একটি দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলে অর্থনীরও উন্নয়ন হয়: প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট: ০৮:৫৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ মার্চ ২০২০
  • ২৪

অনলাইন ডেস্ক:

সারাদেশের মানুষ আজ সড়ক নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। শুধু সড়ক নয়, নৌ, বিমান ও রেল পথেরও আমরা উন্নয়ন করছি। আজ যে প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করা হলো তা মুজিববর্ষের উপহার।

বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরাসরি আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়েসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আজ তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুনির্মাণ (সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় ৬ লেনবিশিষ্ট ৮ কিলোমিটার তৃতীয় কর্ণফুলী (শাহ আমানত সেতু) সেতু এপ্রোচ সড়ক এবং ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের আওতায় খুলনা, বরিশাল ও গোপালগঞ্জ সড়ক জোনে নির্মিত ২৫টি সেতুও উদ্বোধন করেন।

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষগুলো এতদিন অবহেলার মধ্যে ছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ যেতে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগত। এ ছাড়া বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন উন্নয়ন ছিল না। আজ সে যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিবর্তন সাধিত হয়েছে, এসব এলাকায় এখন দ্রুত উন্নয়ন হবে।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন, এই পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংক আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল। আমি সেটা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। কানাডার কোর্টে প্রমাণ হয়, সেখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি। বিশ্ব ব্যাংকের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পদ্মা সেতুটা কিন্তু একটি ভিন্নধর্মী দোতলা সেতু হচ্ছে। নিচ দিয়ে রেল যাবে, ওপর দিয়ে গাড়ি যাবে। পদ্মা নদীর মতো একটি খরস্রোতা নদীতে এ জাতীয় সেতু নির্মাণ করা একটা বিরাট ঝুঁকির ব্যাপার ছিল। কিন্তু আমরা সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণ করছি।’

সরকার প্রধান বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করেছি। ঢাকা থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত যাতে নিরবিচ্ছন্নভাবে মানুষ চলাচল করতে পারে, সে জন্য সড়ক, ব্রিজ, কালভাট, আন্ডারপাস, ওভারপাস নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে। এ ধরনের যোগযোগ ব্যবস্থার ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ উপকৃত হচ্ছে। আমরা যোগযোগ ব্যবস্থার আধুনিক ও বৈপ্লবিক পরিবর্তন করতে চাই। সারাদেশ এখন সড়ক নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে।

অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সেনাবাহিনী প্রধান আজিজ আহমেদ খান বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

অধ্যক্ষ চিন্ময় দাস ইস্যুতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি যা বললো

একটি দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলে অর্থনীরও উন্নয়ন হয়: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ০৮:৫৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ মার্চ ২০২০

অনলাইন ডেস্ক:

সারাদেশের মানুষ আজ সড়ক নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। শুধু সড়ক নয়, নৌ, বিমান ও রেল পথেরও আমরা উন্নয়ন করছি। আজ যে প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করা হলো তা মুজিববর্ষের উপহার।

বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরাসরি আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়েসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আজ তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুনির্মাণ (সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় ৬ লেনবিশিষ্ট ৮ কিলোমিটার তৃতীয় কর্ণফুলী (শাহ আমানত সেতু) সেতু এপ্রোচ সড়ক এবং ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের আওতায় খুলনা, বরিশাল ও গোপালগঞ্জ সড়ক জোনে নির্মিত ২৫টি সেতুও উদ্বোধন করেন।

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষগুলো এতদিন অবহেলার মধ্যে ছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ যেতে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগত। এ ছাড়া বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন উন্নয়ন ছিল না। আজ সে যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিবর্তন সাধিত হয়েছে, এসব এলাকায় এখন দ্রুত উন্নয়ন হবে।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন, এই পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংক আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল। আমি সেটা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। কানাডার কোর্টে প্রমাণ হয়, সেখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি। বিশ্ব ব্যাংকের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পদ্মা সেতুটা কিন্তু একটি ভিন্নধর্মী দোতলা সেতু হচ্ছে। নিচ দিয়ে রেল যাবে, ওপর দিয়ে গাড়ি যাবে। পদ্মা নদীর মতো একটি খরস্রোতা নদীতে এ জাতীয় সেতু নির্মাণ করা একটা বিরাট ঝুঁকির ব্যাপার ছিল। কিন্তু আমরা সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণ করছি।’

সরকার প্রধান বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করেছি। ঢাকা থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত যাতে নিরবিচ্ছন্নভাবে মানুষ চলাচল করতে পারে, সে জন্য সড়ক, ব্রিজ, কালভাট, আন্ডারপাস, ওভারপাস নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে। এ ধরনের যোগযোগ ব্যবস্থার ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ উপকৃত হচ্ছে। আমরা যোগযোগ ব্যবস্থার আধুনিক ও বৈপ্লবিক পরিবর্তন করতে চাই। সারাদেশ এখন সড়ক নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে।

অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সেনাবাহিনী প্রধান আজিজ আহমেদ খান বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস।