চাঁদপুরে নেই করোনা সনাক্তে কোন কীট, বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি

  • আপডেট: ০৩:৫৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ মার্চ ২০২০
  • ২৫

হাজীগঞ্জ, ২৫ মার্চ, বুধবার:

করোনাভাইরাস সনাক্ত বা চিহ্নিতকরণে মাঠ পর্যায়ের সমন্বয়হীনতায় স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায় থেকে নিম্নপর্যায়ে তা চিহ্নিতকরণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে সরকারের এমন উদ্যোগেই এখন স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ না আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ তা সনাক্ত করবে- এ নিয়ে এখন চাউর হচ্ছে সর্বমহলে।

এদিকে করোনাভাইরাস নিয়ে কাজ করা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী বা হাসপাতালে ডাক্তারদেরও নেই সুরক্ষিত পোষাক বা সুরক্ষা সরঞ্জাম। যদিও  রোববার জেলা প্রশাসনের ১০ সেট সুরক্ষিত পোষাক এসে পৌঁছেছে কিন্তু করোনাভাইরাস নিয়ে কাজ করা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, চিকিৎসক ও পুলিশসহ অন্যান্যদের সরকারিভাবে কোন সুরক্ষিত পোষাক বা সুরক্ষা সরঞ্জাম দেয়া হচ্ছে না। এ ব্যাপারে কোন নির্দেশনাও দিচ্ছে না ঢাকা থেকে। ফলে অনেকে এই অবস্থার মধ্যেও আতংকিত অবস্থায় আছেন।

অপরদিকে সরকার করোনার ভয়াবহতা এবং স্বাস্থ্যঝুঁকিরোধে গত ১৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে জনসমাগম এড়াতে সমাবেশসহ বিভিন্ন স্পটগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তার ধারবাহিকতায় সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে লকডাউনের চিন্তা-ভাবনা করে।
তবে সব কিছুকেই ছাড়িয়ে যায় প্রবাসীদের দেশে প্রত্যাবর্তনের কারণে। গতবছর চীনের উহান প্রদাশে করোনার ভয়বহতা প্রত্যক্ষ করে সারা বিশ্বের মানুষ। তারপর থেকে চীনের সাথে বিশ্বযোগাযোগ অনেকটাই সীমিত হয়ে পড়ে। ফলে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠে প্রবাসীরা দেশে কিভাবে ফিরবে। গত মাস থেকে প্রবাসীরা ঢালাওভাবেই দেশে প্রত্যাবর্তন শুরু করে। তাদের চিহ্নিতকরণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে অনেকটাই ব্যর্থ হয় বলে অভিমত অনেকের।

এমন পরিস্থিতিতে প্রবাসীরা দেশের অভ্যন্তরে অবাধ যাতায়াতের সুযোগে দেশে একের পর এক করোনা রোগী চিহ্নিত হতে থাকে। ইতোমধ্যে দু’জনের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বৃদ্ধি পেতে থাকে সর্বমহলে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার প্রবাসীদের অবস্থান সনাক্তের উদ্যোগ গ্রহণ করে।

তবে তাদের চিহ্নিতকরণে কারা দায়িত্ব পালন করবে তা নিয়েই মূলত প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রবাসীদের অবস্থান নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসন তৃণমূল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, আনসার, দফাদার, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের সর্বশেষ অবস্থান সরকারকে জানিয়ে আসছেন। এছাড়া সতর্কতার জন্য মোবাইলে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষদের সচেতন করা হচ্ছে।

এদিকে হঠাৎ করেই চাঁদপুরের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তার অধীনস্থ জেলার সব উপজেলার সহকারী শিক্ষকদের গত শনিবার (২১ মার্চ) একদিনের নোটিশে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে প্রবাসীদের হালনাগাদ তথ্য সরবরাহের নির্দেশ দেয়। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও অনেকটাই হতবাক হয়ে পড়েন। যেখান শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করলো সরকার। সেখানে সেই শিক্ষকদের করোনার মতো ভাইরাসের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলে দেয় জেলা শিক্ষা অফিস। ফলে এ নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ছে জেলাময়। তবে জেলা শিক্ষা অফিস জানায়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শিক্ষকদের দিয়ে ঐ তথ্য সংগ্রহ করতে হয়েছে।

জানা গেছে, কেবলমাত্র করোনাভাইরাস সংক্রান্ত একটি তথ্য ফরম শিক্ষকদের হাতে তুলে দিয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিস সময়ের প্রহর গুণছে কখন তাদের হাতে প্রকৃত তথ্য এসে পৌঁছবে। তৃণমূল পর্যায়ে প্রবাসীদের এমন তথ্য সংগ্রহে কোন উপজেলা শিক্ষা অফিসার, এমনকি সহকারী শিক্ষা অফিসার কেউই অংশ নেয়নি। ফলে শিক্ষকদের মাঝে হতাশার সাথে ক্ষোভও সৃষ্টি হচ্ছে। যদিও দেশের স্বার্থে ও মানবতার সেবায় শিক্ষকরা কাজটি নিজদের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি জেনেই তথ্য সংগ্রহের কাজে নেমে যায়।

