এস.এম.চিশতী/গাজী মহিনউদ্দিন:
হাজীগঞ্জে বিজনেস পার্ক ট্রেড সেন্টার-ই হবে বৃহত্তর কুমিল্লায় মোবাইল কেনা-কাটা প্রেমিদে সেরা মার্কেট। এমনটাই বিশ্বাস করেন এ মার্কেটের প্রতিষ্ঠাতা হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ড.মো. আলমগীর কবির পাটওয়ারী।তিনি বলেন, এক মার্কেটে এক টাকার পণ্য থেকে লক্ষ টাকার পণ্য সহ সব ধরণরে পণ্য কেনা-কাটা করার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পরিকল্পনা হাতে নিয়েই বিজনেস পার্ক ট্রেড সেন্টার মার্কেট দ্রুত উদ্বোধনের দিকে এগিয়ে জাচ্ছে।
এ মার্কেটটি( বিজনেস পার্ক ট্রেড সেন্টার )হাজীগঞ্জে অরো একটি অনন্য,ঐতিহ্য বহন করবে এবং বৃহত্তর কুমিল্লার মধ্যে মোবাইল কেনা-কাটা প্রেমিদের জন্য মূল আর্কষণ হবে ।এর একটাই কারণ বিজনেস পার্ক ট্রেড সেন্টার মোবাইল মার্কেট ৩য় তলায় প্রতিটি শো-রোমে ব্র্যান্ড আইটেম সব ধরণের মোবাইল ফোন সুলভ মূল্যে পাওয়া যাবে।
হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ কমপ্লেক্স, আহমাদ আলী পাটওয়ারী (রহ.) ওয়াক্ফ এস্টেটের ভারপ্রাপÍ মোতাওয়াল্লী
প্রিন্স সাকিল আহমেদ বলেন, বিজনেস পার্ক ট্রেড সেন্টার ভবনের কাজ দ্রুত শেষ করতে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা শ্রমিকরা শিফটে কাজ করে যাচ্ছে। ভবনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। যারা বিজনেস পার্কে দোকান বুকিং দিয়েছিলেন তাদেরকে ১ ডিসেম্বর থেকে দোকান হস্তান্তর শুরু করেছি। আমরা পরিকল্পিত ভাবে বিজনেস পার্ক ( ট্রেড সেন্টারে)’র ৩য় তলা প্রায় ৮ হাজার স্কয়ার ফিট পুরোটাই শুধু মোবাইল মার্কেটের জন্য রেখেছি।এ খানে সব ধরণের ব্র্যান্ড আইটেম মোবাইল ফোন পাওয়া যাবে।যারা এ অংশে দোকান বরাদ্ধ নিয়েছেন,তারা সবাই বিজনেস পার্ক ট্রেড সেন্টারকে মোবাইল ফোন বাজারজাত করণে বৃহত্তর কুমিল্লার মধ্যে উজ্জ¦ দৃষ্টান্ত স্থাপনে সক্ষম হবে ।
সরেজমিনে জানা যায়, হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ কমপ্লেক্স, আহমাদ আলী পাটওয়ারী (রহ.) ওয়াক্ফ এস্টেটের অধীনে নির্মিত ভবনে প্রায় ৩ শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য দোকান ও স্পেস অতি দ্রুত হস্তান্তর করা লক্ষ্যে ওয়াক্ফ এস্টেটের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে যারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ ডেকোরেশনের কাজ শুরু করেছেন এবং শুরু করবেন তাদের জন্য প্রথম ৩মাস বিদ্যুৎ ফ্রি করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া মার্চ ২০২০ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২১পর্যন্ত প্রথম একবছর ভাড়া ফ্রি ঘোষণা করা হয়েছে ।
বিজনেস পার্ক ট্রেড সেন্টার শুধু কেনা-কাটাই নয় সকল শ্রেণি পেশা মানুষের শারীরিক ও মানষিক সুষ্ঠু বিকাশের জন্য রয়েছে, বিনোদন , স্টেজপ্রোগ্রাম জোন, ফুডকোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, স্কাইভিউ রেস্টুরেন্ট, আধুনিক মানের হাসপাতাল।
৪র্থ তলায় থাকবে অত্যাধুকি চায়না মার্কেট (ওপেন মার্কেট)। ভবনের প্রথম তলা থেকে ৪র্থ তলা পর্যন্ত থাকছে অত্যাধুনিক এস্কেলেটর এবং দ্রুত চলা-চল করার জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক উন্নত মানের লিফ্ট। ৫ম তলায় রয়েছে আধুনিক ও উন্নত মানের ফুডকোর্ট, ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম তলায় থাকছে আধুনিক মানের হসপিটাল এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তার চেম্বার। ৯ম ও ১০ম তলায় রয়েছে স্টার মানের আধুনিক আবাসিক হোটেল। ১১ তলায় থাকছে ক্যাটারিং ও হলরুম, জি¦ম সেন্টার। ১২তলায় থাকবে সুইমিংপুল, স্কাই ভিউ রেস্টুরেন্ট হাসপাতালে দ্রুত রোগী আনা নেয়ার জন্য নির্মিত হবে হ্যালিপ্যাড। এ ছাড়াও থাকবে নারী কর্নার, বিউটি পার্লার।অবশ্য নারী কর্নারে শুধু নারীদের জন্যই থাকবে সকল আয়োজন। সেখানে সেল্সম্যান থেকে শুরু করে সকল কাজ নারীরাই করবে। আরো থাকবে শিশু বিনোদন জোন , ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স ও কোকারিজ’সমুহের শো-রুম ।
এ ছাড়া বেইচমেন্টে রয়েছে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা । এক মার্কেটেই সব ধরণের পণ্য ক্রেতারা কিনে হবেন ধন্য।যদি তা বাস্তবায়ন হয় ,তাহলে বিজনেস পার্ক মার্কেট হাজীগঞ্জ বাসীকে ধন্য করবে।
আধুনিক মার্কেট“বিজনেস পার্ক ট্রেড সেন্ট” উদ্বোধন হলে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের মধ্যে একটি পরিচিত উপজেলা হিসাবে হাজীগঞ্জ আরো অনে দূর এগিয়ে যাবে- এমন টাই আশা করছেন হাজীগঞ্জের সাধারণ মানুষ।