সকলের সহযোগিতা পেলে বেঁচে যাবে একটি মেধাবী প্রাণ

  • আপডেট: ০৭:৪৪:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সংগ্রামী মেধাবী ছাত্র শাহেদ বাঁচতে চায়। তার হার্টের ৯০% অকেজো। বর্তমানে ঢাকা হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। নবম শ্রেণিতে থাকতে বাবা মারা যান। বড় ভাই মারা যান ছয় বছর পূর্বে। নয় সদস্যের পরিবারের ঘানি টানছিলো সংগ্রামী মেধাবী ছাত্র শাহেদুল ইসলাম শাহেদ। সে হাজীগঞ্জ মডেল কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনার্স শেষ করে চাঁদপুর সরকারি কলেজে মাস্টার্সের নিয়মিত ছাত্র। মেধাবী ছাত্র শাহেদের টিউশনির টাকায় চলছে ৯ সদস্যের পরিবার। তিনবোন ও মা সহ তিন ভাতিজা-ভাতিজি ও ভাবীর ভরন-পোষনের দায়িত্ব তারই। শুধুমাত্র টিউশনি করে জীবন সংগ্রামে বেঁচে থাকতে গিয়ে হার্টে ব্লক হয়ে মৃত্যু শয্যায় শাহেদ। ২৫ নভেম্বর বুকে ব্যাথা নিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হলে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা হৃদ রোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন শাহেদ। প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ করে পরিক্ষা-নিরিক্ষা শেষে হার্টের দুটিই ব্লক ও ৯০% অকেজো হয়ে পড়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ডাক্তারগণ। বর্তমানে হার্টে রিং বসানোর জন্য ৩ লক্ষাধিক টাকা প্রয়োজন।
জানাগেছে, পরিবারের টানাপোড়েনে ৫ম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায় শাহেদের। ৩ বছর বাবার সাথে মাঠে দিনমজুরের কাজ করেই চলছিলো জীবন। হাজীগঞ্জ পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজের একটি বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান দেখে পড়াশোনার প্রতি পুনরায় আগ্রহ ফিরে আসে। এরপর নিজ উদ্যোগে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হলে শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় মেধাবী হিসেবে ১ বছর পরই নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয় সে। ওই সময় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সহিত এসএসসি পাশ করে। পড়ালেখার খরচ চালাতে না পেরে এইসএসসিতে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ভর্তি হয় হাজীগঞ্জ সরকারি পাইলট হাই স্কুল কলেজে। এইচএসসিতে জিপিএ-৫ ও অনার্সে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়। টিউশনি করেই পরিবার ও নিজ পড়ার খরচ চালাতো সে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, শাহেদ আলীগঞ্জ হাই স্কুলে বিনা পারিশ্রমিকে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। সে কংগাইশ পশ্চিমপাড়া মাদ্রাসা বাড়ির মৃত হোসেন মিয়ার দ্বিতীয় ছেলে। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তিন বোনকে পাত্রস্থ করা হয়। বোনদের পরিবারগুলোও চলছে দিন আনে দিন খায় গোছের। শাহেদের মা মাফিয়া বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার সোনার টুকরা ছেলে শাহেদ। তার বাবার অবর্তমানে সে-ই একমাত্র অভিভাবক। গত কয়েকদিন না খেয়ে কোন রকম জীবন যাপন করছি। আমার শাহেদ আজ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম একজন দানবীর। তার সহযোগিতা পেলে আমার শাহেদ ও আমাদের পরিবার বেঁচে যেতে পারে। মানুষের মুখে মুখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অনেক সুনাম শুনি। বঙ্গকন্যার সু-দৃষ্টি পেলে বেঁচে যেতে পারে আমার সোনার টুকরা ছেলে শাহেদ। আমার
ছেলেকে সহযোগিতা করতে ০১৬৮৭১৯৪৩১০(বিকাশ), ০১৬৮০৪০৯৬৭৮০(রকেট), ০১৮১২৮১১৯২৭ (যোগাযোগ) নম্বরে যোগাযোগ করলে উপকৃত হবো।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চাঁদপুরে খাঁটি গরুর দুধ বিক্রর নামে প্রতারণা

