চীনে যাওয়া বাংলাদেশি পাইলট-ক্রুদের ঢুকতে দিচ্ছে না অন্যদেশ

  • আপডেট: ১১:২৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ২৩

অনলাইন ডেস্ক:

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া চীনের উহান থেকে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশি পাইলট ও ক্রুদের অন্য দেশ ঢুকতে দিচ্ছে না। এরইমধ্যে সিঙ্গাপুর তাদের ভিসা দেয়নি। আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের ব্রিফিংয়ের সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এখনও ১৭১ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ চীনে রয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তারা আসতে চাচ্ছে, এটা (নিয়ে আসার বিষয়টি) দেখতে বলা হয়েছে। আমাদের প্লেন পাঠাতে একটা অসুবিধা হচ্ছে। আমাদের যে প্লেনটা গেছে, আসার পর ওই পাইলটদের কোনো দেশ ঢুকতে দিচ্ছে না। সে জন্য আলোচনা হয়েছে যে, এ ক্ষেত্রে যদি ভাড়া করা কোনো বিমান পাওয়া যায়, চীনের কোনো ভাড়া করা বিমান যদি আনা হয় সেটা, সেটাতে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের প্লেন পাঠালে যে ক্রুরা যাবে তাদের বাইরে ভিসা দেয় না। অলরেডি সিঙ্গাপুর না করে দিয়েছে, এই ক্রুরা আমাদের এখানে আসতে পারবে না।

করোনাভাইরাস নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কি না? – জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভা বৈঠকে আলোচনা হয়নি। বৈঠকের পর স্পেশালি ২০/২৫ জন নিয়ে বসে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেভাবেই হোক এটাকে (করোনাভাইরাস) আমাদের দেশে ঢোকা প্রতিরোধ করতে হবে।

তিনি বলেন, এছাড়া যারা চীনের উহান থেকে আসবে সবাইকে… উহান থেকে তো চায়না একেবারে ক্লোজ করে দিয়েছে। সুতরাং বের হতে পারবে না। তারপরও বলা হয়েছে, যদি সন্দেহ হয় উহান থেকে আসছে, তাকে অবশ্যই ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে। কারণ, আমরা এটা নিয়ে তো রিস্ক নেব না।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অলরেডি যে ৩১২ জন আসছে (চীনের উহান থেকে) তাদেরকে হজ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। সেখানে খাওয়া-দাওয়া সবকিছু দেয়া হচ্ছে। ইনিশিয়ালি তারা বোধহয় বুঝতে পারেনি, তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। তারা ভাবছে ছেড়ে দেবে, বাড়িতে চলে যাবে। ইয়ং ছেলেরা প্রথমে জানতেও চাচ্ছিল, আমাদের কেন আটকে রাখা হয়েছে? তাদের বুঝানো হলো এটা তো হাইলি রিস্কি।

তিনি আরও বলেন, আজকে ওখানে অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহও ছিলেন। ওনারা যেটা বললেন, এর আগের যে ভাইরাসগুলো ছিল সেগুলো এতো দ্রুত ছড়ায়নি। এটা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে ইবোলা ও অন্যান্য ভাইরাসের তুলনায় এটার মৃত্যুহার কম।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-অর্থ সম্পাদক হাজীগঞ্জের মাহবুব আলম ২ দিনের রিমান্ডে

চীনে যাওয়া বাংলাদেশি পাইলট-ক্রুদের ঢুকতে দিচ্ছে না অন্যদেশ

আপডেট: ১১:২৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০

অনলাইন ডেস্ক:

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া চীনের উহান থেকে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশি পাইলট ও ক্রুদের অন্য দেশ ঢুকতে দিচ্ছে না। এরইমধ্যে সিঙ্গাপুর তাদের ভিসা দেয়নি। আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের ব্রিফিংয়ের সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এখনও ১৭১ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ চীনে রয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তারা আসতে চাচ্ছে, এটা (নিয়ে আসার বিষয়টি) দেখতে বলা হয়েছে। আমাদের প্লেন পাঠাতে একটা অসুবিধা হচ্ছে। আমাদের যে প্লেনটা গেছে, আসার পর ওই পাইলটদের কোনো দেশ ঢুকতে দিচ্ছে না। সে জন্য আলোচনা হয়েছে যে, এ ক্ষেত্রে যদি ভাড়া করা কোনো বিমান পাওয়া যায়, চীনের কোনো ভাড়া করা বিমান যদি আনা হয় সেটা, সেটাতে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের প্লেন পাঠালে যে ক্রুরা যাবে তাদের বাইরে ভিসা দেয় না। অলরেডি সিঙ্গাপুর না করে দিয়েছে, এই ক্রুরা আমাদের এখানে আসতে পারবে না।

করোনাভাইরাস নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কি না? – জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভা বৈঠকে আলোচনা হয়নি। বৈঠকের পর স্পেশালি ২০/২৫ জন নিয়ে বসে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেভাবেই হোক এটাকে (করোনাভাইরাস) আমাদের দেশে ঢোকা প্রতিরোধ করতে হবে।

তিনি বলেন, এছাড়া যারা চীনের উহান থেকে আসবে সবাইকে… উহান থেকে তো চায়না একেবারে ক্লোজ করে দিয়েছে। সুতরাং বের হতে পারবে না। তারপরও বলা হয়েছে, যদি সন্দেহ হয় উহান থেকে আসছে, তাকে অবশ্যই ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে। কারণ, আমরা এটা নিয়ে তো রিস্ক নেব না।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অলরেডি যে ৩১২ জন আসছে (চীনের উহান থেকে) তাদেরকে হজ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। সেখানে খাওয়া-দাওয়া সবকিছু দেয়া হচ্ছে। ইনিশিয়ালি তারা বোধহয় বুঝতে পারেনি, তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। তারা ভাবছে ছেড়ে দেবে, বাড়িতে চলে যাবে। ইয়ং ছেলেরা প্রথমে জানতেও চাচ্ছিল, আমাদের কেন আটকে রাখা হয়েছে? তাদের বুঝানো হলো এটা তো হাইলি রিস্কি।

তিনি আরও বলেন, আজকে ওখানে অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহও ছিলেন। ওনারা যেটা বললেন, এর আগের যে ভাইরাসগুলো ছিল সেগুলো এতো দ্রুত ছড়ায়নি। এটা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে ইবোলা ও অন্যান্য ভাইরাসের তুলনায় এটার মৃত্যুহার কম।