স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সাড়ে ৩ কিলোমিটার দৃশ্যমান

  • আপডেট: ১২:৪২:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ২২

অনলাইন ডেস্ক:

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ২৩তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার (৩ হাজার ৪৫০ মিটার) দৃশ্যমান হয়েছে। রোববার দুপুর ২টা ২০ মিনিটে জাজিরা প্রান্তে ৩১ ও ৩২ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যানটির বসানো হয়।

ইতিমধ্যে সেতুর প্রায় ৮৫ দশমিক ৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে বলে সেতু বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

পদ্মাসেতু সেতু বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর জানান, ২০১৭ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সেতুর প্রথম স্প্যান, ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্প্যান, ১০ মার্চ তৃতীয় স্প্যান, ১৩ এপ্রিল চতুর্থ স্প্যান, ২৯ জুন পঞ্চম স্প্যান, ২০১৯ সালে ২৩ জানুয়ারি ষষ্ঠ স্প্যান, ২০ ফেব্রুয়ারি সপ্তম স্প্যান, ২০ মার্চ অষ্টম স্প্যান, ১৮ এপ্রিল ৯ম স্প্যান বসানো হয়।

বোরবার সকাল ৮টায় মুন্সিগঞ্জের মাওয়ার কুমারভোগের বিষেশায়িত জেটি থেকে ২৩তম স্প্যান নিয়ে শক্তিশালী ভাসমান ক্রেন তিয়া নি হাউ শরীয়তপুরের জাজিরার উদ্দেশে রওনা হয়। সকাল ১০টার দিকে স্প্যানটি নিয়ে শরীয়তপুরে জাজিরা প্রান্তে পৌঁছায়। দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ৩১ ও ৩২ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যানটি বসানোর মধ্যদিয়ে পদ্মা সেতুর কাজ আরও একধাপ এগিয়ে যায়।

এ নিয়ে জাজিরা প্রান্তে ১৩টি স্প্যান বসানো হল। জাজিরা প্রান্তে দৃশ্যমান হলো ১ হাজার ৯৫০ মিটার। অপরদিকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ১০ স্প্যান বসানো হয়। এ নিয়ে দৃশ্যমান হলো ৩ হাজার ৪৫০ মিটার।

উল্লেখ্য, প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে সবকটি পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে সেতু বিভাগ।

এ স্প্যানটি বসানোর সংবাদে পদ্মা পাড়ের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আনন্দ উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হলে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে গোটা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হবে। দেশের অর্থনৈতিতে নুতন মাত্রা যোগ হবে।

পদ্মাসেতুর দুই পাড়ে গড়ে উঠবে বিশ্বমানের শহর। কল-কারখানায় ভরে উঠবে এ এলাকা। শ্রমজীবী মানুষের ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সারা দেশের সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে।

মঙ্গল মাঝির ঘাটের ইলিয়াম মাদবর বলেন, ধীরে ধীরে পদ্মা সেতুর কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। আজ ২৩তম স্প্যান বসছে দেখে খুশি হলাম। আশা করি পদ্মা সেতু ২০২১ সালের মধ্যে যানবাহন চলাচলের উপযোগী হবে।

সেতু বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আ. কাদের বলেন, রোববার পদ্মা সেতুর ২৩ তম স্প্যানটি বসানো হল। ইতিমধ্যে সেতুর প্রায় ৮৫ দশমিক ৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী বছরের জুলাই মাসের মধ্যে সবকটি স্প্যান বসিয়ে সেতুটি দৃশ্যমান করে তুলবো বলে আশা করছি।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

গুপ্টিতে আদালতের আদেশ অমান্য করে চলাচলের রাস্তায় ওয়াল নির্মাণ করায় ফরিদগঞ্জ থানা রিসিভার গ্রহণ করে

স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সাড়ে ৩ কিলোমিটার দৃশ্যমান

আপডেট: ১২:৪২:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২০

অনলাইন ডেস্ক:

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ২৩তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার (৩ হাজার ৪৫০ মিটার) দৃশ্যমান হয়েছে। রোববার দুপুর ২টা ২০ মিনিটে জাজিরা প্রান্তে ৩১ ও ৩২ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যানটির বসানো হয়।

ইতিমধ্যে সেতুর প্রায় ৮৫ দশমিক ৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে বলে সেতু বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

পদ্মাসেতু সেতু বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর জানান, ২০১৭ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সেতুর প্রথম স্প্যান, ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্প্যান, ১০ মার্চ তৃতীয় স্প্যান, ১৩ এপ্রিল চতুর্থ স্প্যান, ২৯ জুন পঞ্চম স্প্যান, ২০১৯ সালে ২৩ জানুয়ারি ষষ্ঠ স্প্যান, ২০ ফেব্রুয়ারি সপ্তম স্প্যান, ২০ মার্চ অষ্টম স্প্যান, ১৮ এপ্রিল ৯ম স্প্যান বসানো হয়।

বোরবার সকাল ৮টায় মুন্সিগঞ্জের মাওয়ার কুমারভোগের বিষেশায়িত জেটি থেকে ২৩তম স্প্যান নিয়ে শক্তিশালী ভাসমান ক্রেন তিয়া নি হাউ শরীয়তপুরের জাজিরার উদ্দেশে রওনা হয়। সকাল ১০টার দিকে স্প্যানটি নিয়ে শরীয়তপুরে জাজিরা প্রান্তে পৌঁছায়। দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ৩১ ও ৩২ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যানটি বসানোর মধ্যদিয়ে পদ্মা সেতুর কাজ আরও একধাপ এগিয়ে যায়।

এ নিয়ে জাজিরা প্রান্তে ১৩টি স্প্যান বসানো হল। জাজিরা প্রান্তে দৃশ্যমান হলো ১ হাজার ৯৫০ মিটার। অপরদিকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ১০ স্প্যান বসানো হয়। এ নিয়ে দৃশ্যমান হলো ৩ হাজার ৪৫০ মিটার।

উল্লেখ্য, প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে সবকটি পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে সেতু বিভাগ।

এ স্প্যানটি বসানোর সংবাদে পদ্মা পাড়ের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আনন্দ উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হলে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে গোটা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হবে। দেশের অর্থনৈতিতে নুতন মাত্রা যোগ হবে।

পদ্মাসেতুর দুই পাড়ে গড়ে উঠবে বিশ্বমানের শহর। কল-কারখানায় ভরে উঠবে এ এলাকা। শ্রমজীবী মানুষের ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সারা দেশের সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে।

মঙ্গল মাঝির ঘাটের ইলিয়াম মাদবর বলেন, ধীরে ধীরে পদ্মা সেতুর কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। আজ ২৩তম স্প্যান বসছে দেখে খুশি হলাম। আশা করি পদ্মা সেতু ২০২১ সালের মধ্যে যানবাহন চলাচলের উপযোগী হবে।

সেতু বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আ. কাদের বলেন, রোববার পদ্মা সেতুর ২৩ তম স্প্যানটি বসানো হল। ইতিমধ্যে সেতুর প্রায় ৮৫ দশমিক ৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী বছরের জুলাই মাসের মধ্যে সবকটি স্প্যান বসিয়ে সেতুটি দৃশ্যমান করে তুলবো বলে আশা করছি।