নিজস্ব প্রতিনিধি॥
চাঁদপুর-ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চ গুলোতে কোন নিরাপত্তা কর্মী না থাকার কারনে প্রতিদিনই চুরি,ছিনতাইয়ের মত ঘটনা ঘটেই চলছে। এ সব লঞ্চে নেই কোন সি সি ক্যামেরা ও নেই কোন আনসার বাহিনীর সদস্য। যার ফলে যাত্রীরা নিরাপত্তা হীনতায় দূর্ভোগ পৌহাতে হচেছ। লঞ্চ মালিক কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে উদাসিনতার পরিচয় দিয়ে যাচেছ। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী লঞ্চ আবে জমজম লঞ্চে সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তার মূল্যবান মালামাল সহব্যাগ নিয়ে উধাও হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঢাকা-চাঁদপুর নৌ রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ আবে এ জমজম থেকে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তার ব্যাগে থাকা টাকা ও মূল্যবান জিনিস পত্র চুরি করে নিয়ে উধাও হওয়ার খবর পাওয়াা গেছে।
শুক্রবার রাতে ঢাকা থেকে আবে এ জমজম লঞ্চ চাঁদপুর আসার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পর রাতের যে কোন সময় এই চুরির ঘটনাটি ঘটে।
সেনাবাহিনীর কর্মকর্তার ব্যাগ চুরির ঘটনাটি লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তারা কোন ভূমিকা পালন না করায় যাত্রীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করতে দেখা যায়।
তবে এই চুরির ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে ফেরদৌস(১৪)নামে এক কিশোরকে আটক করে যাত্রীরা জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে কিশোরের নাম পরিচয় ও তার অবস্থা জানার পর যাচাই-বাছাই করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
চাঁদপুর সদর উপজেলার ৯ নং বালিয়া ইউনিয়নের কবিরাজ বাড়ির বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বর্তমানে রংপুর ক্যান্টনমেন্টের ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।
সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসার উদ্দেশ্যে আবে জমজম লঞ্চ গতকাল উঠে। নিচতলা দ্বিতীয় শ্রেনীর চেয়ারে বসে তার ব্যাগটি পাশে রাখে। তিনি কিছুক্ষণ পর চেয়ার থেকে উঠে টয়লেটে গিয়ে এসে দেখে তার ব্যাগটি নেই।
এসময় তার পাশের সিটে বসে থাকা ঢাকার লক্ষ্মীবাজারের বাসিন্দা কিশোর ফেরদৌসকে সন্দেহজনকভাবে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিশোর ফেরদৌসের কথাবার্তা এলোমেলো হাওয়ায় চুরির ঘটনাটি সংঘটিত করেছে বলে অনেকে ধারণা করেন।
লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় থাকা এই প্রতিবেদক ঘটনা জানতে পেরে কিশোর ফেরদৌসকে ডেকে এনে তার নাম পরিচয় জানেন। এসময় তার মা ফিরোজা বেগম সাথে মুঠোফোনে তার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ ফেরদৌস মানসিক রোগে ভুগছে। ১ সপ্তাহ পূর্বে সে বাসা থেকে বের হয়ে যায় । অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরেও তার সন্ধান মিলেনি। এই ঘটনা জানতে পেরে পরে কিশোর ফেরদৌসকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে এই চুরির ঘটনাটি জানার পরেও আব এ জমজম লঞ্চে দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের সহযোগিতা না করায় যাত্রীদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনার সৃস্টি হয়। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি লঞ্চে সিসি ক্যামেরা ও আনসার থাকার কথা থাকলেও চাঁদপুর ঢাকা চাঁদপুরের মধ্যে চলাচলকারী আব এ জমজমসহ কোন লঞ্চেই কোন নিরাপত্তা কর্মী দেওয়া হয়না। প্রায় প্রতিদিনই এ আব এ জমজম লঞ্চে যাত্রীদের ব্যাগ, মোবাইল সেটসহ মূল্যবান জিনিস চুরি ও ছিনতাই হচ্ছে বলে অনেক যাত্রী অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে লঞ্চ সুপারভাইজার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাত্রীদের মালামাল চুরি হলে আমাদের কি করার আছে। তবে তারা বলেন পুলিশের কাছে অভিযোগ দিলেই এর সুরহা পাওয়া যাবে বলে জানান। তিরি আরো জানান,লঞ্চ মালিক কর্তৃপক্ষ এ চুরির ঘটনায় কোন ধরনের ক্ষকির