নাসায় যাচ্ছে বাদাম বিক্রেতা দরিদ্র কিশোরী

  • আপডেট: ০২:১৭:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ২৩

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসায় যাচ্ছে বাদাম বিক্রেতা দরিদ্র কিশোরী। দরিদ্র পবিবারের মেয়ে জয়ালক্ষ্মী নিজের পড়ালেখার ফাঁকে ফাঁকে সংসার চালাতে বাদাম করে। পাশাপাশি টিউশনি করে সে।

ভারতের তামিলনাড়ুর পাত্তুকোট্টাইয়ের একটি সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী জে জয়ালক্ষ্মীর জীবন চলছে এভাবেই।

গৃহত্যাগী বাবা কখনও ইচ্ছা হলে টাকা পাঠান। নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি মানসিক রোগী মা আর ভাইয়ের দেখভালের ভারও সামলাতে হয় তাকে।

এত সংগ্রামের মাঝেও এক প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছে তার।সম্প্রতি একদিন পত্রিকার একটা খবরে চোখ আটকে যায় জয়ালক্ষ্মীর। বেসরকারি একটি সংস্থা নাসা যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের সুযোগ দিতে একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।

খবরটা দেখে বাড়ি গিয়ে প্রতিযোগিতার জন্য ফরম পূরণ করে। নিজের মতো করে প্রস্তুতিও নেয়। এরপর পরীক্ষায় টিকে গেলেও ঝামেলা বাধে অন্য জায়গায়। নাসায় যাওয়ার যাতায়াত খরচ তো অনেক।

কয়েকজন শিক্ষক আর সহপাঠীরা মিলে পাসপোর্ট তৈরির খরচ দেয়ার পর পাসপোর্ট অফিসারও তাকে কিছু সাহায্য করেন। কিন্তু সেটাও যথেষ্ট হচ্ছে না। আর্থিক সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছে জয়ালক্ষ্মী।

আনন্দবাজার পত্রিকা।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

হাজীগঞ্জে বাজার তদারকি অভিযানে ২ প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা

নাসায় যাচ্ছে বাদাম বিক্রেতা দরিদ্র কিশোরী

আপডেট: ০২:১৭:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৯

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসায় যাচ্ছে বাদাম বিক্রেতা দরিদ্র কিশোরী। দরিদ্র পবিবারের মেয়ে জয়ালক্ষ্মী নিজের পড়ালেখার ফাঁকে ফাঁকে সংসার চালাতে বাদাম করে। পাশাপাশি টিউশনি করে সে।

ভারতের তামিলনাড়ুর পাত্তুকোট্টাইয়ের একটি সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী জে জয়ালক্ষ্মীর জীবন চলছে এভাবেই।

গৃহত্যাগী বাবা কখনও ইচ্ছা হলে টাকা পাঠান। নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি মানসিক রোগী মা আর ভাইয়ের দেখভালের ভারও সামলাতে হয় তাকে।

এত সংগ্রামের মাঝেও এক প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছে তার।সম্প্রতি একদিন পত্রিকার একটা খবরে চোখ আটকে যায় জয়ালক্ষ্মীর। বেসরকারি একটি সংস্থা নাসা যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের সুযোগ দিতে একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।

খবরটা দেখে বাড়ি গিয়ে প্রতিযোগিতার জন্য ফরম পূরণ করে। নিজের মতো করে প্রস্তুতিও নেয়। এরপর পরীক্ষায় টিকে গেলেও ঝামেলা বাধে অন্য জায়গায়। নাসায় যাওয়ার যাতায়াত খরচ তো অনেক।

কয়েকজন শিক্ষক আর সহপাঠীরা মিলে পাসপোর্ট তৈরির খরচ দেয়ার পর পাসপোর্ট অফিসারও তাকে কিছু সাহায্য করেন। কিন্তু সেটাও যথেষ্ট হচ্ছে না। আর্থিক সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছে জয়ালক্ষ্মী।

আনন্দবাজার পত্রিকা।