এদিকে সাধারণ শিক্ষকরা নাম না প্রকাশের শর্তে ক্ষেভের সাথে গণমাধ্যমকে জানান, শিক্ষা অফিসের একজন কর্মকর্তাও যেখানে এমন মাঠ পর্যায়ের কাজে অংশ না নিয়ে নিজেদের অবহেলার পরিচয় দিয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষকদের চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে। এখন শিক্ষকরা বিস্তৃর্ণ শ’-শ’ বাসাবাড়ি ভ্রমণ করায় সবাই একরকম অনিশ্চিত স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যালয় শুরু হলে শিক্ষার্থীরাও সংক্রমন কিংবা ঝুঁকিতে পরতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করেছে।

আবার কোন কোন শিক্ষক দাবি করেন, সরবরাহকৃত তথ্য ফরমটিতে প্রবাসীদের বিগত ১৪ দিন তথা ৬ মার্চ থেকে দেশের আসার পর তাদের অবস্থান ও ১ জানুয়ারি হতে ৫ মার্চ পর্যন্ত তাদের অবস্থান জানতে চায়া হয়েছে। ফলে অনেক প্রবাসী তাদের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে দাবি করেন। এছাড়া অধিকাংশ প্রবাসী নিজ-নিজ স্থায়ী ঠিকানায় অবস্থান করছেন না। তারা শহরের নিজ-নিজ বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাটে অবস্থান করছেন। যেখানে তাদের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া সন্তানসহ স্ত্রী থাকেন।

শিক্ষকরা বলছেন, প্রবাসীদের চিহ্নিত করার জন্য বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে তাদের বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা যাচাইপূর্বক প্রবেশের ব্যবস্থা করলে একদিকে যেমন সংকট তৈরি হতো না তেমননি শত-শত শিক্ষকদের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি সামনে আসতো না। তাছাড়া শিক্ষকদের জন্য কোন করোনা প্রতিরোধক ব্যবস্থাগ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট অফিস কিংবা দপ্তর।

এমন পরিস্থিতিতে জনপ্রশাসনে সমন্বয়হীনতার চিত্র প্রকাশিত হয়েছে বলে অভিমত দিয়েছেন সচেতন মহল।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

সর্বাধিক পঠিত

সমন্বয়ক আর জামায়াতের কারণে ইউনুছ সরকার ব্যর্থ হবে-ইঞ্জি. মমিনুল হক

চাঁদপুরে নেই করোনা সনাক্তে কোন কীট, বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি

আপডেট: ০৩:৫৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ মার্চ ২০২০

হাজীগঞ্জ, ২৫ মার্চ, বুধবার:

করোনাভাইরাস সনাক্ত বা চিহ্নিতকরণে মাঠ পর্যায়ের সমন্বয়হীনতায় স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায় থেকে নিম্নপর্যায়ে তা চিহ্নিতকরণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে সরকারের এমন উদ্যোগেই এখন স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ না আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ তা সনাক্ত করবে- এ নিয়ে এখন চাউর হচ্ছে সর্বমহলে।

এদিকে করোনাভাইরাস নিয়ে কাজ করা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী বা হাসপাতালে ডাক্তারদেরও নেই সুরক্ষিত পোষাক বা সুরক্ষা সরঞ্জাম। যদিও  রোববার জেলা প্রশাসনের ১০ সেট সুরক্ষিত পোষাক এসে পৌঁছেছে কিন্তু করোনাভাইরাস নিয়ে কাজ করা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, চিকিৎসক ও পুলিশসহ অন্যান্যদের সরকারিভাবে কোন সুরক্ষিত পোষাক বা সুরক্ষা সরঞ্জাম দেয়া হচ্ছে না। এ ব্যাপারে কোন নির্দেশনাও দিচ্ছে না ঢাকা থেকে। ফলে অনেকে এই অবস্থার মধ্যেও আতংকিত অবস্থায় আছেন।

অপরদিকে সরকার করোনার ভয়াবহতা এবং স্বাস্থ্যঝুঁকিরোধে গত ১৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে জনসমাগম এড়াতে সমাবেশসহ বিভিন্ন স্পটগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তার ধারবাহিকতায় সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে লকডাউনের চিন্তা-ভাবনা করে।
তবে সব কিছুকেই ছাড়িয়ে যায় প্রবাসীদের দেশে প্রত্যাবর্তনের কারণে। গতবছর চীনের উহান প্রদাশে করোনার ভয়বহতা প্রত্যক্ষ করে সারা বিশ্বের মানুষ। তারপর থেকে চীনের সাথে বিশ্বযোগাযোগ অনেকটাই সীমিত হয়ে পড়ে। ফলে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠে প্রবাসীরা দেশে কিভাবে ফিরবে। গত মাস থেকে প্রবাসীরা ঢালাওভাবেই দেশে প্রত্যাবর্তন শুরু করে। তাদের চিহ্নিতকরণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে অনেকটাই ব্যর্থ হয় বলে অভিমত অনেকের।

