ইরাকের পর ইরানেও সোলাইমানির মরদেহ নিয়ে মিছিলে জনতার ঢল

  • আপডেট: ১০:৫৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২০
  • ৩০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় নিহত ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানির মরদেহ ইরাক থেকে ইরানে আনা হয়েছে। রবিবার ভোর রাতে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় আহওয়াজ বিমানবন্দরে তার লাশ পৌঁছায়। এরপর সকালে সেখানে তার আরও একবার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ইরান প্রেসের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, ইরানের আহভাজ শহরে অনুষ্ঠিত সোলাইমানির এই জানাজায় হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন।
ঘোষিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, এরপর সোলাইমানির মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মাশহাদ নগরীতে। সেখানে দুপুরে ইমাম রেজা (আ.)’র মাজার প্রাঙ্গণে আরেক দফা জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর যথাক্রমে তেহরান, কোম ও জেনারেল সোলায়মানির জন্মস্থান দক্ষিণ ইরানের কেরমান শহরে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জেনারেলের ওসিয়ত অনুযায়ী কেরমানেই তাকে দাফন করা হবে।

এর আগে, শনিবার ইরাকে কয়েকটি শহরে সোলাইমানির প্রথম দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও অংশ নিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। বাগদাদে শোক মিছিলে অংশ নেয়া মানুষজন ইরাকি এবং মিলিশিয়া বাহিনীর পতাকা বহন করে এবং শ্লোগান দেয়, ‘আমেরিকার মৃত্যু চাই’।

শহরের অনেকগুলো রাস্তা জুড়ে মিছিল চলে। তাদের অনেকের হাতে ছিল সোলেইমানি এবং ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ছবি। তার মৃত্যুতে কয়েকদিন ধরে শোক পালন করতে যাচ্ছে ইরান ও ইরাকের সমর্থকরা।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার মার্কিন এক ড্রোন হামলায় কাসেম সোলেইমানিসহ ৬ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে রয়েছেন আবু মাহদি আল-মুহানদিস, যিনি ইরানের সমর্থনপুষ্ট খাতিব হেজবুল্লাহ গ্রুপের কমান্ডার এবং ইরাকি মিলিশিয়াদের একটি জোট পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের নেতা ছিলেন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ঋণের কথা বলে শাহবাগে সমাবেশের ডাক, অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের আহ্বায়ক মোস্তফা আটক

ইরাকের পর ইরানেও সোলাইমানির মরদেহ নিয়ে মিছিলে জনতার ঢল

আপডেট: ১০:৫৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় নিহত ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানির মরদেহ ইরাক থেকে ইরানে আনা হয়েছে। রবিবার ভোর রাতে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় আহওয়াজ বিমানবন্দরে তার লাশ পৌঁছায়। এরপর সকালে সেখানে তার আরও একবার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ইরান প্রেসের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, ইরানের আহভাজ শহরে অনুষ্ঠিত সোলাইমানির এই জানাজায় হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন।
ঘোষিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, এরপর সোলাইমানির মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মাশহাদ নগরীতে। সেখানে দুপুরে ইমাম রেজা (আ.)’র মাজার প্রাঙ্গণে আরেক দফা জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর যথাক্রমে তেহরান, কোম ও জেনারেল সোলায়মানির জন্মস্থান দক্ষিণ ইরানের কেরমান শহরে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জেনারেলের ওসিয়ত অনুযায়ী কেরমানেই তাকে দাফন করা হবে।

এর আগে, শনিবার ইরাকে কয়েকটি শহরে সোলাইমানির প্রথম দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও অংশ নিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। বাগদাদে শোক মিছিলে অংশ নেয়া মানুষজন ইরাকি এবং মিলিশিয়া বাহিনীর পতাকা বহন করে এবং শ্লোগান দেয়, ‘আমেরিকার মৃত্যু চাই’।

শহরের অনেকগুলো রাস্তা জুড়ে মিছিল চলে। তাদের অনেকের হাতে ছিল সোলেইমানি এবং ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ছবি। তার মৃত্যুতে কয়েকদিন ধরে শোক পালন করতে যাচ্ছে ইরান ও ইরাকের সমর্থকরা।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার মার্কিন এক ড্রোন হামলায় কাসেম সোলেইমানিসহ ৬ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে রয়েছেন আবু মাহদি আল-মুহানদিস, যিনি ইরানের সমর্থনপুষ্ট খাতিব হেজবুল্লাহ গ্রুপের কমান্ডার এবং ইরাকি মিলিশিয়াদের একটি জোট পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের নেতা ছিলেন।