বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্য কোন সদস্য রাজনীতিতে আসতে সম্মত নন: কাদের

  • আপডেট: ১১:১০:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ২২

অনলাইন ডেস্ক:

বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্য কোন সদস্য রাজনীতিতে আসতে সম্মত নন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। ওই দিন প্রেসিডিয়ামের মিটিং আছে। সেদিন পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে আশা করছি। এটি না হওয়া পর্যন্ত নতুন কমিটি নিয়ে মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়।

কমিটিতে শেখ পরিবারের আর কেউ আসতে পারে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা নিজেরাই আসতে সম্মত নন। শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল, ববি, রুপুমতি এরা কেউই… এদের পরিবারের সিদ্ধান্ত। এখন পর্যন্ত আমি যতটুকু জানি, এবারকার নেতৃত্বেও কেউ আসবেন- এমন কোনো ইঙ্গিত আমি পাইনি।

আওয়ামী লীগের ২১তম কাউন্সিলে সভাপতি পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সাধারণ সম্পাদক পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। জাতির জনক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের আর কারো নাম কমিটিতে নেই। ধারণা করা হচ্ছিল বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় কমিটিতে পদে পাবেন। কমিটিতে শেখ পরিবারের আর কেউ আসতে পারে কি না- জানতে চাইলে নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা নিজেরাই আসতে সম্মত নন। শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল, ববি, রুপুমতি এরা কেউই… এদের পরিবারের সিদ্ধান্ত। এখন পর্যন্ত আমি যতটুকু জানি, এবারকার নেতৃত্বেও কেউ আসবেন- এমন কোনো ইঙ্গিত আমি পাইনি।

টানা দ্বিতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা আমাকে যোগ্য মনে করেছেন বলেই দ্বিতীয়বারের মতো আমাকে এই পদে মনোনীত করেছেন। উনি আমাকে যে মর্যাদা দিয়েছেন আমি তা রক্ষার চেষ্টা করব।

দল ও মন্ত্রণালয়ের কাজ একসঙ্গে করতে কোনো সমস্যা হয় কিনা জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দল এবং মন্ত্রণালয়ের কাজ একসঙ্গে করতে আমার কোনো সমস্যা হয় না। আমি রাস্তা দেখতে গিয়ে দলের কাজ করি।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সামনের পথ খুব চ্যালেঞ্জিং। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নির্বাচনের অঙ্গীকার রক্ষা করা। সারা দেশে নতুন কমিটি কাজ শুরু করেছে। এতে যাতে বিতর্কিতরা প্রবেশ করতে না পারে তা প্রতিরোধ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। মন্ত্রণালয়ের কাজের মধ্যে সড়কের শৃঙ্খলা ফেরানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এটি আমি করবই। মন্ত্রণালয়ের পদ্মা সেতুসহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যেসব প্রকল্প রয়েছে, সেই প্রকল্পগুলোর কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ও সময়মতো শেষ করাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ।’

কমিটিতে সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খানকে প্রেসিডিয়াম সদস্য করা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টির নতুন নেতৃত্ব ঢেলে সাজানো হয়েছে। কাউন্সিলরদের সঙ্গে সভাপতি নিজে আলোচনা করেছেন গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য। কমিটিতে শাজাহান খানকে কেন নেয়া হয়েছে তা দলের সিদ্ধান্ত।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চাঁদপুরে ৪’শ নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হল ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্য কোন সদস্য রাজনীতিতে আসতে সম্মত নন: কাদের

আপডেট: ১১:১০:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্য কোন সদস্য রাজনীতিতে আসতে সম্মত নন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। ওই দিন প্রেসিডিয়ামের মিটিং আছে। সেদিন পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে আশা করছি। এটি না হওয়া পর্যন্ত নতুন কমিটি নিয়ে মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়।

কমিটিতে শেখ পরিবারের আর কেউ আসতে পারে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা নিজেরাই আসতে সম্মত নন। শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল, ববি, রুপুমতি এরা কেউই… এদের পরিবারের সিদ্ধান্ত। এখন পর্যন্ত আমি যতটুকু জানি, এবারকার নেতৃত্বেও কেউ আসবেন- এমন কোনো ইঙ্গিত আমি পাইনি।

আওয়ামী লীগের ২১তম কাউন্সিলে সভাপতি পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সাধারণ সম্পাদক পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। জাতির জনক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের আর কারো নাম কমিটিতে নেই। ধারণা করা হচ্ছিল বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় কমিটিতে পদে পাবেন। কমিটিতে শেখ পরিবারের আর কেউ আসতে পারে কি না- জানতে চাইলে নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা নিজেরাই আসতে সম্মত নন। শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল, ববি, রুপুমতি এরা কেউই… এদের পরিবারের সিদ্ধান্ত। এখন পর্যন্ত আমি যতটুকু জানি, এবারকার নেতৃত্বেও কেউ আসবেন- এমন কোনো ইঙ্গিত আমি পাইনি।

টানা দ্বিতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা আমাকে যোগ্য মনে করেছেন বলেই দ্বিতীয়বারের মতো আমাকে এই পদে মনোনীত করেছেন। উনি আমাকে যে মর্যাদা দিয়েছেন আমি তা রক্ষার চেষ্টা করব।

দল ও মন্ত্রণালয়ের কাজ একসঙ্গে করতে কোনো সমস্যা হয় কিনা জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দল এবং মন্ত্রণালয়ের কাজ একসঙ্গে করতে আমার কোনো সমস্যা হয় না। আমি রাস্তা দেখতে গিয়ে দলের কাজ করি।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সামনের পথ খুব চ্যালেঞ্জিং। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নির্বাচনের অঙ্গীকার রক্ষা করা। সারা দেশে নতুন কমিটি কাজ শুরু করেছে। এতে যাতে বিতর্কিতরা প্রবেশ করতে না পারে তা প্রতিরোধ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। মন্ত্রণালয়ের কাজের মধ্যে সড়কের শৃঙ্খলা ফেরানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এটি আমি করবই। মন্ত্রণালয়ের পদ্মা সেতুসহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যেসব প্রকল্প রয়েছে, সেই প্রকল্পগুলোর কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ও সময়মতো শেষ করাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ।’

কমিটিতে সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খানকে প্রেসিডিয়াম সদস্য করা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টির নতুন নেতৃত্ব ঢেলে সাজানো হয়েছে। কাউন্সিলরদের সঙ্গে সভাপতি নিজে আলোচনা করেছেন গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য। কমিটিতে শাজাহান খানকে কেন নেয়া হয়েছে তা দলের সিদ্ধান্ত।