মো. মহিউদ্দিন আল আজাদ:
বৃষ্টির পর শৈত্য প্রবাতে শীতের তীব্রতা বেড়েছে সারা দেশেই। চাঁদপুরসহ চট্রগ্রামের বিভিাগের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্য প্রবাহে আরো কিছু এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কিছু এলাকায় মাঝারি মাত্রায় পৌঁছেছে। আগের দিনের ৯ জেলা থেকে বেড়ে মঙ্গলবার দেশের প্রায় ১২ জেলায় বিস্তৃত হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ।
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ৬ ডিগ্রিতে। এদিন রাজধানীতেও মাত্রা বেড়েছে শীতের। তাপমাত্রা নেমেছে মৌসুমের সর্বনিম্নতে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হিমেল হাওয়া। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, চলমান শৈত্যপ্রবাহ আজও অব্যাহত থাকতে পারে। নতুন এলাকায় বিস্তৃত হওয়ার শঙ্কা কম। রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমলেও অপরিবর্তিত থাকতে পারে দিনের তাপমাত্রা। উত্তরাঞ্চলে কাল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুল হামিদ গত রাতে দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘যেসব অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ রয়েছে, তার আশপাশের দুয়েকটি এলাকায় নতুন করে শৈত্যপ্রবাহ শুরুর শঙ্কা থাকলেও ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হওয়ার শঙ্কা নেই। দুয়েক দিন পর অনেক এলাকাতেই শৈত্যপ্রবাহ কেটে যেতে পারে। এর মধ্যে কিছু এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রাজধানীতে বুধবার দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে, রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং মধ্যরাতের পর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।’
অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, পুরো রংপুর বিভাগের আটটি জেলা ছাড়াও পাবনা, টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ ও যশোর অঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বইছিল। তবে এদিন ফরিদপুর ও রাজশাহী সদরের তাপমাত্রা সামান্য বাড়ায় শৈত্যপ্রবাহ কেটে গেছে।
এদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে গত দুদিন ধরে রাজধানীতে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা ক্রমেই কমছে। তাপমাত্রা কমার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে কয়েকগুণ। গত সোমবার রাতের তাপমাত্রা প্রায় তিন ডিগ্রি কমার পর মঙ্গলবার কমেছে আরও প্রায় দুই ডিগ্রি। এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা রাজধানীতে এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। দিনের বেলাতেও রাজধানী ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন। সূর্য উঁকি দিলেও তাতে কোনো তেজ ছিল না। এদিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় চার ডিগ্রি কমে গিয়ে রেকর্ড হয়েছে ১৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পাবনা, টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ ও যশোর অঞ্চলসহ পুরো রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা অব্যাহত থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বুধবার দেশের উত্তরাঞ্চলে হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।