বিক্ষোভ, ধর-পাকড়ের মধ্যেই বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিলে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর

  • আপডেট: ০৮:৪২:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ২৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

বিক্ষোভ, ধর-পাকড় আর হতাহতের মধ্য দিয়েই বিতর্কিত নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলে স্বাক্ষর করলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এর ফলে বিলটি এখন আইনে পরিণত হলো।

ভারতীয় পার্লামেন্টের দুই কক্ষের অনুমোদনের পর স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বিলটিতে স্বাক্ষর করেন দেশটির রাষ্ট্রপতি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর বৃহস্পতিবারই রাষ্ট্রীয় গেজেট প্রকাশের মধ্য দিয়ে আইনটি কার্যকর করা হয়েছে।

এই আইনে তিনটি প্রতিবেশী দেশের অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে, তবে মুসলিমদের নয়।

আইনানুযায়ী, ২০১৪-এর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে যে সমস্ত অমুসলিমরা ভারতে এসেছেন, তাদের অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বলে ভাবা হবে না, বরং তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেয়া হবে।

১৯৫৫ সালের ভারতীয় নাগরিকত্ব আইনে এই সংশোধনের ফলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে চলে আসা হিন্দু, শিখ, খ্রিষ্টান, জৈন, পারসি ও বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন।

এর আগে সোমবার বিলটি লোকসভায় এবং বুধবার রাজ্যসভায় পাস হয়।

এদিকে এই বিলকে কেন্দ্র করে আসাম ও ত্রিপুরা—দুই রাজ্যেই সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। দুই রাজ্যে কারফিউ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।

তবে পার্লামেন্টে পাস হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের (সিএবি) প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার আসামের রাজধানী গোহাটিতে কারফিউ ভেঙে রাস্তায় নামেন হাজারও জনতা।

এ সময় উত্তেজিত জনতাকে থামাতে গুলি চালায় পুলিশ। এতে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তবে দেশটির সরকারি সূত্র তিন জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

হাজীগঞ্জে বাজার তদারকি অভিযানে ২ প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা

বিক্ষোভ, ধর-পাকড়ের মধ্যেই বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিলে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর

আপডেট: ০৮:৪২:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

বিক্ষোভ, ধর-পাকড় আর হতাহতের মধ্য দিয়েই বিতর্কিত নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলে স্বাক্ষর করলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এর ফলে বিলটি এখন আইনে পরিণত হলো।

ভারতীয় পার্লামেন্টের দুই কক্ষের অনুমোদনের পর স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বিলটিতে স্বাক্ষর করেন দেশটির রাষ্ট্রপতি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর বৃহস্পতিবারই রাষ্ট্রীয় গেজেট প্রকাশের মধ্য দিয়ে আইনটি কার্যকর করা হয়েছে।

এই আইনে তিনটি প্রতিবেশী দেশের অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে, তবে মুসলিমদের নয়।

আইনানুযায়ী, ২০১৪-এর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে যে সমস্ত অমুসলিমরা ভারতে এসেছেন, তাদের অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বলে ভাবা হবে না, বরং তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেয়া হবে।

১৯৫৫ সালের ভারতীয় নাগরিকত্ব আইনে এই সংশোধনের ফলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে চলে আসা হিন্দু, শিখ, খ্রিষ্টান, জৈন, পারসি ও বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন।

এর আগে সোমবার বিলটি লোকসভায় এবং বুধবার রাজ্যসভায় পাস হয়।

এদিকে এই বিলকে কেন্দ্র করে আসাম ও ত্রিপুরা—দুই রাজ্যেই সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। দুই রাজ্যে কারফিউ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।

তবে পার্লামেন্টে পাস হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের (সিএবি) প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার আসামের রাজধানী গোহাটিতে কারফিউ ভেঙে রাস্তায় নামেন হাজারও জনতা।

এ সময় উত্তেজিত জনতাকে থামাতে গুলি চালায় পুলিশ। এতে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তবে দেশটির সরকারি সূত্র তিন জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে।