন্মানিত হয়েছেন, ২০২০ সালে পেয়েছেন বাংলা একাডেমি মুক্তিযোদ্ধা সন্মাননা পদক।
যা কেউ এর আগে এই সন্মাননা পায়নি, মেজর রফিক সর্বপ্রথম এই সন্মান পেয়েছেন।
তিনি নিজ এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, রাস্তা ঘাট, ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। মাদক, যৌতুক, বাল্যবিবাহ, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, জংগীবাদ দমনে কাজ করছেন এবং স্থানীয় প্রশাসনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সে অনুযায়ী তা বাস্তবায়ন হচ্ছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বাস্তবায়িত প্রকল্পের অংশ হিসাবে স্থানীয় অসহায় হতদরিদ্র গৃহহীন মানুষকে ঘর দিয়েছেন, তাদের থাকার ব্যবস্থা করেছেন।
যখনি শুনছেন কোন পরিবারের কেউ টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না তাতক্ষনিক ভাবে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেন, টাকার অভাবে স্কুলে, কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ ভর্তি হতে পারছেন না তিনি তা শুনা মাত্রই তাদের লেখা পড়া করার দায়িত্ব নিচ্ছেন।
মানবতার প্রতিক মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি তিনি প্রায় তিন বছর আগে তার সহধর্মিণী রুবিনা ইসলামকে হারিয়েছেন – সে শোক বুকে চাপা রেখে তিনি স্থানীয় মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। আবার একশ্রেণির স্বার্থেন্নেশী মানুষ মেজর রফিক কে নিয়ে সমালোচনা করেন, মনে রাখতে তারাই অন্যের সমালোচনা করে যখন ব্যাক্তি স্বার্থ হাচিল হয়না।
সে সব লোকের কোন কথা আমলে না নিয়ে তিনি জনকল্যাণমুখী কাজ করে যাচ্ছেন – আর আওয়ামী ও এর অংগ সংগঠনের নেতা – কর্মী সবাইকে সততার সাথে ভালো কাজ করার আহবান জানাচ্ছেন।
বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাস আতংকে বিশ্বের প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা যখন ঘরে ঘরে প্রবেশ করছেন আর সুবিশাল আকাশের দিকে তাকিয়ে আংগুল দিয়ে বলছেন আই এম নাথিং – বাট আল্লাহ ইজ নো এভরিথিং।
ও ভাই যা চাইবে ওই আল্লাহর কাছে চাও, আমার কাছে কিছুই নেই।
সে সময়ে মেজর রফিক স্থানীয় জনগণের কল্যানে অসহায় হতদরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ, চিকিৎসা সহ যাবতীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে কাজ করছেন। স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করার আহবান জানিয়েছেন।
করোনা নিয়ে জনমনে আতংক দুর করে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সরকারের আইন মেনে চলার আহবান জানিয়েছেন।
প্রিয় পাঠক মজার বিষয় হচ্ছে মেজর অবঃ রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম আমার সংসদীয় আসনের এমপি হলেও কখনো কোন ব্যাক্তিগত দাবি নিয়ে যাওয়া হয়নি। তবে একজন সংবাদ কর্মী হিসাবে উনার উন্নয়ন মূখি অনেক সংবাদ করেছি। তবে ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি আয়োজিত একুশে বই মেলায় আমার লেখা প্রথম কবিতার বই তোমার উত্তাপে হৃদয় কাঁপে – বইটি উনাকে শুভেচ্ছা উপহার হিসাবে দেয়ার জন্য শাহরাস্তির পৌর মেয়র আলহাজ্ব আবদুল লতিফ চাচার বাসায় যাই, এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের এক নং সেক্টর কমান্ডার মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপির হাতে বইটি তুলে দিতেই তিনি হাসি মুখে বইটি গ্রহন করলেন, খোঁজ খবর নিলেন। ক্ষনিকের সময়ে আন্তরিকতা থেকে বুঝে নিয়েছি তিনিই একজন আদর্শিক মানুষ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক ওসি জাবেদ পাটোয়ারী, আওয়ামী লীগ নেতা মান্নান বেপারী, যুবলীগ নেতা আহসান মঞ্জুর, মোহাম্মদ খোকন প্রমুখ।
মানুষ মরনশীল, মরে যাবে এটাই আল্লাহর বিধান, তবে মরে যাবার আগে দুনিয়ার মাঝে এবং স্থানীয় জনকল্যাণে কিছু করে যেতে পারলেই – পৃথিবী ধ্বংস হলেও সে সব মানুষ বেঁচে থাকে কাজের মাধ্যমে। তেমনি একজন মানুষ হলেন – মানবতার অন্যতম প্রতিক মেজর( অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। আল্লাহ পাক সবাইকে হেফাজত করুন এবং সুস্থ ও নেক হায়াত দান করুন।
আসুন সবাই আত্ম অহামিকা দূর করে ক্ষনিকের জীবনে মানবকল্যানে সততার সঙ্গে ভালো কাজগুলি করি।
আসুন করোনা নিয়ে আতংকিত না হয়ে সচেতন হই। আল্লাহ অবশ্যই রহমত দান করবেন ইনশাআল্লাহ।
হয়তোবা আমিও এই লেখার মধ্য দিয়েই বেঁচে থাকবো, দুরপ্রবাসে আছি জানিনা কখন কোন দিন কি ভাবে আমার মৃত্যু রেখেছেন তা এক মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন ভালো জানেন। তিনিই তো অন্তর জামি। ভূল হলে দয়া করে ক্ষমা করবেন।
লেখক পরিচিতি – সাংবাদিক, নাট্যকার, কবি, লেখক-
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি – রিয়াদ বাংলাদেশ থিয়েটার,
শাহরাস্তি অপরূপা নাট্যগোষ্ঠী, চাঁদপুর।
প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও যুগ্ম সম্পাদক শাহরাস্তি রিপোর্টাস ইউনিটি -,সদস্য শাহরাস্তি প্রেসক্লাব- চাঁদপুর।