অনলাইন ডেস্ক:
তথ্য গোপন করে গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীমকে মাদকের মামলায় দেয়া এক বছরের জামিন আদেশও বাতিল করা হয়েছে। রোববার বিচারপতি রেজাউল হক ও বিচারপতি বিশ্বদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌস রূপা। এর আগে রোববার সকালে বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মুজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ জিকে শামীমকে দেয়া অস্ত্র মামলার জামিন স্থগিত করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফজলুর রহমান খান।
এর আগে ৭ মার্চ শামীমের আইনজীবী শওকত হোসেন জানান, হাইকোর্টের পৃথক দুটি বেঞ্চ থেকে ৪ ও ৬ ফেব্রুয়ারি দুই মামলায় শামীমের জামিন হয়। অস্ত্র মামলায় তাকে ছয় মাস এবং মাদক মামলায় এক বছরের জামিন দেয়া হয়। বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মুজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এবং বিচারপতি রেজাউল হক ও বিচারপতি বিশ্বদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই দুই মামলায় তাকে জামিন দেন। কিন্তু মানিলন্ডারিংসহ আরও দুটি মামলা থাকায় জামিনে তার মুক্তি মেলেনি। কিন্তু এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ জানত না।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর নিকেতনের নিজ কার্যালয় থেকে বিদেশি মদ, অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ নগদ টাকাসহ র্যা বের হাতে গ্রেফতার হন জিকে শামীম। এ ঘটনায় র্যা ব বাদী হয়ে গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, অর্থপাচার ও মাদক আইনে মামলা করে।
জানা গেছে, ৬ ফেব্রুয়ারি অস্ত্র মামলায় হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের জামিন পান জিকে শামীম। লিখিত আদেশ ১২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়। আদেশে অ্যাডভোকেট শওকত ওসমানকে শামীমের আইনজীবী আর রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ফজলুর রহমান খান (এফআর খান), সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মো. মাহমুদুল করিম রতন ও মো. শফিকুজ্জামান রানার নাম উল্লেখ রয়েছে। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে জিকে শামীমের জামিনের বিষয়টি জানেন না বলে শনিবার যুগান্তরকে জানিয়েছিলেন এফআর খান।
তিনি বলেন, সাধারণত স্পর্শকাতর মামলার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল সাবমিশন করেন। এ রকম গুরুত্বপূর্ণ মামলায় জিকে শামীম জামিন পেলেন তা আমরা জানতে পারলাম না। ওই দিন আমি কোর্টে ছিলাম। আদেশটি জাল কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।