বিশ্বের মধ্যেই আমেরিকা বড় শয়তান

  • আপডেট: ১১:২৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২০
  • ২৯

TOPSHOT - Mourners carry the coffins of slain Iraqi paramilitary chief Abu Mahdi al-Muhandis, Iranian military commander Qasem Soleimani and eight others toward the Shrine of Imam Hussein in the holy Iraqi city of Karbala,during a funeral procession on January 4, 2020. - Thousands of Iraqis chanting "Death to America" today as they mourned an Iranian commander and others killed in a US drone attack that sparked fears of a regional proxy war between Washington and Tehran. (Photo by Mohammed SAWAF / AFP)

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

বিশ্বের মধ্যে আমেরিকায় বড় শয়তান বলে শ্লোগান দিচ্ছেন ইরাকিরা। ইরাকে মার্কিন হামলায় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও ইরাকি কমান্ডার নিহত হওয়ার ঘটনায় শনিবার বাগদাদজুড়ে শোকমিছিল হয়েছে। এসময় ক্ষুব্ধ লোকজনকে ‘আমেরিকা সবচেয়ে বড় শয়তান’ বলে স্লোগান দিতে দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি নিউজে ‘আমেরিকা সবচেয়ে বড় শয়তান’ বলে শিরোনাম করা হয়।

শুক্রবার সকালে বাগদাদ বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে আল-কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলাইমানি ও ইরাকি মিলিশিয়া নিতে আবু মাহদি আল-মুহান্দিসকে হত্যা করা হয়েছে। মার্কিন হামলায় নিহতদের মধ্যে সোলাইমানিসহ পাঁচজন ইরানি ও মুহান্দিসসহ পাঁচজন ইরাকি রয়েছেন বলে জানিয়েছে ইরানের গণমাধ্যম। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নতুন করে আঞ্চলিক উত্তেজনা বেড়েছে।

শিয়া ইসলামে অন্যতম সম্মানিত ইমাম খাদিমের মাজার থেকে শোকমিছিল শুরু হয়। এরপর শোকার্ত লোকজন মিছিল নিয়ে রাস্তায় বের হন। এসময় তাদের সঙ্গে সাঁজোয়া যানও দেখা গেছে। শোকার্তদের অনেকের চোখ দিয়ে পানি ঝরছিল। তারা ‘নো, নো, আমেরিকা’, ‘আমেরিকা নিপাত যাক, ইসরাইল নিপাত যাক’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।

শোকমিছিলে যোগ দেয়া লোকজনের মধ্যে পিএমএফের উর্দি পরা অনেক সদস্যও হাজির ছিলেন। তাদের অনেকে ইরাকের ও তাদের বাহিনীর পতাকা নিয়ে মিছিলে যোগ দেন। শোকমিছিলে যোগ দেয়া অনেকের হাতে সোলাইমানি ও মুহান্দিসের ছবি ছিল। মিছিলে থাকা সাঁজোয়া যানগুলোতেও তাদের ছবি শোভা পাচ্ছিল।

ইরাকি প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল-মাহদি শোক মিছিলে যোগ দিলে উপরে দুটি হেলিকপ্টার উড়তে দেখা গেছে। এতে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া নেতারাও অংশ নিয়েছিলেন। পরে শোকমিছিল মধ্য ইরাকের পবিত্র শহর কারবালায় যায়।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ঋণের কথা বলে শাহবাগে সমাবেশের ডাক, অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের আহ্বায়ক মোস্তফা আটক

বিশ্বের মধ্যেই আমেরিকা বড় শয়তান

আপডেট: ১১:২৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

বিশ্বের মধ্যে আমেরিকায় বড় শয়তান বলে শ্লোগান দিচ্ছেন ইরাকিরা। ইরাকে মার্কিন হামলায় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও ইরাকি কমান্ডার নিহত হওয়ার ঘটনায় শনিবার বাগদাদজুড়ে শোকমিছিল হয়েছে। এসময় ক্ষুব্ধ লোকজনকে ‘আমেরিকা সবচেয়ে বড় শয়তান’ বলে স্লোগান দিতে দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি নিউজে ‘আমেরিকা সবচেয়ে বড় শয়তান’ বলে শিরোনাম করা হয়।

শুক্রবার সকালে বাগদাদ বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে আল-কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলাইমানি ও ইরাকি মিলিশিয়া নিতে আবু মাহদি আল-মুহান্দিসকে হত্যা করা হয়েছে। মার্কিন হামলায় নিহতদের মধ্যে সোলাইমানিসহ পাঁচজন ইরানি ও মুহান্দিসসহ পাঁচজন ইরাকি রয়েছেন বলে জানিয়েছে ইরানের গণমাধ্যম। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নতুন করে আঞ্চলিক উত্তেজনা বেড়েছে।

শিয়া ইসলামে অন্যতম সম্মানিত ইমাম খাদিমের মাজার থেকে শোকমিছিল শুরু হয়। এরপর শোকার্ত লোকজন মিছিল নিয়ে রাস্তায় বের হন। এসময় তাদের সঙ্গে সাঁজোয়া যানও দেখা গেছে। শোকার্তদের অনেকের চোখ দিয়ে পানি ঝরছিল। তারা ‘নো, নো, আমেরিকা’, ‘আমেরিকা নিপাত যাক, ইসরাইল নিপাত যাক’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।

শোকমিছিলে যোগ দেয়া লোকজনের মধ্যে পিএমএফের উর্দি পরা অনেক সদস্যও হাজির ছিলেন। তাদের অনেকে ইরাকের ও তাদের বাহিনীর পতাকা নিয়ে মিছিলে যোগ দেন। শোকমিছিলে যোগ দেয়া অনেকের হাতে সোলাইমানি ও মুহান্দিসের ছবি ছিল। মিছিলে থাকা সাঁজোয়া যানগুলোতেও তাদের ছবি শোভা পাচ্ছিল।

ইরাকি প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল-মাহদি শোক মিছিলে যোগ দিলে উপরে দুটি হেলিকপ্টার উড়তে দেখা গেছে। এতে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া নেতারাও অংশ নিয়েছিলেন। পরে শোকমিছিল মধ্য ইরাকের পবিত্র শহর কারবালায় যায়।