লকডাউন নয়, পর্যায়ক্রমে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে

  • আপডেট: ১২:০১:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ মার্চ ২০২০
  • ২৫

দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত এলাকা লকডাউন করার বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, ‘লকডাউন নয়, পর্যায়ক্রমে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে।’

ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কাজও করব, সুরক্ষাও দেব- এই হল আমাদের নীতি। করোনার কারণে আমরা আমাদের কাজ থেকে পিছপা হব না। করোনা মোকাবেলা করব সামনে থেকে, কাজও পুরোপুরি আমরা করব।’

তিনি বলেন, ‘কোনো কোনো মহল বলছে, আমরা যেন এ মুহূর্তে মিটিং-সিটিং কমিয়ে দিই। হ্যাঁ, আমরা অপ্রয়োজনীয় মিটিং করব না। তবে একনেক সভা, কেবিনেট সভা করতেই হবে। এগুলো উনি (প্রধানমন্ত্রী) বন্ধ করবেন না। আর যদি ছোটখাটো কোনো সভা থাকে, আমি আমার দায়িত্বে বন্ধ করতে পারি।

লকডাউনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, লকডাউন করে পেনিক সৃষ্টি করার মতো পরিস্থিতি আমাদের হয়নি। আমাদের জনগণ সংখ্যায় বেশি। আমাদের জনগণ লকডাউনে অভ্যস্ত নয়। অনেক সুশৃঙ্খল দেশ আছে সরকার যা অর্ডার দেয়, নাগরিকরা তা মেনে নেয় বিনা প্রশ্নে। সুতরাং সেসব দেশের সঙ্গে আমাদের তুলনা করা ঠিক হবে না। (এখানে) লকডাউন নয়, পর্যায়ক্রমে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে।

করোনার অর্থনৈতিক প্রভাব প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, অবশ্যই সার্বিক অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। যেমন ধরুন, বাংলাদেশ বিমানের আয় কমে যাবে। রেলের আয় কমে যাচ্ছে, বাসের আয় কমে যাচ্ছে, স্কুলের আয় কমে যাচ্ছে। কোথায় না কমছে। এর প্রভাব আমাদের জাতীয় আয়ের ওপর পড়বে।

এমএ মান্নান বলেন, আপনি ভাগ্যবান যে একটা কৃষি পর্যায়ের দেশে বাস করছেন। কুমিল্লা, বগুড়া থেকে সবজি চলে আসবে। আমরা তো মা-চাচিদের কাছ থেকে লাউ-কুমড়া এনে দু-বেলা খেতে পারব। অনেক দেশ আছে, রাত পোহালেই বিমানের অপেক্ষায় থাকতে হয়। প্রতিদিন সকালে সবজি, দুধ, মাখন, পাউরুটি নিয়ে বিমান নামে সুইজারল্যান্ডে। তাদের তো এগুলো নেই। তাদের তো পানি আসে বাইরে থেকে, এমন দেশও আছে। কিন্তু আমাদের নিজস্ব উৎপাদন আছে অনেক পণ্য।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

যেভাবে হ ত্যা করা হয় তরুণ আইনজীবী সাইফলকে

লকডাউন নয়, পর্যায়ক্রমে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে

আপডেট: ১২:০১:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ মার্চ ২০২০

দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত এলাকা লকডাউন করার বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, ‘লকডাউন নয়, পর্যায়ক্রমে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে।’

ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কাজও করব, সুরক্ষাও দেব- এই হল আমাদের নীতি। করোনার কারণে আমরা আমাদের কাজ থেকে পিছপা হব না। করোনা মোকাবেলা করব সামনে থেকে, কাজও পুরোপুরি আমরা করব।’

তিনি বলেন, ‘কোনো কোনো মহল বলছে, আমরা যেন এ মুহূর্তে মিটিং-সিটিং কমিয়ে দিই। হ্যাঁ, আমরা অপ্রয়োজনীয় মিটিং করব না। তবে একনেক সভা, কেবিনেট সভা করতেই হবে। এগুলো উনি (প্রধানমন্ত্রী) বন্ধ করবেন না। আর যদি ছোটখাটো কোনো সভা থাকে, আমি আমার দায়িত্বে বন্ধ করতে পারি।

লকডাউনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, লকডাউন করে পেনিক সৃষ্টি করার মতো পরিস্থিতি আমাদের হয়নি। আমাদের জনগণ সংখ্যায় বেশি। আমাদের জনগণ লকডাউনে অভ্যস্ত নয়। অনেক সুশৃঙ্খল দেশ আছে সরকার যা অর্ডার দেয়, নাগরিকরা তা মেনে নেয় বিনা প্রশ্নে। সুতরাং সেসব দেশের সঙ্গে আমাদের তুলনা করা ঠিক হবে না। (এখানে) লকডাউন নয়, পর্যায়ক্রমে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে।

করোনার অর্থনৈতিক প্রভাব প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, অবশ্যই সার্বিক অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। যেমন ধরুন, বাংলাদেশ বিমানের আয় কমে যাবে। রেলের আয় কমে যাচ্ছে, বাসের আয় কমে যাচ্ছে, স্কুলের আয় কমে যাচ্ছে। কোথায় না কমছে। এর প্রভাব আমাদের জাতীয় আয়ের ওপর পড়বে।

এমএ মান্নান বলেন, আপনি ভাগ্যবান যে একটা কৃষি পর্যায়ের দেশে বাস করছেন। কুমিল্লা, বগুড়া থেকে সবজি চলে আসবে। আমরা তো মা-চাচিদের কাছ থেকে লাউ-কুমড়া এনে দু-বেলা খেতে পারব। অনেক দেশ আছে, রাত পোহালেই বিমানের অপেক্ষায় থাকতে হয়। প্রতিদিন সকালে সবজি, দুধ, মাখন, পাউরুটি নিয়ে বিমান নামে সুইজারল্যান্ডে। তাদের তো এগুলো নেই। তাদের তো পানি আসে বাইরে থেকে, এমন দেশও আছে। কিন্তু আমাদের নিজস্ব উৎপাদন আছে অনেক পণ্য।