প্রেসিডিয়ামের প্রথম সভায় শাজাহান খানকে চাঁদাবাজ বলে ধিক্কার দিলো নানক

  • আপডেট: ০৯:১৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ২২

অনলাইন ডেস্ক:

২১তম সম্মেলনে ঘোষিত আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। মঙ্গলবার রাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নবনির্বাচিত প্রেসিডিয়ামের সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

প্রেসিডিয়ামের প্রথম বৈঠকেই তুমুল তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন প্রেসিডিয়ামের নতুন দুই সদ্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও শাজাহান খান। আর নতুন কমিটিতে নেয়ার জন্য কয়েকজনের নাম প্রস্তাব করায় ড. আবদুর রাজ্জাককে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, এসব নামের প্রস্তাব কেন আনেন? এসব করবেন না। কারও তদবির মানা হবে না। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভার শুরুতেই আওয়ামী লীগ সভাপতিকে অভিনন্দন জানান প্রেসিডিয়ামের সব নেতা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী দলের নতুন প্রেসিডিয়ামে আসা তিন নেতা- শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমানকে তাদের রাজনৈতিক অতীত বর্ণনা করতে বলেন।

এ সময় প্রায় ৪০ মিনিট বক্তৃতা করেন নানক। স্কুল ছাত্রলীগের শুরু থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় আন্দোলন-সংগ্রামের কথা বলেন। একইভাবে নিজের রাজনৈতিক পটভূমি বর্ণনা করেন আবদুর রহমান। শাজাহান খানও দলের জন্য তার অবদানের কথা তুলে ধরেন।

এর পর কমিটি গঠন নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। কমিটিতে সাবেক শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক হাবিবুর রহমানকে রাখার বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়। এতেই গোল বাধে।

নতুন প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান বলে ওঠেন, হাবিবুর রহমান চাঁদাবাজ লোক। তাকে কমিটিতে না রাখাই ভালো। এ সময় শাজাহান খানকে চ্যালেঞ্জ করেন প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, হাবিবুর রহমান কোথায় চাঁদাবাজি করল? তিনি যদি চাঁদাবাজ হন, তা হলে শ্রমিক রাজনীতির সঙ্গে যারা যুক্ত সবাই চাঁদাবাজ। আপনি বড় চাঁদাবাজ। আপনি পরিবহন সেক্টর নিয়ন্ত্রণ করছেন। শাজাহান খানও জবাব দিতে থাকেন। এর পর দুজনকেই থামিয়ে দেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রেসিডিয়ামের বৈঠকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাড়াও সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুর রাজ্জাক, ফারুক খান, সাহারা খাতুন, কাজী জাফর উল্লাহ, রমেশ চন্দ্র সেন, আবদুল মান্নান খান, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য, আবদুল মতিন খসরু, নুরুল ইসলাম নাহিদ, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াও উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চাঁদপুরে ৪’শ নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হল ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রেসিডিয়ামের প্রথম সভায় শাজাহান খানকে চাঁদাবাজ বলে ধিক্কার দিলো নানক

আপডেট: ০৯:১৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

২১তম সম্মেলনে ঘোষিত আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। মঙ্গলবার রাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নবনির্বাচিত প্রেসিডিয়ামের সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

প্রেসিডিয়ামের প্রথম বৈঠকেই তুমুল তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন প্রেসিডিয়ামের নতুন দুই সদ্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও শাজাহান খান। আর নতুন কমিটিতে নেয়ার জন্য কয়েকজনের নাম প্রস্তাব করায় ড. আবদুর রাজ্জাককে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, এসব নামের প্রস্তাব কেন আনেন? এসব করবেন না। কারও তদবির মানা হবে না। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভার শুরুতেই আওয়ামী লীগ সভাপতিকে অভিনন্দন জানান প্রেসিডিয়ামের সব নেতা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী দলের নতুন প্রেসিডিয়ামে আসা তিন নেতা- শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমানকে তাদের রাজনৈতিক অতীত বর্ণনা করতে বলেন।

এ সময় প্রায় ৪০ মিনিট বক্তৃতা করেন নানক। স্কুল ছাত্রলীগের শুরু থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় আন্দোলন-সংগ্রামের কথা বলেন। একইভাবে নিজের রাজনৈতিক পটভূমি বর্ণনা করেন আবদুর রহমান। শাজাহান খানও দলের জন্য তার অবদানের কথা তুলে ধরেন।

এর পর কমিটি গঠন নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। কমিটিতে সাবেক শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক হাবিবুর রহমানকে রাখার বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়। এতেই গোল বাধে।

নতুন প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান বলে ওঠেন, হাবিবুর রহমান চাঁদাবাজ লোক। তাকে কমিটিতে না রাখাই ভালো। এ সময় শাজাহান খানকে চ্যালেঞ্জ করেন প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, হাবিবুর রহমান কোথায় চাঁদাবাজি করল? তিনি যদি চাঁদাবাজ হন, তা হলে শ্রমিক রাজনীতির সঙ্গে যারা যুক্ত সবাই চাঁদাবাজ। আপনি বড় চাঁদাবাজ। আপনি পরিবহন সেক্টর নিয়ন্ত্রণ করছেন। শাজাহান খানও জবাব দিতে থাকেন। এর পর দুজনকেই থামিয়ে দেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রেসিডিয়ামের বৈঠকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাড়াও সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুর রাজ্জাক, ফারুক খান, সাহারা খাতুন, কাজী জাফর উল্লাহ, রমেশ চন্দ্র সেন, আবদুল মান্নান খান, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য, আবদুল মতিন খসরু, নুরুল ইসলাম নাহিদ, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াও উপস্থিত ছিলেন।