সায়েদাবাদ থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী সব ধরনের বাস বন্ধ

  • আপডেট: ০৬:১৯:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০১৯
  • ২১

নতুনেরকথা ডেস্কঃ

সায়েদাবাদ থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কের সব ধরনের পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বুধবার সকাল ৭টা থেকে নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দক্ষিণাঞ্চলগামী প্রায় ২০ জেলায় চলাচলরত গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে।

এ ছাড়া রাজধানীতে চলাচলরত বাসগুলোও বন্ধ করে দিয়েছেন ধর্মঘটকারীরা। শুধু বাস নয়, মোটরসাইকেল, সিএনজি, রিকশা- এমনকি ভ্যানও চলাচল করতে দিচ্ছেন না তারা।

এগুলো চলতে দেখলেই চাকার হাওয়া বের করে দেয়া কিংবা যাত্রীদের জোর করে গাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছেন ধর্মঘটকারীরা।

এতে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন অফিসগামীসহ সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে পিইসি পরীক্ষার্থীরা।

ধর্মঘটের বিষয়ে ঠিকানা বাসের চালক দেলোয়ার হোসেন ও প্রাইভেটকারচালক নাজমুল হাসান যুগান্তরকে বলেন, আমাদের ওপরে যে আইনটি চাপিয়ে দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। আমরা এই আইন মানি না।

ডেমরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার রবিউল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ঢাকার অংশে যানবাহন প্রবেশ ও এখান থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন শ্রমিকরা। আমরা তাদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি।

নতুন সড়ক আইন সংশোধনসহ ৯ দফা দাবিতে মঙ্গলবার এ কর্মসূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। পূর্বঘোষণা ছাড়া আচমকা এই ধর্মঘটের ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক রুস্তম আলীসহ পরিষদের তিন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন।

তবে সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়েছে। ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কাল (আজ) সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঐক্য পরিষদের নেতাদের নিয়ে আবার বসবেন। তবে আমরা যে কর্মসূচির ডাক দিয়েছি সেটি চলবে।

এর আগে বিকালে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কর্মকর্তারা। ওই বৈঠকেও আইন কার্যকর না করার দাবি জানিয়েছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা।

গত ১ নভেম্বর নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর করে সরকার। তবে নতুন আইনে মামলা ও শাস্তি দেয়ার কার্যক্রম মৌখিকভাবে দুই সপ্তাহ পিছিয়ে দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

গত বৃহস্পতিবার সেই সময়সীমা শেষ হয়েছে। রোববার সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, ওইদিন থেকেই আইন কার্যকর শুরু হয়েছে। এরপর থেকেই ঘোষিত-অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘট ডাকতে শুরু করেছে পরিবহন সংগঠনগুলো

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ঋণের কথা বলে শাহবাগে সমাবেশের ডাক, অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের আহ্বায়ক মোস্তফা আটক

সায়েদাবাদ থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী সব ধরনের বাস বন্ধ

আপডেট: ০৬:১৯:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০১৯

নতুনেরকথা ডেস্কঃ

সায়েদাবাদ থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কের সব ধরনের পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বুধবার সকাল ৭টা থেকে নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দক্ষিণাঞ্চলগামী প্রায় ২০ জেলায় চলাচলরত গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে।

এ ছাড়া রাজধানীতে চলাচলরত বাসগুলোও বন্ধ করে দিয়েছেন ধর্মঘটকারীরা। শুধু বাস নয়, মোটরসাইকেল, সিএনজি, রিকশা- এমনকি ভ্যানও চলাচল করতে দিচ্ছেন না তারা।

এগুলো চলতে দেখলেই চাকার হাওয়া বের করে দেয়া কিংবা যাত্রীদের জোর করে গাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছেন ধর্মঘটকারীরা।

এতে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন অফিসগামীসহ সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে পিইসি পরীক্ষার্থীরা।

ধর্মঘটের বিষয়ে ঠিকানা বাসের চালক দেলোয়ার হোসেন ও প্রাইভেটকারচালক নাজমুল হাসান যুগান্তরকে বলেন, আমাদের ওপরে যে আইনটি চাপিয়ে দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। আমরা এই আইন মানি না।

ডেমরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার রবিউল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ঢাকার অংশে যানবাহন প্রবেশ ও এখান থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন শ্রমিকরা। আমরা তাদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি।

নতুন সড়ক আইন সংশোধনসহ ৯ দফা দাবিতে মঙ্গলবার এ কর্মসূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। পূর্বঘোষণা ছাড়া আচমকা এই ধর্মঘটের ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক রুস্তম আলীসহ পরিষদের তিন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন।

তবে সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়েছে। ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কাল (আজ) সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঐক্য পরিষদের নেতাদের নিয়ে আবার বসবেন। তবে আমরা যে কর্মসূচির ডাক দিয়েছি সেটি চলবে।

এর আগে বিকালে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কর্মকর্তারা। ওই বৈঠকেও আইন কার্যকর না করার দাবি জানিয়েছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা।

গত ১ নভেম্বর নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর করে সরকার। তবে নতুন আইনে মামলা ও শাস্তি দেয়ার কার্যক্রম মৌখিকভাবে দুই সপ্তাহ পিছিয়ে দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

গত বৃহস্পতিবার সেই সময়সীমা শেষ হয়েছে। রোববার সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, ওইদিন থেকেই আইন কার্যকর শুরু হয়েছে। এরপর থেকেই ঘোষিত-অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘট ডাকতে শুরু করেছে পরিবহন সংগঠনগুলো