এমন পরিস্থিতিতে প্রবাসীরা দেশের অভ্যন্তরে অবাধ যাতায়াতের সুযোগে দেশে একের পর এক করোনা রোগী চিহ্নিত হতে থাকে। ইতোমধ্যে দু’জনের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বৃদ্ধি পেতে থাকে সর্বমহলে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার প্রবাসীদের অবস্থান সনাক্তের উদ্যোগ গ্রহণ করে।

তবে তাদের চিহ্নিতকরণে কারা দায়িত্ব পালন করবে তা নিয়েই মূলত প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রবাসীদের অবস্থান নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসন তৃণমূল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, আনসার, দফাদার, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের সর্বশেষ অবস্থান সরকারকে জানিয়ে আসছেন। এছাড়া সতর্কতার জন্য মোবাইলে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষদের সচেতন করা হচ্ছে।

এদিকে হঠাৎ করেই চাঁদপুরের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তার অধীনস্থ জেলার সব উপজেলার সহকারী শিক্ষকদের গত শনিবার (২১ মার্চ) একদিনের নোটিশে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে প্রবাসীদের হালনাগাদ তথ্য সরবরাহের নির্দেশ দেয়। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও অনেকটাই হতবাক হয়ে পড়েন। যেখান শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করলো সরকার। সেখানে সেই শিক্ষকদের করোনার মতো ভাইরাসের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলে দেয় জেলা শিক্ষা অফিস। ফলে এ নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ছে জেলাময়। তবে জেলা শিক্ষা অফিস জানায়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শিক্ষকদের দিয়ে ঐ তথ্য সংগ্রহ করতে হয়েছে।

জানা গেছে, কেবলমাত্র করোনাভাইরাস সংক্রান্ত একটি তথ্য ফরম শিক্ষকদের হাতে তুলে দিয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিস সময়ের প্রহর গুণছে কখন তাদের হাতে প্রকৃত তথ্য এসে পৌঁছবে। তৃণমূল পর্যায়ে প্রবাসীদের এমন তথ্য সংগ্রহে কোন উপজেলা শিক্ষা অফিসার, এমনকি সহকারী শিক্ষা অফিসার কেউই অংশ নেয়নি। ফলে শিক্ষকদের মাঝে হতাশার সাথে ক্ষোভও সৃষ্টি হচ্ছে। যদিও দেশের স্বার্থে ও মানবতার সেবায় শিক্ষকরা কাজটি নিজদের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি জেনেই তথ্য সংগ্রহের কাজে নেমে যায়।

এদিকে সাধারণ শিক্ষকরা নাম না প্রকাশের শর্তে ক্ষেভের সাথে গণমাধ্যমকে জানান, শিক্ষা অফিসের একজন কর্মকর্তাও যেখানে এমন মাঠ পর্যায়ের কাজে অংশ না নিয়ে নিজেদের অবহেলার পরিচয় দিয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষকদের চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে। এখন শিক্ষকরা বিস্তৃর্ণ শ’-শ’ বাসাবাড়ি ভ্রমণ করায় সবাই একরকম অনিশ্চিত স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যালয় শুরু হলে শিক্ষার্থীরাও সংক্রমন কিংবা ঝুঁকিতে পরতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করেছে।

আবার কোন কোন শিক্ষক দাবি করেন, সরবরাহকৃত তথ্য ফরমটিতে প্রবাসীদের বিগত ১৪ দিন তথা ৬ মার্চ থেকে দেশের আসার পর তাদের অবস্থান ও ১ জানুয়ারি হতে ৫ মার্চ পর্যন্ত তাদের অবস্থান জানতে চায়া হয়েছে। ফলে অনেক প্রবাসী তাদের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে দাবি করেন। এছাড়া অধিকাংশ প্রবাসী নিজ-নিজ স্থায়ী ঠিকানায় অবস্থান করছেন না। তারা শহরের নিজ-নিজ বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাটে অবস্থান করছেন। যেখানে তাদের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া সন্তানসহ স্ত্রী থাকেন।

শিক্ষকরা বলছেন, প্রবাসীদের চিহ্নিত করার জন্য বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে তাদের বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা যাচাইপূর্বক প্রবেশের ব্যবস্থা করলে একদিকে যেমন সংকট তৈরি হতো না তেমননি শত-শত শিক্ষকদের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি সামনে আসতো না। তাছাড়া শিক্ষকদের জন্য কোন করোনা প্রতিরোধক ব্যবস্থাগ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট অফিস কিংবা দপ্তর।

এমন পরিস্থিতিতে জনপ্রশাসনে সমন্বয়হীনতার চিত্র প্রকাশিত হয়েছে বলে অভিমত দিয়েছেন সচেতন মহল।