অনলাইন ডেস্ক:
দেশে করোনাভাইরাসে অজুহাতে পর্যাপ্ত খাদ্য দ্রব্য মজুদ থাকার পরেও দাম বাড়িয়ে বিক্রয় করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এতে বিপাকে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষেরা।
সাধারণ মানুষকে জনসমাগম এড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এক উপজেলায় কিছু এলাকা অবরুদ্ধ (লকডাউন) করা হয়েছে। আরও কয়েক এলাকার ওপর নজর রাখছে সরকার। এ পরিস্থিতিতে আতঙ্কে ভুগছেন ভোক্তা। তারা সামর্থ্য অনুযায়ী খাদ্যপণ্য ও ওষুধ সামগ্রী কিনে বাসা-বাড়িতে মজুদ করছেন। বুধবার থেকে মুদি ও ওষুধের দোকান, কাঁচাবাজার ও সুপারশপগুলোয় হুমড়ি খেয়ে পড়ছিলেন ক্রেতারা। শুক্রবার ঠাঁই ছিল না এগুলোতে।
বাড়তি চাহিদার সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরাও বাড়িয়ে দিচ্ছেন খাদ্য ও নিত্যপণ্যের দাম। তিন দিন ধরে কয়েক ঘণ্টা পরপর চড়ছে তা। ডাল, পেঁয়াজ, চিনি, ডিম, আদা-রসুন, আলু, সব ধরনের মাংস- চিত্র একই। ওষুধের দোকানেও প্রয়োজনীয় ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় বেড়েছে দামও।
সরকারের খাদ্য দপ্তর জানান, দেশে যে খাদ্য মজুদ আছে তা দিয়ে আগামী ১ বছর চলবে। এছাড়াও এখন দেশে সবজির মৌসুম, দেশ প্রচুর আলু চাষ হয়েছে, চাষ হয়েছে পেয়াজ, রসুনের। তার পরেও অসাধু ব্যবসায়ীরা বাড়াচ্ছে দাম।
এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরসহ বিভিন্ন সংস্থা বাজার তদারকিতে নেমেছে। বেশি দরে পণ্য বিক্রির দায়ে সারা দেশে বহু প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। এরপরও বসে নেই অসাধু ব্যবসায়ীরা। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রধানরা বলছেন- দেশে খাদ্যপণ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। তাই প্রত্যেককে প্রয়োজনের বেশি পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। দেশে নিত্যপণ্য সংকটের গুজবে কান না দিতেও কোথাও কোথাও মাইকিংও করা হয়েছে।