মোহাম্মাদ হাবীব উল্যাহ্/গাজী মহিনউদ্দিন॥
চাঁদপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি বলেছেন, হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি উপজেলার কোন সড়কই কাঁচা থাকবেনা। আগামী ১ বছরে ১’শ কোটি টাকার সড়ক উন্নয়নের কাজ করা হবে। রাস্তা করার জন্য শত কোটি টাকার প্রকল্প প্রদান করা হয়েছে।
তিনি শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার হাটিলা পূর্ব, হাটিলা পশ্চিম ও কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের স্কুল, কলেজ ভবন ও সড়ক উদ্বোধন শেষে ধড্ডা মোয়াজ্জেম হোসেন ডিগ্রি কলেজ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, কতটা আন্তরিক হলে মা-বোনেরা রান্না ফেলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আমাদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন, তা না দেখলে বিশ্বাস করা যায়না।
তিনি হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি উপজেলার উন্নয়ন নিয়ে বলেন, এক সময় হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে মাত্র ৫/৬ কিলো মিটার সড়ক পাকা ছিল বর্তমানে এ দু উপজেলা সাড়ে ৪’শ কিলো মিটার সড়ক পাকা রয়েছে। ৬’শর মতো স্কুল কলেজ ভবন পাকা করা হয়েছে। ৫’শর মতো ব্রীজ কালভার্ট করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের সাথে উত্তরাঞ্চলের যোগা-যোগ বাড়াতে শুধু ডাকাতিয়া নদীর উপর ৮টি ব্রীজ করা হয়েছে।
রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম বলেন, মুজিব বর্ষে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির কোন মানুষ গৃহহীণ থাকবেনা। প্রত্যেক গৃহহীনকে ঘর করে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে কোন লোক অপচিকিৎসায় কষ্ট পেয়ে মরতে হবেনা। আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসা ব্যবস্থা করছি।
তিনি পারিবারিক ঘটনায় স্মৃতি চারণ করে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। ১৯৫১ সালে আমার বাবা যখন সরকারি চাকুরি করতেন তখন বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন ছিলেন।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি যখন যুদ্ধ ময়দানে ছিলাম তখনা এ ধড্ডা গ্রামের গণি সাহেবের বাড়ীতে আমার মা-বোনদের এনে রাখা হয়েছিল। যেনো পাকিস্তানিরা তাদের সন্ধান না পায়। এ জন্য এ গ্রামটি ও এ গ্রামের মানুষ আমার অতি আপনজন।
ধড্ডা মোয়াজ্জেম হোসেন ডিগ্রি কলেজের সভাপতি অ্যাড. আহসান হাবিবের সভাপতিত্বে অনুুষ্ঠিত আলোচনা সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব রাখেন ধড্ডা মোয়াজ্জেম হোসেন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. জামালউদ্দিন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য অধ্যাপক এ কে এম ফজলুল হক, পৌর মেয়র আ. স. ম. মাহবুব-উল আলম লিপন, উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আবদুর রশিদ মজুমদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বৈশাখী বড়ুয়া, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ রোটা. আহসান হাবিব, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী জসিম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক হুমায়ুন কবির লিটন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি আলহাজ¦ আবদুল হাদি, চেয়ারম্যান মির্জা জলিলুর রহমান দুলাল, জাকির হোসেন লিটু, মানিক হোসেন প্রধানীয়া, গিয়াসউদ্দিন বাচ্চু, গোলাম মোস্তফা স্বপন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী সেলিম, আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক স্বপন পাল, হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ¦ আসফকুল আলম চৌধুরী, হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ এ কে এম মুজিবুর রহমান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সোহরাব হোসেন মিয়াজী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক দুলাল হোসেন দুলাল, রামপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম মানিক, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহমান মোল্লা, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ ইকবাল, যুগ্ম আহবায়ক আলী নুর নিপু, হাটিলা পূর্ব ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক রাসেল মজুমদার, যুগ্ম আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন, হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক হাছান বকাউল, যুগ্ম আহবায়ক শাহাদাত হোসেন মিশু, কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক শ্যামল শীল, যুগ্ম আহবায়ক আলী আশরাফ, বড়কুল পূর্ব ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এনায়েত করিম ইছহাক, বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক লোটার দেলোয়ার, ২নং বাকিলা ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক ইব্রাহীম রনি, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাছান রাব্বি, ছাত্রলীগ নেতা কাজী সরোয়ার, কাজী রাজু প্রমূখ’সহ হাজার হাজার নেতা-কর্মী ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।