চীনকে একঘরে করেছে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪২৬

  • আপডেট: ০৪:২৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

গোটা চীনকে একঘরে করেছে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস। বিশ্ব থেকে প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ দেশটি। চীনের খাদ্য ও ভারি শিল্প নির্মাণ হয় করোনার উৎপত্তিস্থল হুবেই প্রদেশ থেকেই। ফলে, খুব শিগগিরই তাদের কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

দেশটিতে উদ্বেগজনক হারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে নতুন করে ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে ৩ হাজারেরও বেশি ব্যক্তির দেহে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

এ নিয়ে ফিলিপাইনের একজনসহ চীনে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪২৬ জনে। এর মধ্যে হুবেই প্রদেশেই ৩৪৯ জন। অপরদিকে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের বরাত দিয়ে আজ মঙ্গলবার বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

প্রাণঘাতি এ ভাইরাসে চীনের বাইরে প্রথমবারের মত ফিলিপাইনে ৪৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তি গত রোববার মারা যাওয়ার পর দেশটিতে নতুন করে অন্তত দেড়শ ব্যক্তির শরীরে এ ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে।

এদিকে এ ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়ার কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে চীন। দেশটির নাগরিকদের মাঝে বইছে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা।

মরণঘাতি এ ভাইরাস ক্রমে বেড়ে চললে জাপান, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ তাদের আকাশ পথ সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দেয়। তাদের পর গত রোববার থেকে চীনের সঙ্গে সীমান্ত সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশ।

এবার এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সীমান্ত বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে ধর্মঘটে নেমেছে হংকংয়ের হাসপাতাল কর্মীরা। গতকাল সোমবার হংকংয়ের হসপিটাল অথরিটি এমপ্লয়িজ অ্যালায়েন্সের (এইচএইএ) শত শত সদস্য এ ধর্মঘটে নেমে পড়েন।

নতুন এ ভাইরাস চীনের পাশাপাশি বিশ্বের অন্তত ২৫টি দেশে ঢুকে পড়েছে। চীনের বাহিরে সবচেয়ে বেশি সন্ধান মিলেছে ফিলিপাইনে (১৫০)। এরপরই থাইল্যান্ড ও হংকং।

তবে এমন পরিস্থিতিতে মেডিকেল কর্মীদের ধর্মঘটে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে নগরটির সরকার। তা সত্ত্বেও তাদের ১৮ হাজার সদস্যের মধ্যে দুই হাজার ৪০০ সদস্য ধর্মঘটে অংশ নিয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে।

এদিকে কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে এক লাখ দুই হাজারের অধিক লোক এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন-এমন সন্দেহে তাদের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

তবে মহামারি করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা নিয়ে চীন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে যে হিসাব দিয়েছে প্রকৃতপক্ষে ওই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালে মৃতের কোনো রেকর্ড না রেখেই তড়িঘড়ি করে মরদেহগুলো সৎকার করার কাজ করছে চীন।

করোনভাইরাসের প্রভাব থেকে রেহাই পায়নি দেশটিতে বসবাসরত অন্যান্য দেশের নাগরিকরা। তবে তা আরও ব্যাপক আকারে যাতে না হয় সেজন্য জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ তাদের দেশের নাগরিকদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ ইতিমধ্যে তাদের অনেককে নিজ দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে। সন্দেহভাজনদের হাসপাতালে ও আশঙ্কা এড়াতে অন্যান্যদের আলাদা স্থানে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

চীনের বাহিরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে সবচেয়ে বেশি ফিলিপাইনে-১৫০ (মৃত-১)। এছাড়া থাইল্যান্ডে (১৯ জন), অস্ট্রেলিয়ায়-১০, কম্বোডিয়ায়-১, কানাডায়-৪, ফ্রান্স-৬, ফিনল্যান্ড-১, জার্মানি-৭, ভারত-১, ইতালি-২, জাপান-১৫, মালয়েশিয়া-৮, নেপাল-১, সিঙ্গাপুর-১৬, দক্ষিণ কোরিয়া-১২, শ্রীলঙ্কা-১, তাইওয়ান-১০, থাইল্যান্ড-১৪, যুক্তরাষ্ট্র-৭, সংযুক্ত আরব আমিরাত-৪, ও ভিয়েতনামে-৫ জনসহ শতকের বেশি মানুষের দেহে প্রাণঘাতি এ ভাইরাস শনাক্ত করেছে দেশগুলোর স্বাস্থ্য বিভাগ।  ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে চীনাদের জন্য।

এদিকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা চলমান রয়েছে।  অন্যদিকে, করেনাভাইরাস রোধে মাস্ক সংকটে পড়েছে চীন। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় বিশ কোটি মাস্কের অর্ডার দিয়েছে দেশটি। অর্থনৈতিকভাবে ভয়াবহ সংকটে পড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বেইজিংয়ের।

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর উহানে এই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যাওয়ার পর চীনের সীমানা পেরিয়ে এই ভাইরাস রাজধানী বেইজিং, সাংহাই, ম্যাকাও ও হংকংয়ের বাইরে বিশ্বের ২৫টি দেশে ছড়িয়েছে।

তবে বিস্তার ঠেকাতে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ এবং এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ চীনগামী বিমানের ফ্লাইট বাতিল করছে। এর মধ্যে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স, এয়ার এশিয়া, ক্যাথে প্যাসিফিক, এয়ার ইন্ডিয়া ও ফিনএয়ার ইতোমধ্যে চীনগামী বিমানের সংখ্যা কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে।

গত ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশির মত সমস্যা দেখা দেয়।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-অর্থ সম্পাদক হাজীগঞ্জের মাহবুব আলম ২ দিনের রিমান্ডে

চীনকে একঘরে করেছে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪২৬

আপডেট: ০৪:২৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

গোটা চীনকে একঘরে করেছে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস। বিশ্ব থেকে প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ দেশটি। চীনের খাদ্য ও ভারি শিল্প নির্মাণ হয় করোনার উৎপত্তিস্থল হুবেই প্রদেশ থেকেই। ফলে, খুব শিগগিরই তাদের কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

দেশটিতে উদ্বেগজনক হারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে নতুন করে ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে ৩ হাজারেরও বেশি ব্যক্তির দেহে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

এ নিয়ে ফিলিপাইনের একজনসহ চীনে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪২৬ জনে। এর মধ্যে হুবেই প্রদেশেই ৩৪৯ জন। অপরদিকে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের বরাত দিয়ে আজ মঙ্গলবার বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

প্রাণঘাতি এ ভাইরাসে চীনের বাইরে প্রথমবারের মত ফিলিপাইনে ৪৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তি গত রোববার মারা যাওয়ার পর দেশটিতে নতুন করে অন্তত দেড়শ ব্যক্তির শরীরে এ ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে।

এদিকে এ ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়ার কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে চীন। দেশটির নাগরিকদের মাঝে বইছে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা।

মরণঘাতি এ ভাইরাস ক্রমে বেড়ে চললে জাপান, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ তাদের আকাশ পথ সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দেয়। তাদের পর গত রোববার থেকে চীনের সঙ্গে সীমান্ত সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশ।

এবার এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সীমান্ত বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে ধর্মঘটে নেমেছে হংকংয়ের হাসপাতাল কর্মীরা। গতকাল সোমবার হংকংয়ের হসপিটাল অথরিটি এমপ্লয়িজ অ্যালায়েন্সের (এইচএইএ) শত শত সদস্য এ ধর্মঘটে নেমে পড়েন।

নতুন এ ভাইরাস চীনের পাশাপাশি বিশ্বের অন্তত ২৫টি দেশে ঢুকে পড়েছে। চীনের বাহিরে সবচেয়ে বেশি সন্ধান মিলেছে ফিলিপাইনে (১৫০)। এরপরই থাইল্যান্ড ও হংকং।

তবে এমন পরিস্থিতিতে মেডিকেল কর্মীদের ধর্মঘটে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে নগরটির সরকার। তা সত্ত্বেও তাদের ১৮ হাজার সদস্যের মধ্যে দুই হাজার ৪০০ সদস্য ধর্মঘটে অংশ নিয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে।

এদিকে কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে এক লাখ দুই হাজারের অধিক লোক এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন-এমন সন্দেহে তাদের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

তবে মহামারি করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা নিয়ে চীন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে যে হিসাব দিয়েছে প্রকৃতপক্ষে ওই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালে মৃতের কোনো রেকর্ড না রেখেই তড়িঘড়ি করে মরদেহগুলো সৎকার করার কাজ করছে চীন।

করোনভাইরাসের প্রভাব থেকে রেহাই পায়নি দেশটিতে বসবাসরত অন্যান্য দেশের নাগরিকরা। তবে তা আরও ব্যাপক আকারে যাতে না হয় সেজন্য জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ তাদের দেশের নাগরিকদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ ইতিমধ্যে তাদের অনেককে নিজ দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে। সন্দেহভাজনদের হাসপাতালে ও আশঙ্কা এড়াতে অন্যান্যদের আলাদা স্থানে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

চীনের বাহিরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে সবচেয়ে বেশি ফিলিপাইনে-১৫০ (মৃত-১)। এছাড়া থাইল্যান্ডে (১৯ জন), অস্ট্রেলিয়ায়-১০, কম্বোডিয়ায়-১, কানাডায়-৪, ফ্রান্স-৬, ফিনল্যান্ড-১, জার্মানি-৭, ভারত-১, ইতালি-২, জাপান-১৫, মালয়েশিয়া-৮, নেপাল-১, সিঙ্গাপুর-১৬, দক্ষিণ কোরিয়া-১২, শ্রীলঙ্কা-১, তাইওয়ান-১০, থাইল্যান্ড-১৪, যুক্তরাষ্ট্র-৭, সংযুক্ত আরব আমিরাত-৪, ও ভিয়েতনামে-৫ জনসহ শতকের বেশি মানুষের দেহে প্রাণঘাতি এ ভাইরাস শনাক্ত করেছে দেশগুলোর স্বাস্থ্য বিভাগ।  ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে চীনাদের জন্য।

এদিকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা চলমান রয়েছে।  অন্যদিকে, করেনাভাইরাস রোধে মাস্ক সংকটে পড়েছে চীন। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় বিশ কোটি মাস্কের অর্ডার দিয়েছে দেশটি। অর্থনৈতিকভাবে ভয়াবহ সংকটে পড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বেইজিংয়ের।

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর উহানে এই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যাওয়ার পর চীনের সীমানা পেরিয়ে এই ভাইরাস রাজধানী বেইজিং, সাংহাই, ম্যাকাও ও হংকংয়ের বাইরে বিশ্বের ২৫টি দেশে ছড়িয়েছে।

তবে বিস্তার ঠেকাতে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ এবং এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ চীনগামী বিমানের ফ্লাইট বাতিল করছে। এর মধ্যে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স, এয়ার এশিয়া, ক্যাথে প্যাসিফিক, এয়ার ইন্ডিয়া ও ফিনএয়ার ইতোমধ্যে চীনগামী বিমানের সংখ্যা কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে।

গত ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশির মত সমস্যা দেখা দেয়।