স্ট্রোক হলে তাৎক্ষণিক করণীয়

  • আপডেট: ০৫:২২:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২০
  • ২৫

স্বাস্থ্য ডেস্ক:

লক্ষণ : হঠাৎ করে শরীরের একাংশ অবশ বা দুর্বল হয়ে যাওয়া। মাথাব্যথা ও বমি হওয়া। হঠাৎ অজ্ঞান হওয়া। কথা জড়িয়ে যাওয়া বা একেবারেই কথা বলতে না পারা।

তাৎক্ষণিক করণীয়: কোনো রোগীর উপরের লক্ষণসমূহ দেখা দিলে বুঝতে হবে তার স্ট্রোক হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আতংকিত না হয়ে জরুরি ভিত্তিতে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। প্রয়োজনে নিকটস্থ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া উচিত। সম্ভব হলে মস্তিষ্কের ঈঞ ঝপধহ করে স্ট্রোকের ধরন বুঝতে হবে। মনে রাখতে হবে স্ট্রোক দুই ধরনের হয়। মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়ার জন্য অথবা মস্তিস্কে রক্তক্ষরণের জন এবং যার চিকিৎসা পদ্ধতিও ভিন্নতর।
জরুরি চিকিৎসা : অজ্ঞান রোগীর ক্ষেত্রে- শ্বাসনালি, শ্বাসপ্রশ্বাস ও রক্ত সঞ্চালন নিয়মিত রাখা। রোগী একদিকে কাত করে, বালিশ ছাড়া মাথা নিচু করে শোয়াতে হবে। চোখের যত্ন নিতে হবে। মূত্রথলির যত্ন (প্রয়োজনে ক্যাথেটার দিতে হবে)। খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। স্ট্রোকের সব রোগীর হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয় না। তবে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, খিঁচুনি, রোগী অজ্ঞান হলে অথবা স্ট্রোকের সঙ্গে অন্যান্য রোগ যেমন- উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি থাকলে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন। চিকিৎসার প্রধান উদ্দেশ্য মৃত্যুর ঝুঁকি কমানো, কর্মক্ষমতা ফিরিয়ে আনা এবং পরবর্তীতে যেন স্ট্রোক না হয় তার ব্যাবস্থা করা।

মুখ বেঁকে গেলে : বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসা এবং ফিজিওথেরাপি করিতে হইবে।

প্রতিরোধ: স্ট্রোক অনেকাংশেই প্রতিরোধযোগ্য। স্ট্রোকের প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজন সচেতনতা। যেমন – রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, ধূমপান পরিহার, রক্তের চর্বি নিয়ন্ত্রণ, শারীরিক ব্যায়াম নিয়মিত ও ওজন ঠিক রাখা, পর্যাপ্ত শাকসবজি, সতেজ ফলমূল খাওয়া। তাই এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

ডা. এমএস জহিরুল হক চৌধুরী

অধ্যাপক, ক্লিনিক্যাল নিউরোলজি বিভাগ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চাঁদপুরে খাঁটি গরুর দুধ বিক্রর নামে প্রতারণা

স্ট্রোক হলে তাৎক্ষণিক করণীয়

আপডেট: ০৫:২২:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২০

স্বাস্থ্য ডেস্ক:

লক্ষণ : হঠাৎ করে শরীরের একাংশ অবশ বা দুর্বল হয়ে যাওয়া। মাথাব্যথা ও বমি হওয়া। হঠাৎ অজ্ঞান হওয়া। কথা জড়িয়ে যাওয়া বা একেবারেই কথা বলতে না পারা।

তাৎক্ষণিক করণীয়: কোনো রোগীর উপরের লক্ষণসমূহ দেখা দিলে বুঝতে হবে তার স্ট্রোক হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আতংকিত না হয়ে জরুরি ভিত্তিতে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। প্রয়োজনে নিকটস্থ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া উচিত। সম্ভব হলে মস্তিষ্কের ঈঞ ঝপধহ করে স্ট্রোকের ধরন বুঝতে হবে। মনে রাখতে হবে স্ট্রোক দুই ধরনের হয়। মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়ার জন্য অথবা মস্তিস্কে রক্তক্ষরণের জন এবং যার চিকিৎসা পদ্ধতিও ভিন্নতর।
জরুরি চিকিৎসা : অজ্ঞান রোগীর ক্ষেত্রে- শ্বাসনালি, শ্বাসপ্রশ্বাস ও রক্ত সঞ্চালন নিয়মিত রাখা। রোগী একদিকে কাত করে, বালিশ ছাড়া মাথা নিচু করে শোয়াতে হবে। চোখের যত্ন নিতে হবে। মূত্রথলির যত্ন (প্রয়োজনে ক্যাথেটার দিতে হবে)। খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। স্ট্রোকের সব রোগীর হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয় না। তবে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, খিঁচুনি, রোগী অজ্ঞান হলে অথবা স্ট্রোকের সঙ্গে অন্যান্য রোগ যেমন- উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি থাকলে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন। চিকিৎসার প্রধান উদ্দেশ্য মৃত্যুর ঝুঁকি কমানো, কর্মক্ষমতা ফিরিয়ে আনা এবং পরবর্তীতে যেন স্ট্রোক না হয় তার ব্যাবস্থা করা।

মুখ বেঁকে গেলে : বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসা এবং ফিজিওথেরাপি করিতে হইবে।

প্রতিরোধ: স্ট্রোক অনেকাংশেই প্রতিরোধযোগ্য। স্ট্রোকের প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজন সচেতনতা। যেমন – রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, ধূমপান পরিহার, রক্তের চর্বি নিয়ন্ত্রণ, শারীরিক ব্যায়াম নিয়মিত ও ওজন ঠিক রাখা, পর্যাপ্ত শাকসবজি, সতেজ ফলমূল খাওয়া। তাই এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

ডা. এমএস জহিরুল হক চৌধুরী

অধ্যাপক, ক্লিনিক্যাল নিউরোলজি বিভাগ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল।