নাইরোবিতে মহিলাদের স্তন কেটে বিক্রি: স্তম্ভিত গোটা বিশ্ব !

  • আপডেট: ০২:৫৮:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০১৯
  • ৭০

নতুনের কথা ডেস্ক:

নাইরোবির অপরাধীর স্বীকারোক্তি শুনে স্তম্ভিত গোটা দুনিয়া। দিন কয়েক আগে কেটিএন নিউজ কেনিয়া চ্যানেলে বোনিফেস কিমানিয়ানো নামের ওই ব্যক্তি বলে, মহিলাদের স্তন কেটে বিক্রি করত সে। প্রায় দু’ বছর ধরে এমন নৃশংস কাণ্ড ঘটিয়ে গিয়েছে। তার কথায়, একাজ একা নয়, দলবদ্ধভাবে করা হত। মূলত যৌনকর্মীদেরই টার্গেট করত তারা। নাইরোবির কইনাঙ্গি স্ট্রিট এলাকাতেই বেশি প্রতিপত্তি ঘটেছিল তাদের। তবে অপকর্মের শিকড় বহুদূর বিস্তৃত ছিল।

কিমানিয়ানো জানায়, তার দল প্রথমে কোনও যৌনকর্মীকে কথাবার্তায় ফাঁসিয়ে ফেলত। পাতা ফাঁদে পা দিলেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হত কোনও গোপন এলাকায়। এরপর ফ্লেক্সর নামক এক রাসায়নিকের মাধ্যমে তাঁকে অচেতন করে দেওয়া হত। সাধারণত ব্যথা উপশমের জন্য এই রাসায়নিক ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এর অতিরিক্ত প্রয়োগেই জ্ঞান হারাতেন যৌনকর্মীরা। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই তাঁদের স্তন কেটে ফেলত কিমানিয়ানো এবং তার সঙ্গীরা। স্তনের বিনিময়ে মিলত ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার কেনিয়ান শিলিং।  যে স্তনের আকার যত বড়, তার মূল্য তত বেশি। তবে একাজ তারা নিজেরা করত না। তাদের দিয়ে করানো হত বলেই দাবি অপরাধীর।

তিন মহিলার স্তন কাটার পর বিবেকে ধাক্কা লাগে কিমানিয়ানোর। তারপরই এমন ঘৃণ্য অপরাধে ইতি টানে সে। মাদকের ঘোরেই এমন নৃশংস অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ত বলেও জানিয়েছে সে। ২০১৬ সালে শহরের হাসপাতালে মহিলাদের স্তন বিক্রির কথা জানতে পারে পুলিশ। তারপরই দলের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চাঁদপুরে খাঁটি গরুর দুধ বিক্রর নামে প্রতারণা

নাইরোবিতে মহিলাদের স্তন কেটে বিক্রি: স্তম্ভিত গোটা বিশ্ব !

আপডেট: ০২:৫৮:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০১৯

নতুনের কথা ডেস্ক:

নাইরোবির অপরাধীর স্বীকারোক্তি শুনে স্তম্ভিত গোটা দুনিয়া। দিন কয়েক আগে কেটিএন নিউজ কেনিয়া চ্যানেলে বোনিফেস কিমানিয়ানো নামের ওই ব্যক্তি বলে, মহিলাদের স্তন কেটে বিক্রি করত সে। প্রায় দু’ বছর ধরে এমন নৃশংস কাণ্ড ঘটিয়ে গিয়েছে। তার কথায়, একাজ একা নয়, দলবদ্ধভাবে করা হত। মূলত যৌনকর্মীদেরই টার্গেট করত তারা। নাইরোবির কইনাঙ্গি স্ট্রিট এলাকাতেই বেশি প্রতিপত্তি ঘটেছিল তাদের। তবে অপকর্মের শিকড় বহুদূর বিস্তৃত ছিল।

কিমানিয়ানো জানায়, তার দল প্রথমে কোনও যৌনকর্মীকে কথাবার্তায় ফাঁসিয়ে ফেলত। পাতা ফাঁদে পা দিলেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হত কোনও গোপন এলাকায়। এরপর ফ্লেক্সর নামক এক রাসায়নিকের মাধ্যমে তাঁকে অচেতন করে দেওয়া হত। সাধারণত ব্যথা উপশমের জন্য এই রাসায়নিক ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এর অতিরিক্ত প্রয়োগেই জ্ঞান হারাতেন যৌনকর্মীরা। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই তাঁদের স্তন কেটে ফেলত কিমানিয়ানো এবং তার সঙ্গীরা। স্তনের বিনিময়ে মিলত ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার কেনিয়ান শিলিং।  যে স্তনের আকার যত বড়, তার মূল্য তত বেশি। তবে একাজ তারা নিজেরা করত না। তাদের দিয়ে করানো হত বলেই দাবি অপরাধীর।

তিন মহিলার স্তন কাটার পর বিবেকে ধাক্কা লাগে কিমানিয়ানোর। তারপরই এমন ঘৃণ্য অপরাধে ইতি টানে সে। মাদকের ঘোরেই এমন নৃশংস অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ত বলেও জানিয়েছে সে। ২০১৬ সালে শহরের হাসপাতালে মহিলাদের স্তন বিক্রির কথা জানতে পারে পুলিশ। তারপরই দলের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।