আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রোনাভাইরাসের মহামারী রুখতে ভারতে লকডাউন চলছে। আর এতে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বাড়ি ফিরতে খালি পেটে টানা দুদিনে ১৩৫ কিলোমিটার পথ হাঁটতে হয়েছে এক দিনমজুরকে।
পায়ে হাঁটা মহারাষ্ট্রের ২৬ বছর বয়সী ওই যুবকের নাম নরেন্দ্র শেলকে। পুনেতে তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন। লকডাউন শুরু হওয়ার পর তিনি চন্দ্রাপুর জেলার শাওলি তেহসিলে নিজ গ্রাম জামবাহে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন।
দুদিন হাঁটার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে নরেন্দ্র বলেন, যে কোনোভাবেই হোক তিনি পুনে থেকে নাগপুরের শেষ ট্রেনটি ধরতে সক্ষম হন। কিন্তু নাগপুরে পৌঁছেই আটকে পড়ে যান। গাড়িঘোড়া না পেয়ে পায়ে হাঁটা ছাড়া বাড়ি ফেরার আর কোনো বিকল্প পাচ্ছিলেন না তিনি।
এর পর পদযাত্রা শুরু করেন ওই যুবক। কোনো খাবার ছাড়াই দুদিন একটানা হাঁটেন। এ সময় কেবল পানি খেয়ে বেঁচে ছিলেন। মঙ্গলবার নরেন্দ্র শেলকে চন্দ্রপুরে পৌঁছান।
১৩৫ কিলোমিটার হাঁটার পর এ যুবক বুধবার রাতে মহারাষ্ট্রের সিন্ধেওয়াহি এলাকার শিবাজি স্কয়ারে পুলিশের টহল দলের সামনে পড়েন।
টহল দলের সদস্যরা শেলকের কাছে কারফিউ ভঙ্গের কারণ জানতে চাইলে চন্দ্রপুরের এ বাসিন্দা তার দুর্দশার কথা জানান। পুলিশ সিন্ধেওয়াহি থানার সহকারী পরিদর্শক নিশিকান্ত রামতেকে বলেন, বাড়ি ফিরতে তিনি যে দুদিন ধরে খালি পেটে হাঁটছেন।
এর পর তাকে তাৎক্ষণিকভাবে কাছাকাছি একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে পুলিশের এক উপপরিদর্শক বাড়ি থেকে তার জন্য খাবারও নিয়ে আসেন।
চিকিৎসকের অনুমতি পাওয়ার পর পুলিশ একটি গাড়ি করে শেলকেকে সিন্ধেওয়াহি থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে জামবাহ গ্রামে দিয়ে আসে। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ওই যুবককে বাড়িতে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।