উন্নত বাংলাদেশ গড়তে প্রথম প্রেক্ষিত শেষে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা:প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট: ১১:৩৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯
  • ২২

বাসস:

বাংলাদেশকে ২০৪১ নাগাদ দক্ষিণ এশিয়ার একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে প্রথম প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করছি। ইতিমধ্যেই আমরা ২০২০ থেকে ২০৪১ সাল নাগাদ দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছি।’

রোববার সকালে নিজ কার্যালয়ে (পিএমও) দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২০২১-২০৪১ এর ওপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেখার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সরকার গঠনের পর দেশের দ্রুত উন্নয়ন সাধনে বেশকিছু তাৎক্ষণিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমরা পঞ্চম এবং ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পাশাপাশি দেশে প্রথমবারের মতো ২০২০-২০২১ সাল পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনারও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং আগামী দিনে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে আরও এগিয়ে যাবে।’

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এই প্রেক্ষিত পরিকল্পনাকে বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার ‘একটি স্বপ্নের দলিল’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

তিনি বলেন, ‘২০ বছর মেয়াদি দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১ সাল থেকে শুরু করে আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।’

সিনিয়র সচিব এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শামসুল আলম পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনার উল্লেখযোগ্য দিকগুলো তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাবউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, ড. মশিউর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার অনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন।

তিনটি অগ্নিনিরোধক ফায়ার কুশন দমকল বাহিনীর কাছে হস্তান্তর : এদিন প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে (পিএমও) অপর এক অনুষ্ঠানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের কাছে জার্মানির তৈরি অত্যাধুনিক তিনটি অগ্নিনিরোধক জাম্বু কুশন হস্তান্তর করেন। অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসেনের হাতে তিনি কুশনগুলো তুলে দেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী অগ্নি দুর্ঘটনায় উদ্ধার অভিযানকালে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন।

অগ্নিনিরোধক কুশনগুলো ফাইবারগ্লাস দ্বারা তৈরি এবং এক মিনিটে এগুলো ব্যবহার উপযোগী করা যায়। প্রতিটি কুশনের মূল্য পড়েছে ৫০ লাখ টাকা। প্রতিটির ওজন ৮০ কেজি। এটি ক্রয়ে অর্থায়ন করেছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবিএল)।

কুশনগুলো বিদ্যুৎ অপরিবাহী এবং কম্পন ও শোষণ ছড়িয়ে পড়া ছাড়াই যে কোনো বিপজ্জনক পণ্য পরিবহনে সক্ষম। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহীদুজ্জামান ফায়ার সার্ভিস বিভাগের কার্যক্রম তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-অর্থ সম্পাদক হাজীগঞ্জের মাহবুব আলম ২ দিনের রিমান্ডে

উন্নত বাংলাদেশ গড়তে প্রথম প্রেক্ষিত শেষে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা:প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ১১:৩৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯

বাসস:

বাংলাদেশকে ২০৪১ নাগাদ দক্ষিণ এশিয়ার একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে প্রথম প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করছি। ইতিমধ্যেই আমরা ২০২০ থেকে ২০৪১ সাল নাগাদ দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছি।’

রোববার সকালে নিজ কার্যালয়ে (পিএমও) দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২০২১-২০৪১ এর ওপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেখার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সরকার গঠনের পর দেশের দ্রুত উন্নয়ন সাধনে বেশকিছু তাৎক্ষণিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমরা পঞ্চম এবং ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পাশাপাশি দেশে প্রথমবারের মতো ২০২০-২০২১ সাল পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনারও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং আগামী দিনে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে আরও এগিয়ে যাবে।’

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এই প্রেক্ষিত পরিকল্পনাকে বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার ‘একটি স্বপ্নের দলিল’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

তিনি বলেন, ‘২০ বছর মেয়াদি দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১ সাল থেকে শুরু করে আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।’

সিনিয়র সচিব এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শামসুল আলম পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনার উল্লেখযোগ্য দিকগুলো তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাবউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, ড. মশিউর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার অনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন।

তিনটি অগ্নিনিরোধক ফায়ার কুশন দমকল বাহিনীর কাছে হস্তান্তর : এদিন প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে (পিএমও) অপর এক অনুষ্ঠানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের কাছে জার্মানির তৈরি অত্যাধুনিক তিনটি অগ্নিনিরোধক জাম্বু কুশন হস্তান্তর করেন। অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসেনের হাতে তিনি কুশনগুলো তুলে দেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী অগ্নি দুর্ঘটনায় উদ্ধার অভিযানকালে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন।

অগ্নিনিরোধক কুশনগুলো ফাইবারগ্লাস দ্বারা তৈরি এবং এক মিনিটে এগুলো ব্যবহার উপযোগী করা যায়। প্রতিটি কুশনের মূল্য পড়েছে ৫০ লাখ টাকা। প্রতিটির ওজন ৮০ কেজি। এটি ক্রয়ে অর্থায়ন করেছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবিএল)।

কুশনগুলো বিদ্যুৎ অপরিবাহী এবং কম্পন ও শোষণ ছড়িয়ে পড়া ছাড়াই যে কোনো বিপজ্জনক পণ্য পরিবহনে সক্ষম। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহীদুজ্জামান ফায়ার সার্ভিস বিভাগের কার্যক্রম তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।