সকলের সহযোগিতা পেলে বেঁচে যাবে একটি মেধাবী প্রাণ

আপডেট: ০৭:৪৪:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সংগ্রামী মেধাবী ছাত্র শাহেদ বাঁচতে চায়। তার হার্টের ৯০% অকেজো। বর্তমানে ঢাকা হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। নবম শ্রেণিতে থাকতে বাবা মারা যান। বড় ভাই মারা যান ছয় বছর পূর্বে। নয় সদস্যের পরিবারের ঘানি টানছিলো সংগ্রামী মেধাবী ছাত্র শাহেদুল ইসলাম শাহেদ। সে হাজীগঞ্জ মডেল কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনার্স শেষ করে চাঁদপুর সরকারি কলেজে মাস্টার্সের নিয়মিত ছাত্র। মেধাবী ছাত্র শাহেদের টিউশনির টাকায় চলছে ৯ সদস্যের পরিবার। তিনবোন ও মা সহ তিন ভাতিজা-ভাতিজি ও ভাবীর ভরন-পোষনের দায়িত্ব তারই। শুধুমাত্র টিউশনি করে জীবন সংগ্রামে বেঁচে থাকতে গিয়ে হার্টে ব্লক হয়ে মৃত্যু শয্যায় শাহেদ। ২৫ নভেম্বর বুকে ব্যাথা নিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হলে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা হৃদ রোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন শাহেদ। প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ করে পরিক্ষা-নিরিক্ষা শেষে হার্টের দুটিই ব্লক ও ৯০% অকেজো হয়ে পড়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ডাক্তারগণ। বর্তমানে হার্টে রিং বসানোর জন্য ৩ লক্ষাধিক টাকা প্রয়োজন।
জানাগেছে, পরিবারের টানাপোড়েনে ৫ম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায় শাহেদের। ৩ বছর বাবার সাথে মাঠে দিনমজুরের কাজ করেই চলছিলো জীবন। হাজীগঞ্জ পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজের একটি বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান দেখে পড়াশোনার প্রতি পুনরায় আগ্রহ ফিরে আসে। এরপর নিজ উদ্যোগে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হলে শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় মেধাবী হিসেবে ১ বছর পরই নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয় সে। ওই সময় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সহিত এসএসসি পাশ করে। পড়ালেখার খরচ চালাতে না পেরে এইসএসসিতে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ভর্তি হয় হাজীগঞ্জ সরকারি পাইলট হাই স্কুল কলেজে। এইচএসসিতে জিপিএ-৫ ও অনার্সে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়। টিউশনি করেই পরিবার ও নিজ পড়ার খরচ চালাতো সে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, শাহেদ আলীগঞ্জ হাই স্কুলে বিনা পারিশ্রমিকে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। সে কংগাইশ পশ্চিমপাড়া মাদ্রাসা বাড়ির মৃত হোসেন মিয়ার দ্বিতীয় ছেলে। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তিন বোনকে পাত্রস্থ করা হয়। বোনদের পরিবারগুলোও চলছে দিন আনে দিন খায় গোছের। শাহেদের মা মাফিয়া বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার সোনার টুকরা ছেলে শাহেদ। তার বাবার অবর্তমানে সে-ই একমাত্র অভিভাবক। গত কয়েকদিন না খেয়ে কোন রকম জীবন যাপন করছি। আমার শাহেদ আজ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম একজন দানবীর। তার সহযোগিতা পেলে আমার শাহেদ ও আমাদের পরিবার বেঁচে যেতে পারে। মানুষের মুখে মুখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অনেক সুনাম শুনি। বঙ্গকন্যার সু-দৃষ্টি পেলে বেঁচে যেতে পারে আমার সোনার টুকরা ছেলে শাহেদ। আমার
ছেলেকে সহযোগিতা করতে ০১৬৮৭১৯৪৩১০(বিকাশ), ০১৬৮০৪০৯৬৭৮০(রকেট), ০১৮১২৮১১৯২৭ (যোগাযোগ) নম্বরে যোগাযোগ করলে উপকৃত হবো।