বঙ্গবন্ধু হত্যার সময় আ.লীগ নেতারা কোথায় ছিলেন: প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

  • আপডেট: ০৪:১০:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ২৪

অনলাইন ডেস্ক:

বঙ্গবন্ধু হত্যার সময় আওয়ামী লীগের নেতারা কোথায় ছিলেন এবং কেন তাদের কেউ এ হত্যার বিরুদ্ধে সাহসী ভূমিকা পালন করতে এগিয়ে আসেননি তার উত্তর এখনও খুঁজে বেড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ মঙ্গলবার ৪৯তম বিজয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘এটা (আওয়ামী লীগ) এত বড় সংগঠন…এত নেতা! তারা কোথায় ছিলেন? মাঝে মাঝে আমি তা জানতে চাই, কেউ সাহস করে এগিয়ে এলো না। সাধারণ মানুষ সব সময় বঙ্গবন্ধুর সাথে ছিল।’

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।

তিনি অবাক হন যে কেন দেশের কেউ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার বিষয়ে জানতে পারল না এবং কেন কেউ এ হত্যার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিল না।

‘লাশ (ধানমন্ডি) ৩২ নম্বরে পড়ে ছিল, কেন? সেই উত্তর আমি আজও পাইনি,’ বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে রক্ষায় ব্যর্থতার খেসারত জাতিকে পরবর্তী দশকগুলোতে দিতে হয়েছে। ‘কারণ, বারবার ক্যু হয়েছে। জাতির পিতার হত্যার পর এ দেশে ১৮-১৯টি ক্যু হয়েছে…দলের নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন হয়েছে।’

‘যদি কেউ সাহস নিয়ে এগিয়ে আসতেন তাহলে হয়তো এসব অত্যাচার ও নির্যাতন হতো না এবং হয়তো দেশে বারবার ক্যু হতো না… বারবার ক্যু দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছিল,’ বলেন তিনি।

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক, অধ্যাপক মেরিনা জাহান কবিতা, হুমায়ুন কবির ও এসএম মান্নান কচি।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-অর্থ সম্পাদক হাজীগঞ্জের মাহবুব আলম ২ দিনের রিমান্ডে

বঙ্গবন্ধু হত্যার সময় আ.লীগ নেতারা কোথায় ছিলেন: প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট: ০৪:১০:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

বঙ্গবন্ধু হত্যার সময় আওয়ামী লীগের নেতারা কোথায় ছিলেন এবং কেন তাদের কেউ এ হত্যার বিরুদ্ধে সাহসী ভূমিকা পালন করতে এগিয়ে আসেননি তার উত্তর এখনও খুঁজে বেড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ মঙ্গলবার ৪৯তম বিজয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘এটা (আওয়ামী লীগ) এত বড় সংগঠন…এত নেতা! তারা কোথায় ছিলেন? মাঝে মাঝে আমি তা জানতে চাই, কেউ সাহস করে এগিয়ে এলো না। সাধারণ মানুষ সব সময় বঙ্গবন্ধুর সাথে ছিল।’

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।

তিনি অবাক হন যে কেন দেশের কেউ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার বিষয়ে জানতে পারল না এবং কেন কেউ এ হত্যার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিল না।

‘লাশ (ধানমন্ডি) ৩২ নম্বরে পড়ে ছিল, কেন? সেই উত্তর আমি আজও পাইনি,’ বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে রক্ষায় ব্যর্থতার খেসারত জাতিকে পরবর্তী দশকগুলোতে দিতে হয়েছে। ‘কারণ, বারবার ক্যু হয়েছে। জাতির পিতার হত্যার পর এ দেশে ১৮-১৯টি ক্যু হয়েছে…দলের নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন হয়েছে।’

‘যদি কেউ সাহস নিয়ে এগিয়ে আসতেন তাহলে হয়তো এসব অত্যাচার ও নির্যাতন হতো না এবং হয়তো দেশে বারবার ক্যু হতো না… বারবার ক্যু দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছিল,’ বলেন তিনি।

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক, অধ্যাপক মেরিনা জাহান কবিতা, হুমায়ুন কবির ও এসএম মান্নান কচি।