‘একাই সব কিনে ফেলার’ মানসিকতার লোকেরা অমানুষ: আসিফ নজরুল

  • আপডেট: ০৬:১৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মার্চ ২০২০
  • ৩৬

করোনা আতঙ্কে দোকানগুলোতে মাস্ক, হ্যান্ডওয়াশ ও স্যানিটাইজার কিনতে হিড়িক পড়েছে। অনেকেই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কিনে মজুদ করে রাখছেন। ফলে অন্যরা কিনতে পারছেন না।

এ নিয়ে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।

‘একাই সব কেনার’ মানসিকতাকে নেতিবাচক মন্তব্য করে এ ধরনের অভ্যাস পরিহারের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। আসিফ নজরুলের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে দেয়া হলো-

‘আমার এক পরিচিত ‘স্বপ্ন’ সুপার মার্কেটে গিয়েছিল। হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিনতে। কিন্তু পায়নি। সকালের দিকে একজন এসে একা সব স্যানিটাইজার কিনে নিয়ে গেছেন।

একা সব কেনার সামর্থ্য অনেকের থাকতে পারে, আপনারও থাকতে পারে। কিন্তু কখনও তা করবেন না। কারণ অন্যেরও আছে বাঁচার অধিকার, নিরাপদ অনুভব করার অধিকার। আর আপনি একা সব কিনে ফেললে অন্যরা আক্রান্ত হলে আপনি বাঁচবেন কীভাবে?

কাজেই উন্মাদ বা স্বার্থপরের মতো হবেন না। বিপদের সময় বোঝা যায় মানুষের মনুষ্যত্ব। বাজারে ঘনঘন না যেতে চাইলে সামান্য বেশি কিনে রাখুন। কিন্তু হামলে পড়ে সবকিছু না। সব কিনে জমিয়ে রাখলে আপনি মানুষ না– অমানুষ!

গরমের প্রকোপ শুরু হবে এক মাসের মধ্যে। ইনশাল্লাহ করোনার প্রকোপ এমনিই কমে যাবে দেশে।

আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা।’

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

যেভাবে হ ত্যা করা হয় তরুণ আইনজীবী সাইফলকে

‘একাই সব কিনে ফেলার’ মানসিকতার লোকেরা অমানুষ: আসিফ নজরুল

আপডেট: ০৬:১৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মার্চ ২০২০

করোনা আতঙ্কে দোকানগুলোতে মাস্ক, হ্যান্ডওয়াশ ও স্যানিটাইজার কিনতে হিড়িক পড়েছে। অনেকেই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কিনে মজুদ করে রাখছেন। ফলে অন্যরা কিনতে পারছেন না।

এ নিয়ে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।

‘একাই সব কেনার’ মানসিকতাকে নেতিবাচক মন্তব্য করে এ ধরনের অভ্যাস পরিহারের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। আসিফ নজরুলের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে দেয়া হলো-

‘আমার এক পরিচিত ‘স্বপ্ন’ সুপার মার্কেটে গিয়েছিল। হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিনতে। কিন্তু পায়নি। সকালের দিকে একজন এসে একা সব স্যানিটাইজার কিনে নিয়ে গেছেন।

একা সব কেনার সামর্থ্য অনেকের থাকতে পারে, আপনারও থাকতে পারে। কিন্তু কখনও তা করবেন না। কারণ অন্যেরও আছে বাঁচার অধিকার, নিরাপদ অনুভব করার অধিকার। আর আপনি একা সব কিনে ফেললে অন্যরা আক্রান্ত হলে আপনি বাঁচবেন কীভাবে?

কাজেই উন্মাদ বা স্বার্থপরের মতো হবেন না। বিপদের সময় বোঝা যায় মানুষের মনুষ্যত্ব। বাজারে ঘনঘন না যেতে চাইলে সামান্য বেশি কিনে রাখুন। কিন্তু হামলে পড়ে সবকিছু না। সব কিনে জমিয়ে রাখলে আপনি মানুষ না– অমানুষ!

গরমের প্রকোপ শুরু হবে এক মাসের মধ্যে। ইনশাল্লাহ করোনার প্রকোপ এমনিই কমে যাবে দেশে।

আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা।’