দিল্লিতে চলছে সংঘর্ষ, পুড়েয়ে দেয়া হচ্ছে মুসলমানদের বাড়ীঘর, দেখলেই গুলির নির্দেশ, নিরব বিশ্ব

  • আপডেট: ১০:৫৭:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে গত সোমবার শুরু হওয়া সংঘাত এখনো চলছে। এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। বিবিসিসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, দিল্লিতে বেছে বেছে মুসলমানদের উপর হামলা করা হচ্ছে। তাদের বাড়ীঘর লুটপাট ও জালিয়ে দেয়া হচ্ছে। কয়েক হাজার মুসলিম নারী পুরুষ খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।

এছাড়া ৭০ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন প্রায় দেড়শতাধিক মানুষ। এ দাঙ্গা বন্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না এ অভিযোগে মঙ্গলবার মধ্যরাতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের বাসভবনের বাইরে জড়ো হন বহু মানুষ, যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই পড়ুয়া।

রাজধানীতে হিংসা রুখতে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি জানান সকলে। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের সংগঠন এবং জামিয়া কো-অর্ডিনেশন কমিটির তরফে মঙ্গলবার কেজরীবালের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়।

তাতে সাড়া দিয়ে গভীর রাতে বহু মানুষ জড়ো হন মুখ্যমন্ত্রীবাসভবনের কাছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার দিল্লির সংঘর্ষ আরো সহিংস হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দিল্লির ৪ টি স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে ।

এই ব্যাপারে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির সংবাদকর্মী সালমান রবি জানান, দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নাগরিকত্ব আইনের পক্ষ এবং বিপক্ষদের মধ্যে মঙ্গলবার তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছে অমিত শাহ।

তবে দিল্লির সহিংস বিক্ষোভ থামাতে না পারায় বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। যদিও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-অর্থ সম্পাদক হাজীগঞ্জের মাহবুব আলম ২ দিনের রিমান্ডে

দিল্লিতে চলছে সংঘর্ষ, পুড়েয়ে দেয়া হচ্ছে মুসলমানদের বাড়ীঘর, দেখলেই গুলির নির্দেশ, নিরব বিশ্ব

আপডেট: ১০:৫৭:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে গত সোমবার শুরু হওয়া সংঘাত এখনো চলছে। এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। বিবিসিসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, দিল্লিতে বেছে বেছে মুসলমানদের উপর হামলা করা হচ্ছে। তাদের বাড়ীঘর লুটপাট ও জালিয়ে দেয়া হচ্ছে। কয়েক হাজার মুসলিম নারী পুরুষ খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।

এছাড়া ৭০ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন প্রায় দেড়শতাধিক মানুষ। এ দাঙ্গা বন্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না এ অভিযোগে মঙ্গলবার মধ্যরাতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের বাসভবনের বাইরে জড়ো হন বহু মানুষ, যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই পড়ুয়া।

রাজধানীতে হিংসা রুখতে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি জানান সকলে। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের সংগঠন এবং জামিয়া কো-অর্ডিনেশন কমিটির তরফে মঙ্গলবার কেজরীবালের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়।

তাতে সাড়া দিয়ে গভীর রাতে বহু মানুষ জড়ো হন মুখ্যমন্ত্রীবাসভবনের কাছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার দিল্লির সংঘর্ষ আরো সহিংস হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দিল্লির ৪ টি স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে ।

এই ব্যাপারে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির সংবাদকর্মী সালমান রবি জানান, দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নাগরিকত্ব আইনের পক্ষ এবং বিপক্ষদের মধ্যে মঙ্গলবার তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছে অমিত শাহ।

তবে দিল্লির সহিংস বিক্ষোভ থামাতে না পারায় বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। যদিও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।