হাজীগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রী নিয়ে ছাত্রসেনার সাংগঠনিক সম্পাদকের পলায়ন॥ পুলিশে দিল স্ত্রী

  • আপডেট: ০৫:৩২:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ৬০

নিজস্ব প্রতিবেদক:

হাজীগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে পলায়নের ঘটনায় জেল হাজতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ শাহেদ হোসেন। শাহেদ হোসেন উপজেলা ১০নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের দেশগাঁও সমির উদ্দিন ভূঁইয়া বাড়ির আবুল হাসেমের ছেলে। সে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারী উপজেলার ১নং রাজারগাঁ ইউনিয়নের মেনাপুর গ্রামের প্রবাসী আবুল বাসারের স্ত্রীকে নিয়ে চম্পট মারে লম্পট শাহেদ। এদিকে প্রবাসীর স্ত্রী জুমা আক্তার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় শ^শুর বাড়ির পক্ষ থেকে স্বর্ণালঙ্কার এবং টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়।
শাহেদ গত ২৭ ফেব্রুয়ারী বৃস্পতিবার কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ডে বাসে উঠতে গিয়ে ধরা পড়ে প্রথম স্ত্রী ফাতেমা আক্তারের হাতে।
শাহেদের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার বাস স্ট্যান্ডে শাহেদ ও প্রবাসীর স্ত্রী জুমা আক্তারকে আটক করে। শাহেদ সেখান থেকে পালিয়ে যায়। প্রবাসীর স্ত্রী জুমা আক্তারকে নিয়ে পরদিন হাজীগঞ্জ থানায় হাজির হয় ফাতেমা আক্তার।
ফাতেমার কর্মকান্ডে বিব্রত হয়ে শাহেদ তাকে মোবাইলে হুমকি ধমকি দেয়। এ বিষয় হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ জানালে অভিনব কৌশনে হাজীগঞ্জ বাজার থেকে শাহেদকে আটক করে পুলিশ।
এঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী জুমা আক্তার বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-৩৭, তারিখ-২৯/২/২০২০ইং।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মেনাপুর গ্রামের মসজিদে ইমামতি করার সুবাদে পরিচয় হয় জুমা আক্তারের সাথে। প্রায় ৫ বছর পূর্বের পরিচয়ে সূত্র ধরে জুমা আক্তারকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভুল বুঝিয়ে কথা আছে বলে বাজারে ডেকে এনে কুমিল্লায় নিয়ে যায় শাহেদ। এ সময় জুমার কাছে থাকা স্বর্ণালঙ্কার, টাকা পয়সা নিয়ে যায় প্রতারক ছাত্র সেনার সাংগঠনিক সম্পাদক শাহেদ।
প্রায় ৮ বছর পূর্বে ফাতেমার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় শাহেদ। তাদের দাম্পত্য জীবনে ১ সন্তান রয়েছে। জীবিকার তাগিদে ফাতেমা আক্তার কুমিল্লা ইপিজেডে চাকরি করে। মাস শেষে টাকা তুলে দেয় শাহেদের হাতে। তবুও শাহেদের মন জয় করতে পারেনি ফাতেমা।
ফাতেমা আক্তার বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ আমার স্বামীর চারিত্রিক বিষয় লক্ষণ করি। সে একাধিক নারীর প্রেমে মগ্ন ও কুরুচিপূর্ণ যৌন কাজে লিপ্ত থাকে।
জুমা নিয়ে সে কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ডে আমার সামনে পড়ে। এ সময় আমি হাতে নাতে ধরে ফেলি। আমার স্বামী আমার কাছ থেকে পালিয়ে গিয়ে সন্ত্রাসী নিয়ে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় আমি থানায় একটি জিডি করেছি।
পুলিশের হাতে আটক শাহেদ আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, জুমা আমার দ্বিতীয় স্ত্রী। আমার প্রথম স্ত্রী আমার অবাধ্য হয়ে চাকরি করে। আমি জুমাকে বিয়ে করেছি। সে গর্ভবতী। তাকে ডাক্তার দেখাতে গেলে বাসস্ট্যান্ডে প্রথম স্ত্রী অনেক খারাপ আচরণ করে। সে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটায়। আমি হাজীগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশ ছাত্রসেনার সাংগঠনিক সম্পাদক দায়িত্ব পালন করছি। আমার সম্মান হানির জন্য প্রথম স্ত্রী এসব করছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নে সিমস্ প্রকল্প বিষয়ক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

হাজীগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রী নিয়ে ছাত্রসেনার সাংগঠনিক সম্পাদকের পলায়ন॥ পুলিশে দিল স্ত্রী

আপডেট: ০৫:৩২:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:

হাজীগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে পলায়নের ঘটনায় জেল হাজতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ শাহেদ হোসেন। শাহেদ হোসেন উপজেলা ১০নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের দেশগাঁও সমির উদ্দিন ভূঁইয়া বাড়ির আবুল হাসেমের ছেলে। সে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারী উপজেলার ১নং রাজারগাঁ ইউনিয়নের মেনাপুর গ্রামের প্রবাসী আবুল বাসারের স্ত্রীকে নিয়ে চম্পট মারে লম্পট শাহেদ। এদিকে প্রবাসীর স্ত্রী জুমা আক্তার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় শ^শুর বাড়ির পক্ষ থেকে স্বর্ণালঙ্কার এবং টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়।
শাহেদ গত ২৭ ফেব্রুয়ারী বৃস্পতিবার কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ডে বাসে উঠতে গিয়ে ধরা পড়ে প্রথম স্ত্রী ফাতেমা আক্তারের হাতে।
শাহেদের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার বাস স্ট্যান্ডে শাহেদ ও প্রবাসীর স্ত্রী জুমা আক্তারকে আটক করে। শাহেদ সেখান থেকে পালিয়ে যায়। প্রবাসীর স্ত্রী জুমা আক্তারকে নিয়ে পরদিন হাজীগঞ্জ থানায় হাজির হয় ফাতেমা আক্তার।
ফাতেমার কর্মকান্ডে বিব্রত হয়ে শাহেদ তাকে মোবাইলে হুমকি ধমকি দেয়। এ বিষয় হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ জানালে অভিনব কৌশনে হাজীগঞ্জ বাজার থেকে শাহেদকে আটক করে পুলিশ।
এঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী জুমা আক্তার বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-৩৭, তারিখ-২৯/২/২০২০ইং।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মেনাপুর গ্রামের মসজিদে ইমামতি করার সুবাদে পরিচয় হয় জুমা আক্তারের সাথে। প্রায় ৫ বছর পূর্বের পরিচয়ে সূত্র ধরে জুমা আক্তারকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভুল বুঝিয়ে কথা আছে বলে বাজারে ডেকে এনে কুমিল্লায় নিয়ে যায় শাহেদ। এ সময় জুমার কাছে থাকা স্বর্ণালঙ্কার, টাকা পয়সা নিয়ে যায় প্রতারক ছাত্র সেনার সাংগঠনিক সম্পাদক শাহেদ।
প্রায় ৮ বছর পূর্বে ফাতেমার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় শাহেদ। তাদের দাম্পত্য জীবনে ১ সন্তান রয়েছে। জীবিকার তাগিদে ফাতেমা আক্তার কুমিল্লা ইপিজেডে চাকরি করে। মাস শেষে টাকা তুলে দেয় শাহেদের হাতে। তবুও শাহেদের মন জয় করতে পারেনি ফাতেমা।
ফাতেমা আক্তার বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ আমার স্বামীর চারিত্রিক বিষয় লক্ষণ করি। সে একাধিক নারীর প্রেমে মগ্ন ও কুরুচিপূর্ণ যৌন কাজে লিপ্ত থাকে।
জুমা নিয়ে সে কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ডে আমার সামনে পড়ে। এ সময় আমি হাতে নাতে ধরে ফেলি। আমার স্বামী আমার কাছ থেকে পালিয়ে গিয়ে সন্ত্রাসী নিয়ে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় আমি থানায় একটি জিডি করেছি।
পুলিশের হাতে আটক শাহেদ আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, জুমা আমার দ্বিতীয় স্ত্রী। আমার প্রথম স্ত্রী আমার অবাধ্য হয়ে চাকরি করে। আমি জুমাকে বিয়ে করেছি। সে গর্ভবতী। তাকে ডাক্তার দেখাতে গেলে বাসস্ট্যান্ডে প্রথম স্ত্রী অনেক খারাপ আচরণ করে। সে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটায়। আমি হাজীগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশ ছাত্রসেনার সাংগঠনিক সম্পাদক দায়িত্ব পালন করছি। আমার সম্মান হানির জন্য প্রথম স্ত্রী এসব করছে।