নিজস্ব প্রতিনিধি:
হাজীগঞ্জে এক জায়গা দুইবার বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে। বাবার বিক্রয় করা সম্পত্তি মৃত্যুর পর সন্তাদের বিরুদ্ধে পুনরায় বিক্রয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ৮নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের বেঘঘর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের মরহুম আবুল কালাম মাস্টার তার মালিকানাধীন সম্পত্তি বিক্রয় করেন একই গ্রামের মরহুম আব্দুল মালেক মাস্টারের নিকট বিক্রয় করে দখল বুঝিয়ে দেন।
জানা যায় যে, ৮নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের বেলঘর মৌজার অন্তর্গত বি.এস ৫৫৬৮ দাগে নাল ১৯ শতক সম্পত্তি তৎকালীন সময়ে মরহুম মাষ্টার আবুল কালাম আজাদ তার সহকর্মী মরহুম আব্দুল মালেক মাষ্টারের নিকট বিক্রয় করে।
আবুল কালাম আজাদ মাস্টার অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করার কারণে বিক্রয়কৃত সম্পত্তি রেজিষ্ট্রি করে দেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে আবুল কালাম মাস্টার তার সন্তানদের মৃত্যুর পূর্বে মালেক মাস্টারের কাছে বিক্রয়কৃত সম্পত্তি রেজিষ্ট্রী করে দেওয়ার জন্য অসিয়ত করে যান। যার ফলে পিতা মৃত্যুর পর তার ঐরসজাত তিন পুত্র ১৫০ টাকার ননজুডিশিয়াল স্টাম্পে আবদুল মালেক মাষ্টারকে উক্ত জায়গার বিক্রয় স্বীকৃতি এবং পরবর্তীতে রেজিষ্ট্রী করে দেয়ার অঙ্গিকার প্রদান করে।
পরবর্তী সময়ে দীর্ঘদিন যাবৎ শারীরিক অসুস্থ্যতার কারণে আব্দুল মালেক মাষ্টার শয্যাশায়ী ছিলেন এবং তিনি ও রেজিষ্ট্রী কার্য সম্পাদন না করা অবস্থা মৃত্যুবরন করেন।
আব্দুল মালেক মাষ্টারের মৃত্যুরপর তার ছেলে মাওলানা মকবুল আহমেদ মরহুম আবুল কালাম আজাদ মাষ্টারের ছেলেদেরকে জমি রেজিষ্ট্রী করে দেওয়ার জন্য দেবার জন্য তাগাদা প্রদান করলে তারা প্রবাসে থাকার অজুহাত দেখিয়ে দীর্ঘসময় বিলম্ব এবং তালবাহানা শুরু করে।
পরবর্তীতে আঁতাত করে ওই সম্পত্তি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু করে। স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব এবং কুচক্রী মহলের প্ররোচণায় তারা উক্ত সম্পত্তি হইতে আংশিক সম্পত্তি তাদের নিজস্ব ক্যাডার বাহিনীর এক সদস্যের নামে সাফকবলা করে দেয়।
এ ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করে আব্দুল মালেক মাষ্টারের মৃত্যুরপর তার ছেলে মাওলানা মকবুল আহমে । পুলিশ অভিযোগ সরেজমিনে তদন্ত করে থানা অভ্যন্তরে উভয় পক্ষকে নিয়ে মিমাংসা বৈঠকের আয়োজন করে। এবং সেখানে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের এস আই জনাব বেলাল আহমেদ গণ্যমান্য ৫ জন লোকের মাধ্যমে স্থানীয় সালিশী আদালতের দ্বারা উক্ত সমস্যা সমাধানের জন্য দায়িত্ব প্রদান করেন।
পরবর্তীতে কয়েক ধাপে সালিশী বৈঠকের মাধ্যমে বিচারকগন উক্ত জমির বিক্রি সত্যতা যাচাই করতে সক্ষম হয়। আবুল কালাম আজাদ মাষ্টারের পুত্র এমরান হোসেন তার পিতার বিক্রি স্বীকার করে নিজ এবং অপর ভাইয়ের অংশ রেজিষ্ট্রী করিয়া দিবে বলে সালিশী বৈঠকে স্বীকার করে। তবে সে এতে সম্মানী বা আপত্তির নামে বিপুল টাকা দাবী করে বসে। যা স্থানীয় শালিসী বিচারকগন কোনভাবে মেনে নিতে পারেন নি। এবং সমাধান ও করতে পারেননি।
এমতাবস্থায় সালিশী বিচারকগণ উপস্থিত হয়ে লিখিত এবং মৌখিক ভাবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ- সার্কেল) কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করে। ।
দু’জন সুনামধন্য মাষ্টারের মধ্যকার বিক্রিত সম্পত্তি নিয়ে চলমান এ জটিলতা এলাকার সর্বমহলের মানুষের কাছে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এলাকার বিশিষ্টজন এ ঘটনায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
শিরোনাম:
হাজীগঞ্জের বেলঘরে এক জায়গা দুইবার বিক্রয়!
Tag :
সর্বাধিক পঠিত